শিক্ষার লক্ষ্য নির্ধারণে সংকট ও সংস্কৃতির পদস্খলন - Dainikshiksha

শিক্ষার লক্ষ্য নির্ধারণে সংকট ও সংস্কৃতির পদস্খলন

ড. এ কে এম শাহনাওয়াজ |

প্রায় একদশক আগের কথা। সরদার ফজলুল করিম স্যার খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগে পড়াতে আসতেন। সুযোগ পেলে মাঝে-মধ্যে শিক্ষক লাউঞ্জে স্যারের সঙ্গে গল্প করতাম। অনেক প্রশ্নের সমাধান খোঁজার চেষ্টা করতাম এই মহান মানুষটির কাছ থেকে। একটি বিষয় নিয়ে অনেকদিন থেকেই খুব বিব্রত বোধ করছিলাম। আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব, পাড়া-প্রতিবেশীর পারিবারিক অনুষ্ঠানে ইংরেজিতে নিমন্ত্রণপত্র বিতরণের প্রবণতা দেখে আমার এই বিব্রতবোধ করা। এক বাংলাভাষী পরিবার এই বাংলাদেশে তার আরেক বাংলাভাষী আত্মীয় বা বন্ধুকে ছেলেমেয়ে বা ভাই-বোনের বিয়েতে নিমন্ত্রণ জানাচ্ছেন বিদেশি ভাষায়। বিষয়টা ভীষণ উদ্ভট আর অপমানজনক মনে হতো আমার কাছে। এই প্রবণতা ক্রমে বাড়ছে। একবার মনে মনে শপথ নিয়েছিলাম ইংরেজি ভাষায় দাওয়াতপত্র পেলে আমি সে বিয়ে অনুষ্ঠানে যাব না। কিন্তু পারিবারিক বন্ধন ও সামাজিকতার কারণে নিজের শপথ নিজে ভঙ্গ করছি বার বার।

আমি বুকের ভেতর আটকে থাকা কষ্টের কথাটা সরদার স্যারের কাছে বললাম। জানতে চাইলাম আমাদের সমাজে অর্ধশিক্ষিত শিক্ষিত সবার মধ্যে এমন প্রবণতা বাড়ছে কেন? সরদার স্যারের সঙ্গে যাঁরা মিশেছেন— জানেন স্যার কাউকে আঘাত দিয়ে কোনো কথা বলেন না। আমার প্রশ্নের জবাবে স্যার বললেন: ‘ইংরেজিতে দাওয়াতপত্র ছেপে একটি গোত্রের মানুষ নিজেদের একটি বিশেষ শ্রেণির বলে চিহ্নিত করতে চান। এই গোত্রের শিক্ষিত অর্ধশিক্ষিত দুই শ্রেণির মানুষই আছেন। সার্টিফিকেটে বা চিন্তায় যারা অর্ধশিক্ষিত অথচ অর্থবিত্তে সমৃদ্ধ তাঁরা তাঁদের আভিজাত্য বোঝাতে প্রতীক হিসেবে ইংরেজি ভাষায় পারিবারিক দাওয়াতপত্র মুদ্রণ করেন।

আর আমাদের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ উচ্চশিক্ষিত গোত্রের অনেকে নিজেদের শিক্ষার আভিজাত্য প্রকাশ করতে ইংরেজি ভাষায় দাওয়াতপত্র লিখতে পছন্দ করেন।’ এ দেশের প্রায় সকল পরিবারেই এমন অনেক আত্মীয় আছেন যাঁরা স্বচ্ছন্দে ইংরেজি দাওয়াতপত্র পড়তে পারেন না। অথচ এঁরা দাওয়াত পাওয়ার যোগ্য এবং দাওয়াত পানও। কিন্তু অমন নিষ্ঠুর দাওয়াতপত্র পাঠের জন্য নিশ্চয় তাঁদের অন্যের দ্বারস্থ হতে হয়। জানি না এ দৃশ্য চিন্তা করে দাওয়াতপত্র প্রণেতারা আত্মপ্রসাদ লাভ করেন কিনা। আমি এবং আমার মতো অনেকেই এ ধারার শিক্ষিত মানুষদের দেখেছি বা দেখে যাচ্ছি যাঁরা কথা বলার সময় অনাবশ্যক হলেও দু’চারটি শব্দ বা দু’একটি লাইন ইংরেজি বলতে পছন্দ করেন। অথচ যাঁদের মাতৃভাষা ইংরেজি নয়— যেমন ফরাসি, জার্মান, জাপানি, চীনা, ইরানি, ইরাকি তারা নির্ভেজাল দেশি ভাষাতে কথা বলেন। জার্মানি বা জাপানের মতো দেশে পড়তে গেলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাদের ভাষা শিখে পড়তে বা গবেষণা করতে হয়। ইতিহাস ও ঐতিহ্যের বিচারে এসব দেশ আমাদের অনেক পরে সভ্যতার পাদপীঠে এসেছে। অনেক সংগ্রাম করে নিজেদের অর্থনৈতিক কাঠামো গড়তে হয়েছে। নিজের ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর দাঁড়িয়ে আজ উন্নত দেশের তকমা জড়াতে পেরেছে কপালে। অথচ কেমন এক হীনমন্যতা গ্রাস করেছে আমাদের।

কল্পনা করি, ইংল্যান্ডের এক পার্কে বসে আছি। পাশের বেঞ্চিতে বসে খোশগল্পে মেতেছেন দুই প্রৌঢ় ইংরেজ। ধরা যাক তাঁরা কৈশোরে বাংলায় এসেছিলেন। ইংরেজ শাসন আমলে বাবা চাকরি করতেন বাংলায়। বাংলায় থাকার সুবাদে বাংলা ভাষা রপ্ত করেছিলেন। আজ ইংল্যান্ডের মাটিতে আলাপচারিতায় দুই ইংরেজ মাঝেমধ্যে বাংলা শব্দ বা বাংলা বাক্য ব্যবহার করে কথা বলছেন। বিষয়টি কেমন কৌতুকপ্রদ হবে তা অনুমান করা যায়। আসলে ইংরেজিকে আদর্শ ধরে মিশ্র ভাষার ব্যবহার এককালের ব্রিটিশশাসিত ভারত উপমহাদেশের দেশগুলোতে যত আছে, অন্য কোথাও তেমনটি নেই। এই মানসিকতার সাথে পূর্বপুরুষদের দীর্ঘদিন ইংরেজ তাঁবেদারির একটি মানসিক সম্পর্ক রয়েছে। নিজের ভাষা ও অন্য ভাষা শিক্ষা একটি ইতিবাচক কাজ। বিশ্বায়নের এই যুগে ইংরেজি শিক্ষার গুরুত্ব অনেক বেড়েছে। এ সত্ত্বেও মানতে হবে যে স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে এক ধরনের উগ্র জাতীয়তাবাদী ধারণা বা আবেগ ইংরেজি চর্চা থেকে প্রজন্মকে অনেকটা সরিয়ে এনেছিল। এর কিছু বিরূপ প্রভাবও পড়েছে।

ধীরে ধীরে মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তের পরিবারগুলোর মধ্যে বিদেশমুখিতা এবং সামাজিক আভিজাত্য ও মর্যাদা বৃদ্ধির এক উগ্র মানসিকতার ফসল হিসেবে ইংরেজিমাধ্যম স্কুল গড়ে উঠতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় এবং মূলধারার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বল্পতার কারণে প্রতিষ্ঠিত হতে থাকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এরমধ্যে হাতেগোনা কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় বাদ দিলে বাকি স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশকে বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান বলাই ভালো। আমি একটি নামি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি, তাতে মনে হয়েছে এক ধরনের ‘কমিউনিকেটিভ’ ইংরেজি চর্চা করে শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজ পার করছে। এরা চমত্কার দৃষ্টি এবং শ্রুতি আকর্ষী ইংরেজি বলতে পারে। কিন্তু লেখায় তেমন সাহিত্যিক মানসম্পন্ন বাক্য এবং ওজস্বী শব্দ থাকে না। ব্যাকরণের শুদ্ধ-অশুদ্ধের প্রশ্ন তোলা অবান্তর। এর চেয়ে সনাতন ধারার বাংলামাধ্যম নামি স্কুল-কলেজ থেকে আসা শিক্ষার্থীদের বলার না হলেও ইংরেজি লেখার মান অনেক ভালো। ইংরেজি বলাটা তো অভ্যাসের মধ্য দিয়ে রপ্ত হয়ে যায়।

আমার এক গ্রাম-সম্পর্কীয় ভাইয়ের সঙ্গে অনেক বছর পর দেখা হলো। গ্রামের স্কুলে এইট পাস এই ভাইটি দীর্ঘদিন সৌদি আরবে আছে। সেখানে এক ইউরোপীয় কোম্পানিতে কাজ করে। সাহেবদের সঙ্গে তার কাজ। অবাক হয়ে দেখলাম সে চমত্কার ইংরেজি বলছে। কিন্তু যে পদ্ধতিতে এখন ইংরেজিমাধ্যম স্কুলগুলোতে পড়ানো হচ্ছে, তাতে এসব প্রতিষ্ঠান থেকে বেরুনো শিক্ষার্থীদের না ঘরকা না ঘাটকা হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। আমার এক আত্মীয়ের ছেলে ক্লাস থ্রিতে ধানমন্ডি অঞ্চলের এক নামি ইংরেজিমাধ্যম স্কুলে পড়ে। তার কয়েকটি সংলাপ বলছি; ‘জানো, টুয়েন্টি ফিফথে আমাদের একজাম শুরু হবে।’ ‘আমাদের হিস্ট্রি বইতে ইন্ডিয়ান মনুমেন্টের কথা আছে, ইজিপ্টের পিরামিডও আছে— তবে বাংলাদেশের কোনো মনুমেন্ট নেই।’ অথবা কোনো প্রশ্নের জবাবে বলে ‘আমাদের কোনো টিচার নেই, সব মিসরা পড়ান’। আমি এই শিক্ষার্থীর মাকে দেখেছি বাসায় ছেলের সঙ্গে কথা বলছে এমন সংলাপে; ‘বাবা আজকে চিকেন নেই— ফিস দিয়েই ভাত খেতে হবে।’

এভাবে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে প্রজন্মের একটি অংশ। স্বাভাবিকভাবেই দেশের প্রতি ভালোবাসার জায়গাটি তাদের শক্ত হচ্ছে না। তাদের গর্বিত বাবা-মা ভেবে দেখছেন না সন্তান বনেদি সাহেব না হয়ে ফিরিঙ্গি হয়ে যাচ্ছে। মূল স্রোত বিচ্ছিন্ন হলে দেশান্তরী হয়ে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা যেতে পারে, তবে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে যেতে হবে দেশের মাটিতে। দেশের শিক্ষা নিয়ে যারা ভাবছেন, নীতি-নির্ধারণ যারা করছেন, তাদের ভাবতে হবে এই বারো রকমের শিক্ষাপদ্ধতি কি চলতে থাকবে, না মূলধারার স্কুল-কলেজের পাঠক্রমে সংস্কার এনে ইংরেজি শিক্ষাকে আরেকটু জোরালো করতে হবে।

কিন্তু প্রজন্মকে নিজের সংস্কৃতি বিচ্ছিন্ন করার সব আয়োজন তো আমরা সবাই মিলেই করছি। অনেক টিভি চ্যানেলেই দেখছি তরুণদের জন্য কিছু অনুষ্ঠান করছে। জগাখিচুড়ি ভাষায় উপস্থাপক তরুণ-তরুণীরাই হাত পা নাড়িয়ে উপস্থাপন করে যাচ্ছেন। এরা ‘প্রিয় দর্শক’ কথাটি বলছেন না। এর বদলে পাশ্চাত্যের বিকৃত উচ্চারণ ও ভঙ্গিতে বলছেন ‘হাই ভিউয়ার্স’। গণমাধ্যমের শ্রদ্ধেয় পরিকল্পকরা বাঙালি সংস্কৃতির এমন অপমান কেন করছেন বোঝা গেল না। গণমাধ্যমের প্রধান দায়িত্ব যেখানে দেশীয় সংস্কৃতির লালন করা, নতুন প্রজন্মের মধ্যে দেশাত্মবোধ জাগিয়ে দেওয়া— সেখানে তারা ‘প্রিয় দর্শক’ শব্দ ভুলিয়ে দিয়ে ‘হাই ভিউয়ার্স’ শেখাচ্ছেন। এমন এক টিভি চ্যানেলের সাথে যুক্ত আমার এক বন্ধুকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করেছিলাম। উত্তর থেকে বুঝলাম, এখানেও বাণিজ্য কাজ করছে। প্রতিযোগিতার এই বাজারে তারা বিকৃত হলেও তারুণ্যের উচ্ছ্বাসটাকে প্রশ্রয় দিতে চান।

নতুন প্রজন্মকে শাশ্বত সুন্দরের পথ দেখানোর দায়িত্ব আর এখন কেউ নিতে চান না। গড্ডালিকায় গা ভাসিয়ে দিতে সাহায্য করেন। যে পরিবার পারিবারিক নিমন্ত্রণপত্রে ভিনদেশি ভাষা ব্যবহারে আত্ম অহংকার খুঁজতে চায়, যারা সন্তানের প্রকৃত শিক্ষা হচ্ছে কিনা খোঁজ না রেখে ইংরেজিমাধ্যমে পড়িয়ে আভিজাত্যের জায়গাটি পোক্ত করতে চান, মিডিয়ার পরিকল্পকরা যখন ‘হাই ভিউয়ার্স’ সংস্কৃতি ঢুকিয়ে আধুনিকতা বিকাশের কৃতিত্ব পেতে চান—বলতে দ্বিধা নেই তাদের কাছে এ দেশের উজ্জ্বল সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ইতিহাস অনুপস্থিত। তারা খোঁজ রাখেন না আটশতকে বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যরা চর্যাপদ চর্চার মধ্য দিয়ে বাংলা সাহিত্যের জন্ম দিয়েছিলেন। তের শতক থেকে অবাঙালি সুলতানরা পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে পরিপূর্ণ জায়গায় এনে দাঁড় করিয়ে ছিলেন। উনিশ শতকে ডাচ মিশনারি উইলিয়াম কেরি, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মতো কৃতী পুরুষদের পরিমার্জনায় বাংলা গদ্যসাহিত্যের স্থান পূর্ণ হয়; এমন গৌরবজনক ঐতিহ্যের ধারকদের জন্যই বায়ান্নতে ভাষার দাবিতে রক্ত দেওয়া সম্ভব হয়েছিল। এমন উজ্জ্বল ঐতিহ্য কটি দেশের আছে! এসব চর্চা বিচ্ছিন্ন হচ্ছে বলেই আজ আমাদের এত বিভ্রান্তি। কিন্তু মানতেই হবে ভাষাপ্রেম ছাড়া দেশপ্রেমের জায়গাটি শক্ত হয় না। আর দেশের সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য চাই নিখাদ দেশপ্রেম।

যারা এদেশে প্রচলিত পাঠক্রমে ইংরেজিমাধ্যমে পড়ানোর মধ্য দিয়ে বাজার অর্থনীতির যুগে সন্তানকে যোগ্য করে তুলছি বলে ভাবছেন অথবা ‘হাই ভিউয়ার্স’ সংস্কৃতি ছড়িয়ে দিয়ে তরুণ প্রজন্মকে স্মার্ট করে তুলছেন বলে মনে করছেন, তারা ভুলে গেছেন দৃঢ়মূল প্রোথিত নাহলে উন্নত শিরে গাছ দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না। যে দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বের মনোভূমিতে ঘুণপোকা বসত করেছে, রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকেছে দুর্নীতি, সে দেশের শেষ ভরসা তো তরুণ প্রজন্ম। এদের হাতেই তো তুলে দিতে হবে আগামীর মশাল। বিশ্বের অধিকাংশ দেশই সমৃদ্ধির সোপান পেরিয়ে অনেক উঁচুতে উঠেছে দেশাত্মবোধের সঞ্জীবনীতে উজ্জীবিত হয়ে। নিজ সংস্কৃতি-বিচ্ছিন্ন হয়ে মহত্ কিছু করা যায় না। তাই আমাদের তরুণ প্রজন্মকে মৌলিক শিক্ষা ও সংস্কৃতির ধারাবাহিকতা বিচ্ছিন্ন করিয়ে দিয়ে বিভ্রান্তির চোরাবালিতে ফেলে দেওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে হবে। এই প্রজন্মকে দেশ এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে টিকে থাকা ও এগিয়ে যাওয়ার শক্তি জোগাতে হবে। আবহমান বাংলার সাংস্কৃতিক ধারাবাহিকতা থেকে সংগ্রহ করতে হবে এই শক্তির তেজ। অথচ কী আশ্চর্য, প্রজন্মকে সংস্কৃতি-বিচ্ছিন্ন করছি হীনম্মন্যতায় ভোগা ইংরেজিপ্রেমী অভিভাবক, শিক্ষা ব্যবস্থার নীতি-নির্ধারক আর বণিক মানসিকতার মিডিয়া নিয়ন্ত্রকরা।

দেশের প্রতি দায় ও দায়িত্ববোধ যদি থাকে তাহলে সম্মিলিতভাবে আমাদের ভাবতে হবে করণীয় কর্তব্য সম্পর্কে। ইতিহাসের চক্র বারবার আবর্তিত হয়। ইতিহাস আমাদের বিশ্বাস করতে সাহস জোগায় যে আমরা অবশ্যই ঘুরে দাঁড়াব। এ জন্য চাই হাতে হাত ধরে শক্ত পায়ে দাঁড়ানো।

লেখক: অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ - dainik shiksha আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন - dainik shiksha অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী - dainik shiksha আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ - dainik shiksha শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল - dainik shiksha ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0071790218353271