বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে মোট ৩৪৭টি কলেজ রয়েছে। এরমধ্যে উচ্চ মাধ্যমিকে বরিশাল বিভাগের ১২টি কলেজে কোন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি। কলেজগুলোতে একজন শিক্ষার্থীও না পাওয়ায় আসনগুলো শূন্য আছে। তবে, এসব কলেজে কোনো শিক্ষার্থী কেন ভর্তির আবেদন করেনি এবং শিক্ষার মান খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বরিশাল শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নগরীর জগদীশ সারস্বত গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রতিষ্ঠার এক যুগ কাটলেও শিক্ষার্থীতো দূরের কথা, কলেজ শাখায় নেই কোনো শিক্ষক। এখানে কলেজ শাখার শিক্ষার্থীদের ক্লাস করার কথা থাকলেও চলছে স্কুলের শিক্ষার্থীদের পাঠদান। এছাড়া নগরীর আরিফুর রহমান কমার্স কলেজে এ বছর উচ্চমাধ্যমিকে কেউ ভর্তির আবেদনই করেননি।একই অবস্থা বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন হালিমা খাতুন গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, শহীদ জিয়া আইডিয়াল কলেজসহ ১২টি কলেজের।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, অতিরিক্ত টাকা আদায়, শিক্ষক সংকটসহ পড়ালেখার মান নিয়ে প্রশ্ন থাকায় তারা এসব কলেজে পড়তে চাননা।
জগদীশ সারস্বত মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিজয় কৃষ্ণ ঘোষ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমি দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকে কলেজ শাখায় কোনো ছাত্রী পাইনি। এখানে কোনো শিক্ষকও নেই। এছাড়া কলেজে ভর্তির জন্য কোনো শিক্ষার্থীও আবেদন করেননি।
বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনুস দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, শিক্ষা বোর্ডের আওতায় ১২টি কলেজে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার জন্য আবেদন করেনি। এর পেছনের কারণগুলো হচ্ছে এ কলেজগুলো চলছে না, বা কর্তৃপক্ষ চালাতে ইচ্ছুক নন। এছাড়া এ কলেজগুলোতে শিক্ষার্থীদেরও ভর্তির আগ্রহ নেই। এমন অনেক কলেজ আছে সেগুলো না চালানোর জন্য আবেদন জমা দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
তিনি আরও বলেন, বোর্ডের আওতাধীন উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের আটটি প্রতিষ্ঠান বুয়েটের সার্ভারে ভর্তির রেজিস্ট্রেশন নিশ্চয়ন করেনি।
আটটি প্রতিষ্ঠানে কিছু শিক্ষার্থী অনলাইনে ভর্তির আগ্রহ দেখিয়েছে। এখন বুয়েট থেকে ওই শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন করার জন্য গত ১০ মে পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছিল। পরে তার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। তারপরেও তারা রেজিস্ট্রেশন করেনি। কলেজ পরিদর্শক ওই আট কলেজের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ও প্রতিষ্ঠানের মেইলনম্বর বুয়েটের সার্ভারে পাঠিয়েছে।