এখনই ব্যবস্থা না নিলে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে সংযুক্ত ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলো। সার্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা কর্মসূচি বাস্তবায়নে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সংযুক্ত ইবতেদায়ি মাদ্রাসা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু এ দুটির মাঝে উপবৃত্তি ও অন্যান্য অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধার তারতম্য রয়েছে। ফলে শিক্ষার্থী সংকট তৈরি হয়েছে সংযুক্ত ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলোতে। বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে আরও জানা যায়, ‘ইবতেদায়ি শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে উপবৃত্তি প্রকল্প’ হাতে নিয়েছে সরকার। প্রকল্পটি এর মধ্যে এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তিন বছর মেয়াদি প্রকল্পটি চলতি অর্থবছর থেকে শুরু হয়ে ২০২২ অর্থবছরের শেষ পর্যন্ত চলবে। প্রকল্পটি ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এখনো তা আলোর মুখ দেখেনি।
উপরন্তু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে জামা, জুতা ও ব্যাগ কেনার জন্য এক হাজার টাকা করে অ্যালাউন্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবং ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে বই বিতরণের সময় সেটা প্রদান করা হবে বলে শোনা যাচ্ছে। এই টাকা বই বিতরণ অর্থাত্ ভর্তির সময়ে দেওয়া হলে সিংহভাগ শিক্ষার্থী সরকারি প্রাথমিকে চলে যাবে—এতে সন্দেহ নেই। ফলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে যেমন অতিরিক্ত শিক্ষার্থীর চাপ সামলাতে হবে, তেমনি সংযুক্ত ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলো হয়ে পড়বে শিক্ষার্থীশূন্য। এজন্য ইবতেদায়ি শিক্ষার্থীদের জন্যও উপবৃত্তি চালুর পাশাপাশি জামা, জুতা ও ব্যাগ কেনার জন্য অর্থ বরাদ্দ করা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
লেখক : এস এম মিনহাজ কাদির, শিক্ষক, মহেশপুর, ঝিনাইদহ।