বাঘায় শিবির কর্মীর যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন এক হিন্দু পরিবারের স্কুলছাত্রী। অভিযুক্ত শিবির কর্মীর নাম হাফেজ তারেক চৌধুরী। এ ঘটনায় সম্প্রতি গ্রাম্য সালিশে তাকে বিয়ে করে বাড়ি ফেরার নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর। অন্যথায় এলাকা ছাড়ারও নির্দেশ দেয়া হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, পাশের লালপুর উপজেলার আব্দুলপুর গ্রামের মানিক চৌধুরী তার নিজ এলাকায় পল্লী চিকিৎসকের দায়িত্ব পালন করেন। কয়েক বছর আগে তিনি বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌর এলাকায় জমি কিনে আরও একটি বাড়ি নির্মাণ করেন। এরপর আড়ানী পৌর বাজারে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে চৌধুরী ডিজিটাল স্টুডিও তৈরি করে সেখানে তার দুই ছেলে হাফেজ তারেক চৌধুরী এবং রফিক চৌধুরীকে ব্যবসা পরিচালনার দায়িত্ব দেন। এর মধ্যে তারেক চৌধুরী শিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
অভিযোগে জানা যায়, গত ১৩ জুন বিকেলে আড়ানীতে নিজ বাড়ির পাশে সপ্তম শ্রেণীর ওই ছাত্রী অবস্থান করছিলেন। এই সুযোগে শিবির কর্মী তারেক চৌধুরী বাড়িতে প্রবেশ করে যৌন হয়রানির চেষ্টা করে। ওই ছাত্রীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে গেলে সেখান থেকে পালিয়ে রক্ষা পায় তারেক চৌধুরী।
এদিকে ঘটনার দুদিন পর মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আশাদুল ইসলাম রানার সভাপতিত্বে অভিযুক্ত তারেক চৌধুরীর বাড়িতে একটি সালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে তারেক চৌধুরীকে দুই লাখ টাকা জরিমানা গুনতে হয় বলে নিশ্চিত করেন পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুজ্জামান শহিদ। তবে উভয় পরিবারের ডাকে সালিশে মীমাংসার কথা স্বীকার করলেও টাকা নেয়ার ঘটনা সঠিক নয় বলে দাবি করেন পৌর কাউন্সিলর আশাদুল ইসলাম রানা।
আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’
তিনি বলেন, জাতিগতভাবে দুই পক্ষ পৃথক ধর্মালম্বী হওয়া এবং মেয়ের বয়স কম হওয়ার কারণে ছেলের পিতা মানিক চৌধুরীকে বলা হয়েছে ছেলেকে গ্রামের বাড়ি আব্দুলপুর নিয়ে যান। এরপর তাকে বিয়ে দিয়ে তবেই আড়ানীতে পাঠাবেন।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন