স্বাস্থ্যকর্মীদের অদক্ষিতায় পটুয়াখালীর বাউফলে ফাইজারের শতাধিক ডোজের করোনা ভ্যাকসিন নষ্ট হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা শিক্ষার্থীদের টিকা ভ্যানু উপজেলা চত্বরের অফিসার্স ক্লাবে গতকাল রোববার এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থান সংকুলান না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রমের ভ্যান্যু নির্ধারিত হয় উপজেলা পরিষদ চত্বরের অফিসার ক্লাবে। সেখানেই ১ অক্টোবর থেকে নিয়মিত স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা শিক্ষার্থীদের করোনা টিকা দেয়া হয়। রোববার সকালে টিকা দেয়ার দায়িত্বে থাকা ফেরদৌসি আক্তার নামে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন সিনিয়র স্টাফ নার্সকে ভায়াল থেকে শতাধিক (১ম ও ২য় ডোজের) ডোজ টিকা সিরিঞ্জে ভরে জমা করে রাখতে দেখা যায়। একপর্যায়ে ওই জমা করে রাখা সিরিঞ্জ থেকে আখি বেগম ও রিপা বেগম নামে দুই শিক্ষার্থীকে টিকা দিতে গেলে সোহরাব হোসেন নামে এক অভিভাবক এতে বাধা দিয়ে সিরিঞ্জে জমা করে রাখা টিকা দেয়া বন্ধ করতে বলেন। এতে টিকা দেয়ার কাজে নিয়োজিত কয়েকজন ওই অভিভাবকের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন।
ইপিআই টেকনিশিয়ান মো. মঞ্জুরুল হক জানান, এভাবে রাখলে টিকার স্বাভাবিক গুণগত মান নষ্ট হয়ে যায়। করোনার টিকা ভায়াল থেকে নিয়ে সিরিঞ্জ ভরে সঙ্গে সঙ্গেই পুস করতে হয়। সিরিঞ্জে ভরে জমিয়ে রাখার কোন সুযোগ নেই। ইতোমধ্যে টিকাগুলো পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
তবে ভ্যানুর দায়িত্বে থাকা সিনিয়র স্টাফ নার্স ফেরদৌসি আক্তার, আখি ও রিপা বেগম জানান, ইপিআই টিকা কার্যক্রমের কোন ধরনের অভিজ্ঞতা না থাকায় এমন ঘটনা ঘটেছে। ইপিআই কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা শুরু থেকেই ভায়াল থেকে টিকা সিরিঞ্জে ভরে জমা রেখে একের পর এক পুশ করেন, তাই আমরাও একই নিয়ম পালন করেছি।
ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে উল্লেখ করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার সাহা বলেন, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার অধিকার কারো নেই।