চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার কাঁশারা দারুল উলুম মাদরাসায় ৫ বছর বয়সি এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। মাদরাসার শিক্ষক মো. আবুল হোসেনের (২৭) বিরুদ্ধে ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে ওই মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার দিনই শিশু শিক্ষার্থীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে শিশুটি চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
ভুক্তভোগী শিশুটির মা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, প্রতিদিনের মত আমার মেয়ে সকাল সাড়ে ৮টার সময় মাদরাসায় যায়। মাদরাসা ছুটির শেষে দুপুরে সে বাড়িতে আসে। তাকে অন্যমনস্ক, মনমরা দেখে কারণ জিজ্ঞাস করলে সে কান্না করতে থাকে। পরে তার কাপড়ে রক্ত দেখতে পাই। পরে মেয়ে জানায়, ছুটির পর সে যখন মাদরাসা ভ্যানের জন্য অপেক্ষা করে তখন সহকারী শিক্ষক মো. আবুল হোসেন (২৭) বিভিন্নভাবে ফুসলিয়ে, চকলেট খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে মাদরাসার একটি খালি রুমে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
তিনি আরও বলেন, আমি এ ঘটনাটি জানতে পেরে আমার মামা শ্বশুরের সাথে নিয়ে আমার মেয়েসহ ওই মাদরাসায় যাই। তবে, মাদরাসায় লম্পট শিক্ষককে পাওয়া যায়নি। পরে, মাদরাসা কমিটির সদস্যসহ স্থানীয় গন্যমান্যদের পরার্মশে মেয়েকে নিয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। অবস্থা অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে পাঠান। বর্তমানে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
কাঁশারা দারুল উলুম মাদরাসার ‘নায়েবে মুহতামিম’ আরিফুর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, এই ঘটনায় আমরা হতবাক। দোষীকে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদ হোসেন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সামগ্রিক বিষয় পর্যবেক্ষণ করেছি। ধর্ষক শিক্ষককে আটকের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।