দেওয়ানগঞ্জের চুকাইবাড়ী ইউনিয়নের অধিকাংশ এখন যমুনা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এ ইউনিয়নের বীর হলকা উচ্চ বিদ্যালয় যমুনার ভাঙনের পরও নদী তীরে দাঁড়িয়ে আছে।
এর অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী যমুনায় জেগে ওঠা কয়েকটি চরের বাসিন্দা। সব ঋতুতেই ওই চরগুলো থেকে ছাত্রছাত্রীদের বিদ্যালয়ে আসা কষ্টকর। ভাড়া নৌকায় যাতায়াতে বেশ ভোগান্তিও পোহাতে হয় তাদের। চরাঞ্চলের এসব ছাত্রছাত্রীর স্কুলে যাতায়াতে দুর্ভোগ লাঘবে জেলা প্রশাসক তার টিআর তহবিল দিলেন নৌকা তৈরি করতে।বীর হলকা উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯৭১ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যে বীর হলকা গ্রামটি যমুনার ভাঙনে তছনছ হয়ে যায়। রেললাইনের পাশে স্থানান্তর করা হয় বীর হলকা উচ্চ বিদ্যালয়টি। এ গ্রামসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ বসতি স্থাপন করে যমুনার জেগে ওঠা চরগুলোতে। এর মধ্যে টিনেরচর, চর হলকা হাওড়াবাড়ী, নতুন হলকারচর, চরহরিণধরার ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পড়ূয়া দেড় শতাধিক ছাত্রছাত্রীর লেখাপড়ার জন্য একমাত্র ভরসা বীর হলকা উচ্চ বিদ্যালয়। চরগুলো থেকে প্রতিদিন শিক্ষার্থীরা ভাড়া নৌকায় ওই স্কুলে যাতায়াত করে।
এতে সব সময় ভোগান্তিতে পড়ে তারা। বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষ উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যেমে জেলা প্রশাসককে জানালে, জেলা প্রশাসক গত জুন মাসে তার নিজস্ব টিআর বরাদ্দ থেকে দুই লাখ টাকায় নৌকা তৈরির জন্য অনুদান দেন। সে টাকায় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে ৪০ হাত লম্বা নৌকা তৈরির কাজ শেষ হয়। স্কুল খুললে ওই নৌকায় করে চরগুলো থেকে প্রতিদিন ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে আনা ও বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে। এতে শিক্ষার্থীদের অর্থ ব্যয় হবে না এবং যাতায়াতে দুর্ভোগ লাঘব হবে।বীর হলকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মঞ্জুরুল হক এবং প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ জানান, চরাঞ্চলের ছাত্রছাত্রীর দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে জেলা প্রশাসকের অর্থায়নে নৌকাটি তৈরি করা হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এনামুল হাসান জানান, নৌকাটি তৈরির ফলে চরাঞ্চলের ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে যাতায়াত করতে আর দুর্ভোগ পোহাতে হবে না।