ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শাহেদা ওবায়েদ বলেছেন, লাখ লাখ ছাত্রছাত্রীর ভাগ্য শুধু যদির ওপর নির্ধারণ করা যায় না। শিক্ষামন্ত্রী যে প্রেস কনফারেন্স করেছেন তার প্রতিটি কথার মধ্যেই ‘যদি’ আছে। যদি এমন হয়, যদি অমন হয়, তা হতে পারে না। তিনি সংবাদ সম্মেলনটাকে তালগোল পাকিয়ে ফেলেছেন। শিক্ষার্থীদের নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো দিক নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) সাংবাদিকদের শিক্ষাবিদ শাহেদা ওবায়েদ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পরীক্ষা নেওয়া বোর্ডের কাজ। শিক্ষামন্ত্রীর এ নিয়ে কথা বলা উচিত নয়। এটা সত্য যে, বোর্ড মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নেবে। কিন্তু সিদ্ধান্ত দেবে বোর্ড। শিক্ষামন্ত্রী কি শিক্ষক-অভিভাবক বা শিক্ষাবিদদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেছেন। করোনাকালের এই পরিস্থিতিতে কিভাবে পরীক্ষা নেওয়া হবে তা বোর্ড নির্ধারণ করবে, মন্ত্রণালয় নয়। সব বিষয়ে যদি মন্ত্রীই কথা বলেন তাহলে তো দেশে বোর্ড রাখার কোনো দরকার নেই। ড. শাহেদা ওবায়েদ বলেন, সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী মৌলিক বিষয়গুলো বাদ দিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার কথা বলেছেন।
আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা
সারাবিশ্বে একটি গুরুত্বপূর্ণ সাবজেক্ট হলো ইংরেজি। সেটাকেও তিনি বাদ দিয়েছেন। বাংলা ও অংককে বাদ দিয়েছেন। এগুলোরই তো পরীক্ষা হতেই হবে। অতিরিক্ত সাবজেক্টে কেউ পড়াশোনা নাও করতে পারে। তাকে তো মৌলিক বিষয়ে পড়তেই হবে। এভাবে মেধা যাচাই হবে না। মন্ত্রী এভাবে কথা বলতে পারেন না। সারা বিশ্বের কোথাও এমন দৃষ্টান্ত নেই। অধ্যাপক শাহেদা ওবায়েদ আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত নষ্ট করার অধিকার কারও নেই। স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলে নির্ধারণ করা উচিত ছিল।
করোনা পরিস্থিতি আগের চেয়ে খারাপ পরিস্থিতির দিকে। গত নভেম্বর-ডিসেম্বরের চেয়েও খারাপ পরিস্থিতি। এই অবস্থায় সব স্টেক হোল্ডারদের মতামত নিয়ে পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
কিন্তু গতবার যে অটো পাশ দিয়েছিল সেটা আবার দিলে তা হবে আরও আত্মঘাতি। সবকিছুই এখন অনলাইনে চলছে। সবই চলছে। শুধু শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এমন আচরণ কেন? শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা যে কতটা উদ্বিগ্ন তা তারাই বুঝতেছেন। এটা মন্ত্রী বুঝতেছেন বলে মনে হয় না।দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন
সূত্র : ১৬ জুলাই, বাংলাদেশ প্রতিদিন