নওগাঁর মহাদেবপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মামলা করায় প্রতিপক্ষরা একজন অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষিকার পা ভেঙে দিয়েছেন। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ওই শিক্ষিকা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় তার স্বামী অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দীন বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে গতকাল মঙ্গলবার রাতে মহাদেবপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা কমপ্লেক্সের দক্ষিণ গেটের আত্রাই নদের বাধ সংলগ্ন বাসিন্দা নাসির উদ্দিন মাস্টারের সাথে তার প্রতিবেশি মৃত মুনির উদ্দিনের ছেলে মাহতাব উদ্দিনের দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে প্রতিপক্ষরা তাকে বিভিন্ন সময় হুমকি-ধামকি দিলে নাসির উদ্দিন নওগাঁ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে ১০৭ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। গত শনিবার দুপুরে কোর্ট থেকে এ ব্যাপারে সমন জারি হয়। সমন হাতে পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিপক্ষরা তাদের ওপর হামলা চালায়। তারা নাসির মাস্টারের বাড়ির লোকজনকে বাড়ির সামনে ডেকে নিয়ে মামলা তুলে নিতে হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষ মাহতাব উদ্দিন ক্ষিপ্ত হয়ে নাসির মাস্টারের স্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক পাঞ্জাতুন বেগমকে (৬৫) মারধর করেন। এক পর্যায়ে মোটরসাইকেল তার বাম পায়ের উপর তুলে দেওয়া হয়। এতে তার বাম পায়ের উরুর উপরের কয়েক জায়গায় ভেঙে যায়।
এছাড়াও প্রতিপক্ষদের লাঠির আঘাতে নাসির মাস্টারের ছেলে রবিউল আউয়াল বিপ্লুর স্ত্রী মহসিনা বেগম (২৮), নাতনি রুম্মানুল জান্নাত বিপা (১৩), কোলে থাকা নাতনি ছামিয়া জান্নাত মারাত্মক আহত হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেন। সেখানে পাঞ্জাতুনের অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। মামলায় আসামীরা ৭৫ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়।
মহাদেবপুর থানার পরিদর্শক আজম উদ্দিন মাহমুদ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, এ ঘটনায় নাসির উদ্দীন মাস্টার বাদী হয়ে মাহতাব উদ্দিন, তার স্ত্রী মাহফুজা খানম, ছেলে আরাফাত, ছেলের বউ মেহেরুমা খানম ও তাদের সহযোগী বটর এবং আঙ্গুরকে আসামী করে মঙ্গলবার একটি মামলা দায়ের করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।