ইউনিসেফের নতুন এক জরিপের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি দশজন বাংলাদেশি শিশুর মধ্যে নয়জনই বলেছে যে, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং শিশুদের সরাসরি প্রভাবিত করে এমন খাতগুলোতে সরকারি ব্যয় বাড়ানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জরিপে ১৪ হাজার শিশু ও ১৮-২৪ বছর বয়সী ৩৭ হাজার তরুণ-তরুণী অংশ নেন। যেখানে জাতীয় বাজেট সম্পর্কে তাদের মতামত জানতে চাওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে শিশু বিষয়ক সংসদীয় ককাসের সভাপতি শামসুল হক টুকু বলেন, শিশুদের আমাদের কাছ থেকে অনেক কিছু জানার, চাওয়ার ও আশা করার অধিকার আছে। একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাদের কথা শোনা এবং তাদের সঙ্গে অর্থবহভাবে সম্পৃক্ত হওয়া উচিত আমাদের। আমার জায়গা থেকে, আমি সবসময় তাদের অধিকারের জন্য সোচ্চার থাকবো এবং একটি উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে আমি তাদের কণ্ঠস্বরকে জাতীয় নেতাদের কাছে পৌঁছে দেবো।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, শিশুদের জীবনের প্রতিটি দিক কোভিড-১৯ মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এই জরিপের ফলাফল দেখায় যে, তারা এ ব্যাপারে সচেতন ও উদ্বিগ্ন। তবে এটি গুরুত্বপূর্ণ যে জাতীয় নেতারা তাদের কথা শোনেন।
তিনি বলেন, শিশু ও তরুণদের ভবিষ্যতকে প্রভাবিত করে এমন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে তাদের অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণের জন্য আমাদের আরও জায়গা তৈরি করে দিতে হবে। আমাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে তাদের দেখাতে হবে যে তাদের মতামতও গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের জাতীয় বাজেটে শিশু খাতে আরও বেশি বরাদ্দ দেওয়া প্রয়োজন।
মহামারির কারণে ১৮ মাস স্কুল বন্ধ থাকায় পড়াশোনার ক্ষতির বিষয়টিই জরিপে অগ্রাধিকার পায়। এতে অংশগ্রহণকারী শিশুদের ৮৫ শতাংশেরও বেশি বলেছে, শিশুদের পড়াশোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করার জন্য শিক্ষাখাতে আরও বেশি ব্যয় করা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
জরিপে অংশগ্রহণকারী বেশিরভাগ শিশুরা বলেছে, যেটা সবচেয়ে বেশি জরুরি তা হচ্ছে শিক্ষকদের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের পেছনে বিনিয়োগ করা।