যশোরের বেনাপোলে এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক মাদরাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে। পরে ভুক্তভোগী ছাত্রী শনাক্ত করার পর অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত সালমান ফার্সি (২৬) বেনাপোল দারুস সালাম কওমি মাদরাসার শিক্ষক।
শিশু শিক্ষার্থীর বাবা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, তার মেয়ে সকাল ১০টার সময় ভবেড়বেড় দারুস সালাম কওমি মাদরাসায় পড়তে যায়। দুপুরে শিশুটি মাদরাসার থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়িতে এসে কান্নাকাটি করতে থাকে। তখন তাকে জিজ্ঞেস করলে সে ঘটনাটি জানায়। তিনি তার মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় অভিযোগ করেন।
পরে পুলিশ মাদরাসার চার শিক্ষককে জিজ্ঞেসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে। পরবর্তীতে এই চার জনের ছবি শিশুটিকে দেখালে এদের মধ্যে সালমান ফার্সি নামে একজনকে শিশুটি শনাক্ত করে। এ সময় পুলিশ সালমানকে আটক করে বাকি তিনজনকে ছেড়ে দেয়।
এদিকে শার্শায় অপর এক শিশু ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শার্শার রামপুর গ্রামের সাগর হোসেন (১৫) এক কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ।
শার্শা ইউপি সদস্য কবির হোসেন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ঘটনাটি জানার পর মেয়ে বাবা মাকে থানায় পাঠানো হয়েছে। থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শার্শা থানার ওসি বদরুল আলম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, শিশুটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে।