সভ্যতার বিবর্তনে কৃষি, শিল্প, তথ্যবিপ্লবের পর এখন প্রযুক্তি সভ্যতা চলমান। প্রতিনিয়ত মানুষ অপার বিস্ময়ে দেখছে আর উপভোগ করছে প্রযুক্তির কল্যাণময় রূপান্তর। নব নব সৃষ্টিতে প্রযুক্তি মানবজীবনকে আরামদায়ক করে তুলছে। দিনে দিনে বিশ্বে মানুষ প্রযুক্তির ছোঁয়া পেয়ে অজেয়কে জয় করে চলেছে। জীবনযুদ্ধের নানা ক্ষেত্রে প্রযুক্তির বৈচিত্র্যপূর্ণ ব্যবহার সম্ভাবনাময় সৃজনশীলতাকে জাগিয়ে তুলেছে। মানবজাতির ভবিষ্যৎ প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে পড়ছে। এতে প্রযুক্তির ব্যবহার ও প্রয়োগ বহুমাত্রিক হয়ে উঠছে। শিল্প, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাণিজ্য থেকে শুরু করে সংস্কৃতিতে প্রযুক্তির ব্যবহারের প্রসার ঘটে চলেছে। সভ্যতার অন্তহীন বিকাশে দায়িত্বহীনতা ও অদূরদর্শিতাকে পাশে সরিয়ে মানুষ প্রযুক্তি ব্যবহারে সচেতন থাকলে মানবকল্যাণের পথে প্রতিনিয়ত এগিয়ে যেতে সক্ষম হবে। অন্যথায় অতীতের ধারাবাহিকতায় বুদ্ধিমান মানুষ প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে সভ্যতার ধ্বংস ডেকে আনবে। প্রযুক্তির সার্থক প্রয়োগ কল্যাণকর বিশ্ব বিনির্মাণের নিয়ামক হোক। বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বণিক বার্তা পত্রিকায় প্রকাশিত সম্পাদকীয় এ তথ্য জানা যায়।
সম্পাদকীয় আরও জানা যায়, বাংলাদেশে একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রযুক্তির ব্যবহার তেমনভাবে গুরুত্ব পেয়েছে এমন দাবি করা যাবে না। কিছু সহজ উচ্চারণে, কিছু স্বপ্নে, কিছু পরিকল্পনাহীন কার্যক্রম বাস্তবায়নের মধ্যেই প্রযুক্তির ব্যবহার সীমাবদ্ধ হয়ে আছে। প্রযুক্তির প্রাগ্রসরতাকে জাতীয় মুক্তি ও সমৃদ্ধি অর্জনে যথাযথ ব্যবহার করতে না পারায় উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রাতিষ্ঠানিক রূপ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। দেশের উদ্বেগজনক বিপুল জনসংখ্যার সচ্ছল নিশ্চিত জীবন গড়ে তোলার জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জনসংখ্যাকে সীমিত রাখার কথা আমরা ভুলেই গিয়েছি। ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলে আজ ১৭ কোটি মানুষের বাস। সংখ্যা বিবেচনায় এদের অন্তর্নিহিত শক্তিকে জাগ্রত করা যায়নি। মানবসম্পদ পরিকল্পনার অভাবে জাতীয় উৎপাদনে শ্রমশক্তির অবদান নিম্নস্তরে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তুলতে, অর্থনৈতিক বৈষম্য কমিয়ে আনতে আর স্বাধীনতার স্বাদ উপভোগে প্রযুক্তির ব্যবহার ও দক্ষতাকে পাশাপাশি রেখে এগিয়ে যেতে হবে। প্রযুক্তি ও দক্ষতার মধ্যে মুক্তি, প্রযুক্তি ও দক্ষতার মধ্যে সমৃদ্ধি, প্রযুক্তি ও দক্ষতার মধ্যেই বাংলাদেশ।
প্রযুক্তির ব্যবহার উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির নিশ্চয়তা দিলেও তার অগ্রগতি ধরে রাখতে ছোট ছোট পরিবর্তন ধারাবাহিকভাবে চলমান। বিশ্বব্যাপী ঘটে যাওয়া প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে পরিবর্তনকে ধারণ করে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধির কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যেতে হয়। দেশে পেশাজীবীদের মধ্যে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধির কার্যক্রম খুব বেশি দাগ কাটে বলে মনে হয় না। তবে বিদেশে প্রশিক্ষণের আগ্রহ সবার মধ্যে কল্পনাতীত। এই বিদেশ প্রশিক্ষণ দেশের প্রযুক্তির ব্যবহারকে কতটা এগিয়ে নিয়ে গেছে তা প্রশ্নবিদ্ধ। এখন যদিও এই বিদেশ প্রশিক্ষণ ডালভাত করে ফেলা হয়েছে। বিচিত্র সব বিষয়ে বিদেশে প্রশিক্ষণ নিতে দলে দলে যাচ্ছেন কর্তাব্যক্তিরা। কেউ পুকুর কাটা শিখতে যাচ্ছেন, কেউ খিচুড়ি রান্না করা শিখতে যাচ্ছেন আবার কেউ আফ্রিকার দেশগুলোয় পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা শিখতে যাচ্ছেন। তবে এই প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের বিশাল অংশই মাঠ পর্যায়ে থাকেন না। তারা অন্য কোনো প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য অন্যত্র সচেষ্ট হয়ে পড়েন। এতে প্রযুক্তির উন্নত ধারা যদি শিখেও আসেন, তবে তা আর মাঠে প্রয়োগ হয় না। দেশ যে তিমিরে ছিল সেখানেই আটকে থাকে। প্রশিক্ষণ উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয় না। এমন মানসিকতা পরিবর্তন প্রয়োজন কিন্তু তার সুযোগ সৃষ্টির কোনো ব্যবস্থাপনা আপাতত দেখা যাচ্ছে না।
সম্প্রতি সরকার কারিগরি শিক্ষায় প্রচণ্ড আগ্রহী। কারিগরি শিক্ষার প্রসারে বহু কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। সরকার ২০২০ সালের মধ্যে ২০ ভাগ, ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ ভাগ এবং ২০৪০ সালের মধ্যে ৪০ ভাগ কারিগরি জনশক্তি তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পাশাপাশি অনেক কারিগরি শিক্ষায়তনে দ্বিতীয় শিফটের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছে। ২০২০ সালে শেষ হয়ে গেলেও সরকার পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০ ভাগ কারিগরি জনশক্তি তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে। তবে গত ৫০ বছরে দুই ভাগের কম জনশক্তিকে ১২-১৩ ভাগে উন্নত করতে সক্ষম হয়েছে। আশা করা যায়, সরকারের চলমান পরিকল্পনায় আগামী সময়ের মধ্যে ৪০ ভাগ কারিগরি জনশক্তি তৈরি সম্ভব হবে। তবে এ জনশক্তি দেশের প্রাযুক্তিক কর্মকাণ্ডে কতটা ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে, তা নিয়ে অনেকের অনেক প্রশ্ন।
সরকার দেশে কারিগরি শিক্ষা সম্প্রসারণ করতে গিয়ে শিক্ষার গুণগত মানের কথা বোধকরি ভুলে গেছে। এ শিক্ষার জন্য বিশেষায়িত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সিংহভাগই ঢাল-তলোয়ারবিহীন নিধিরাম সর্দার। জবাবদিহিতা, দায়বদ্ধতা না থাকার এ দেশে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনুমোদন কীভাবে দেয়া হয়, তা নিয়ে কথা বলার খুব একটা সুযোগ আছে বলে মনে হয় না। তবে এভাগে যে দক্ষতা অর্জন করা যায়, তা আমাদের বিশ্বে রোল মডেল হওয়ার সুযোগ করে দেয়। তার ওপর হঠাৎ করে বেসরকারি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মালিকদের ব্যবসার উত্তরোত্তর উন্নয়নকে গতিশীল রাখতে কারিগরি শিক্ষার্থীদের বয়সসীমার ভার তুলে দেয়া হয়েছে এবং জিপিএ কম করে দেয়া হয়েছে। এতে দক্ষতা অর্জন নয়, বাণিজ্যিকভাবে সনদপ্রাপ্তির পথ সুগম হয়েছে। গত এক দশকের বেশি সময়ের পরিসংখ্যান বলে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের প্রাধান্য রয়েছে। শুধু কর্তৃপক্ষের অবহেলা, অব্যবস্থা ও খামখেয়ালিপনার জন্য কিছুদিন সামান্য কিছু কম জিপিএপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী ভর্তি হয়ে যেতে শুরু করেছিল। মান্ধাতা আমলের শিক্ষা কার্যক্রমও এজন্য অনেকটা দায়ী। শিক্ষার্থীদের সামনে যদি কর্মসংস্থানের সুযোগ না থাকে তাহলে তরুণরা আগ্রহী হবেন কীভাবে? কারিগরি জনশক্তির সংখ্যা বৃদ্ধি একমাত্র লক্ষ্য হওয়ায় ব্যবসায়ীবান্ধব সরকারের এমন শিক্ষার প্রসারই যথাযথ পরিকল্পনার পরিচায়ক। কেরানি তৈরি করব না বলে এখন মানহীন বেকার তৈরির ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা হচ্ছে।
আমাদের শিক্ষার সঙ্গে কর্মজীবনের সম্পর্ক খুব দুর্বল। কারিগরি শিক্ষা তো এমন হওয়ার কথা নয়। ১৯৫৫ সালে যে কারিগরি শিক্ষা কার্যক্রমের শুরু হয়েছিল, আজও তার ঐতিহ্য সযত্নে লালন করে চলেছি আমরা। প্রযুক্তি যে প্রতিদিন এগিয়ে চলেছে, তা কেউ বিশ্বাস করে বলে মনেই হয় না। সংশ্লিষ্টরা গতানুগতিকতার বাইরে আসতে চায় না। দেশ-বিদেশের কর্মজীবনের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ দক্ষতা অর্জনের কোনো ব্যবস্থা নেই। শিক্ষা কার্যক্রমের আধুনিকীকরণ নেই, পাঠাগারে চলমান প্রাযুক্তিক উন্নয়নধারার পাঠ্যপুস্তক নেই, ব্যবহারিক শিক্ষার আধুনিক যন্ত্রপাতি ও কাঁচামালের অভাব রয়েছে, সর্বোপরি শিক্ষকস্বল্পতা পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাকেই বেহাল করে রেখেছে। তার পরও কারিগরি শিক্ষার প্রসারে সরকার জোর কদমে এগিয়ে চলেছে! যদিও সমস্যার সমাধান করে শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে নেয়ার কোনো উদ্যোগ নেই। দায়িত্বপ্রাপ্ত একজনকে বলতে শুনেছি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সমস্যার কথা জানালে শুনতে হয় ট্যাক ফুল নয়। তাই শিক্ষা আর শিক্ষার্থীদের ভাবনা ভাবার চেয়ে তারা নিজেকে নিরাপদ রাখতে স্রোতে গা ভাসিয়ে চলে। কারিগরি জনশক্তির শিক্ষা ও দক্ষতার মধ্যে ব্যাপক তারতম্যের ফলে জাতীয় উৎপাদনে তারা দুর্বল ভূমিকা রাখছে।
বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তি যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপরেখা ঘোষণা করে তা বাস্তবায়ন করে চলেছে। তবে বর্তমানের কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের বেহাল অবস্থা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কার্যক্রমকে মসৃণ করতে পারছে না। বেহাল থেকে উত্তরণের জন্য যে রসদের প্রয়োজন, তারও সরবরাহ নেই; আগামীতে সে সম্ভাবনা দেখতে পাওয়া যায় না। গুণীজনদের শত চিত্কারেও শিক্ষা খাতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ বৃদ্ধি ঘটছে না। দেশের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ খাতে জাতীয় বাজেটে উদ্বেগজনক অপ্রতুল বরাদ্দ মানবসম্পদ উন্নয়নের পরিচায়ক নয়। জাতীয় উন্নয়ন কর্মসূচির ২ শতাংশ বরাদ্দ নিয়ে চলমান সবার জন্য শিক্ষা কার্যক্রমের মধ্যে কারিগরি শিক্ষার জন্য বরাদ্দ শুধু অপ্রতুল নয়, লজ্জাজনক। কিন্তু কেউ মনে রাখেনি বঙ্গবন্ধু সরকার প্রণীত জাতীয় বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দের কথা। সদ্য স্বাধীন দেশে শত প্রতিকূলতার মধ্যেও তিনি যে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন, সে পথে না হাঁটার কারণে মানসম্পন্ন শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। বিশ্বায়নের জ্ঞান ও দক্ষতাসম্পন্ন কারিগরি জনশক্তি সোনার হরিণ হয়েই থেকে যাচ্ছে।
বর্তমান সরকার জাতিকে শিক্ষানীতি উপহার দিয়ে সমাদৃত হয়েছে। অতীতের সব কয়টি শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটির সুপারিশে গুরুত্ব বিবেচনায় কারিগরি শিক্ষাকে পৃথক অধ্যায় হিসেবে স্থান দেয়া হলেও বর্তমান শিক্ষানীতিতে তা বৃত্তিমূলক শিক্ষার সঙ্গে একই অধ্যায়ে সংযুক্ত। সরকারিভাবে কারিগরি শিক্ষার প্রতি এটাই সবচেয়ে বড় আন্তরিকতার প্রমাণ! সরকার কর্তৃক ঘোষিত ২০২১ সালে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশকে সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তর এবং ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত দেশের কাতারে শামিল করার অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করতে হলে অগ্রাধিকার দিয়ে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। জনসংখ্যাকে মানবসম্পদে পরিণত করতে হলে শিক্ষা ব্যবস্থাকে একুশ শতকের উপযোগী করে গড়ে বৈশ্বিক জনশক্তি সৃষ্টি করতে হবে।
রাজনীতিতে প্রযুক্তির চর্চা করতে হবে। সাধারণের শিক্ষার বরাদ্দ সম্মানজনক হারে বৃদ্ধির পাশাপাশি কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা-প্রশিক্ষণে ব্যয় বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে। শিক্ষা ও প্রশিক্ষণকে কর্মজীবনের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ করে গড়ে তুলতে হবে। মানবসম্পদ উন্নয়নের হাতিয়ার হিসেবে শিক্ষাকে গুরুত্ব দিতে হবে। শ্রম আর মেধার সমন্বয় ঘটাতে হবে। মানুষের ইতিহাসের সঙ্গে প্রযুক্তির ইতিহাসের সমন্বয়ে উন্নয়ন ও অগ্রগতির পরিকল্পনা করতে হবে। আধুনিক প্রযুক্তি মানুষের উন্নত জীবন গঠনে যে প্রভাব বিস্তার করেছে, সে বিষয়ে মূল্যবোধ সৃষ্টির মধ্য দিয়ে মানুষের জীবন-জীবিকায় পরিবর্তন সাধন করতে হবে। প্রযুক্তির অভূতপূর্ব অগ্রগতির স্মারক পাথর যুগ থেকে ন্যানোটেকনোলজি পর্যন্ত বিবর্তন সামনে রেখে নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। প্রযুক্তির ম্যাজিকে জীবন ভরে উঠুক। ঘরে ঘরে স্বাধীনতার স্বাদ পৌঁছে যাক। প্রযুক্তি জাগরণের ঊর্মি হোক। বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে উচ্চারিত প্রযুক্তির নতুন ভাবনাচিন্তা, অনুভূতি আমাদের আকাশে ছড়িয়ে পড়ুক সূর্যের রশ্মির অপ্রতিরোধ্য গতিতে, বাতাসের অবাধ গতিতে।
লেখক : এম আর খায়রুল উমাম, সাবেক সভাপতি, ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি)