শেখ রাসেলের জন্মদিন ও দেয়াল পত্রিকা প্রকাশ প্রসঙ্গে - দৈনিকশিক্ষা

শেখ রাসেলের জন্মদিন ও দেয়াল পত্রিকা প্রকাশ প্রসঙ্গে

এম.এ.মান্নান বাবুল |

‘ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে।’   এ বিশ্বাস আামাদেরও। আমরা বিশ্বাস করি প্রতিটি  শিশুর মধ্যেই লুকিয়ে আছে অমিত সম্ভাবনা। আমাদের শিশুদের বোধগম্যতা বা নতুন কিছুকে আয়ত্ত করার সামর্থ্য বা ক্ষমতা কোনো দেশের চেয়ে কম নয় বরং অনেক বেশি। তাদের শুধু কোনো কিছুতে অংশগ্রহণের ক্ষেত্র বা সুযোগ তৈরি করে দিলেই হলো। সুযোগটি দিয়ে সেটি কাজে লাগানোর জন্য যদি একটু উৎসাহ দেয়া যায়, তাহলে তারা অনেক কিছু করে দেখাতে পারে।

আমরা অনেকেই মনে করি শিশুদের কাজ শুধু বই পড়া। নিয়মিত স্কুলে যাওয়া, শিক্ষকের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা, তবেই তার মঙ্গল। শিশুরা ক্লাসের বই পড়বে সেটা সত্য। কিন্তু এই ক্লাসের বইকে যথাযথভাবে হৃদয়ঙ্গম বা উপলদ্ধি করার জন্য তার অন্যান্য বই পত্র-পত্রিকা পড়া ও খেলাধূলাসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করানো দরকার। সে অংশগ্রহণ করুক তার পছন্দের খেলায়, সে পড়ুক তার পছন্দের বইটি, সে  গেয়ে উঠুক তার পছন্দের গান বা কবিতাটি । তাতে সে যেমন মজা পাবে সেই সঙ্গে কিছু অজানা বিষয় আয়ত্ত  করবে বা জানবে, এভাবেই সে প্রকৃতি ও সমাজকে অনুধাবন করতে শিখবে, বিশ্লেষণ করতে শিখবে। এ বিশ্লেষণ, ব্যাখ্যা তার অনুসন্ধিৎসু মনকে আরো  অনুসন্ধানী করে তুলবে। তখন তাকে অনুসন্ধান বা স্পৃহা নিবারণের  জন্য বইয়ের কাছেই আসতে হবে। এমনিতে হয়তো সে পড়ালেখায় কোনো কোনো বিষয়ে খুব ভালো বা কোনো বিষয় কম পড়তে চাইতে পারে। কিন্তু তাকে যদি পড়ালেখা বিষয়ক কোনো  একটা প্রতিযোগিতায় সম্পৃক্ত করা যায়, তাহলে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ তথা জয়লাভ করার জন্য সে ক্লাসের বইয়ের পাশাপাশি অন্যান্য বই বা পত্র-পত্রিকা পড়তে উৎসাহী হবে। তাতে সে অনেক বিষয়ে অনেক কিছু জেনে যাবে বা জানার সুযোগ তৈরি হবে।।

 

এই জানার একটা মজা আছে, যদি কেউ জানার মজাটা পেয়ে যায় তাহলে তাকে আর পড়ালেখার জন্য চাপ দিতে হবে না। সে নিজেই তার পড়া শিখে নেবে এবং সবসময় যৌক্তিক চিন্তা দ্বারা তার জীবন পরিচালনা করতে আগ্রহী হবে।  কোনো কূপমণ্ডুকতা তাকে গ্রাস করতে পারবে না। কোন উস্কানিতে অন্যের ক্ষতি হয় এমন কাজ করবে না। আমি মন করি, এ কাজটি বিদ্যালয়ের কাজের বা দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। কারণ বিদ্যালয়ের শিক্ষকের কাজই তার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ভাল কাজে উৎসাহ প্রদান বা তার জ্ঞান স্পৃহা বৃদ্ধির জন্য  তথ্য ও তত্ত্বের জোগান দেয়া।

শহরকেন্দ্রিক কিছু বিদ্যালয়কে বাদ দিলে বাকি যে বিদ্যালয়গুলো থাকে সেসব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার পাশাপাশি কোনো সহপাঠক্রমিক কাজের ক্ষেত্র কি প্রস্তুত আছে? নেই । বাংলাদেশের গ্রামে-গঞ্জে সকল জায়গায় ক্রিকেট খেলার প্রচলন চোখে পড়ার মতো। একটু খালি জায়গা পেলেই শিক্ষার্থীরা ব্যাট-বল হাতে খেলতে লেগে যায়। শুধু যদি ক্রিকেট খেলাকে বাদ দেই তাহলে দেখা যাবে আর কোনো খেলাই স্কুলগুলোতে চলমান নেই, এমন কি ফুটবল খেলার প্রচলনও তলানীতে পৌঁছেছে। অন্যান্য দেশীয় খেলার  চর্চার সুযোগ নেই বললেই চলে বা চর্চার জন্য উৎসাহিত করা হয়ে ওঠে না।

কোভিড -১৯ সংক্রমণের পূর্ববর্তী সময়ে সরকারি বা বেসরকারি ছোট-বড় প্রায় সকল স্কুলে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন হতো। সে সকল অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক নেতা ছাড়াও প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দিতেন। এসব বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন ও পুরস্কার প্রদানের জন্য স্কুলগুলো একটা বাজেট রাখে। অতিথিরাও পুরস্কার প্রদান করেন, তাতে শিক্ষার্থীরা উৎসাহিত হয়। এমন রীতি বহুকাল আগে থেকেই চলে আসতে দেখেছি। এটি নিঃসন্দেহে ভাল ।

এসব প্রচেষ্টা বা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রয়াস বা চেষ্টার ফসল আজকের সাকিব আল হাসান বা মাশরাফি বিন মর্তুজা বা মুশফিকুর রহিম বা আজকের ক্রিকেট বা ফুটবলের জামাল ভূঁইয়ারা। ইতোমধ্যেই অনেক তারকা খেলোয়াড় আমাদের দেশে তৈরি হয়েছে রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায়। হয়তো আরো বড় কোন তারকার জন্য আমরা অপেক্ষা করে আছি। হয়তো একদিন পাব। ভালো কিছুর পৃষ্ঠপোষক আমাদের  বিদ্যালয়। মাধ্যমিক বিদ্যালয়েই পড়ালেখার পাশাপাশি সৃজনশীল  বা গুণিমানুষ তৈরির উৎকৃষ্ট জায়গা। তাদের পৃষ্ঠপোষকতা বা  লালন-পালনেই  বিকশিত হয় একটি দেশের খেলাধুলা ও সংস্কৃতি। বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সাথে স্কুলে বিচিত্রা বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের অয়োজন হয়ে থাকে। সেখানে কিছু শিক্ষার্থী গান-নাচে অংশগ্রহণ করে থাকে। প্রশ্ন হলো, যারা এসব অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে, তারা কি স্কুলগুলোর উৎসাহ বা পৃষ্ঠপোষকতার ফসল? মনে হয় উত্তরটি হবে না। বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যারা অংশগ্রহণ করে, তারা তাদের পারিবারিক উৎসাহ বা কারো  কারো ব্যক্তিগত প্রচেষ্টার ফসল। আর যদি ধরেও নিই স্কুলসমূহে খেলাধুলা বা নাচ-গানের চর্চা হচ্ছে ।

প্রশ্ন হলো, সহপাঠক্রমিক কাজ কি শুধু খেলাধুলা বা কিছু নাচ-গান? আর যতটুকু চর্চা হচ্ছে তা কি পর্যাপ্ত? তা মোটেই পর্যাপ্ত নয়। স্কুলগুলো খেলাধুলায় না হয় কিছু চর্চা হয় কিন্তু নাচ-গানের জন্য কি কোনো চর্চার ব্যবস্থা হয়? এর উত্তর নির্দ্বিধায় বলা যায় না। আর এসব কাজে শিক্ষার্থী অংশগ্রহণের শতকরা হারই বা কত? কিছু শিক্ষার্থী না হয় এ কয়টি ইভেন্টে অংশগ্রহণ করলো, বাকি শিক্ষার্থীরা কোথায় যাবে? এমন হাজারও প্রশ্ন করা যায়। কিন্তু উত্তর কে দেবে? প্রতিটি বিদ্যালয়ে যদি খেলাধুলা বা বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন কারা যায়, তাহলে দেয়াল পত্রিকা প্রকাশের আয়োজন কেন করা যাবে না? দেয়াল পত্রিকা প্রকাশে কি খুব বেশি টাকা খরচ হয়? এর সম্পৃক্ততাতে কি খুব জনবল খরচ হয়? হয় না। কিন্তু এ কাজটি আগ্রহ নিয়ে গ্রাম-গঞ্জের কোনো প্রধান শিক্ষক খুব একটা আগ্রহ দেখান না। এ ইভেন্টে টাকা খরচ কম কিন্তু কার্যকর অংশগ্রহণের মূল্য অনেক বেশি। যার ফল সুদূর প্রসারি। দেয়াল পত্রিকা প্রকাশে যে শিক্ষার্থী লেখা দিয়ে বা পত্রিকা প্রকাশের কাজে সরাসরি অংশগ্রহণ করলো, সে তো লাভবান হবেই, তার বাইরে যে সব শিক্ষার্থী দেয়াল পত্রিকায় প্রকাশিত লেখাগুলো পড়বে তারাও প্রকারান্তরে লাভবান হবে এবং দেয়াল পত্রিকা প্রকাশের উৎসবটি তার মনে অনেকদিন ধরে জাগরুক থাকবে। এই সংস্কৃতি তার কাছে খুব পরিচিত মনে হবে এবং তার মধ্যেও সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের সুপ্ত ইচ্ছাটি জাগতে পারে প্রজন্মান্তরে। নিজের ভাবনাটি প্রকাশ করার আগ্রহ তাকে দেখাতে পারে নতুন ঠিকানা বা খ্যাতি। হয়তো তার কাছ থেকেই জাতি পেয়ে যেতে পারে অসাধারণ কোনো সাহিত্য। পরবর্তী  প্রজন্মের ওপর যার ব্যাপক প্রভাব পড়বে। এভাবে বংশ পরস্পরায় জ্ঞান লাভের ধারাবাহিক পথ প্রশস্ত করবে। তৈরি হবে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা।

সারা বছর আমাদের জাতীয় দিবসগুলোকে উপলক্ষ করে ২/৩টি দেয়াল পত্রিকা প্রকাশ করা কঠিন  কাজ নয়। প্রয়োজন শুধু আগ্রহ ও শিক্ষার্থীদের নির্দেশনা প্রদান করা। তাতে তাদের লেখাপড়ার ব্যতয় ঘটবে না, বরং তাতে তার সৃজনশীলতা বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে। তার লেখা প্রকাশের স্কুল পরিচিত বা খ্যাতি তাকে আগ্রহী করে তুলবে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেবে। তার আজকের ছোট প্রয়াস কোনো একটা বিষয়ের লেখালেখি তার আত্মবিশ্বাসকে খুব শক্তিশালী করবে যা তার পরবর্তী জীবনে ফল বয়ে আনবে। আমার জানা মতে, স্কুলগুলোর শিক্ষকরা নির্ধারিত কিছু ক্লাসের বাইরে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল কাজে অংশগ্রহণ করানোর উৎসাহ দেয়ার কথা বেমালুম ভুলে গেছেন। এর বড় একটি কারণ হয়তো শিক্ষার্থীদের জিপিএ ফাইভ অর্জন করার প্রাণান্তকর চেষ্টা বা আকাঙ্ক্ষা। অভিভাবকরাও মনে করেন, তার সন্তান জিপিএ ফাইভ অর্জন করতে না পারলে পরবর্তী জীবনে ভালো কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবে না।  ভালো কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে না পারাটা শিক্ষার্থীর জীবন বৃথা হয়ে নামান্তর । অভিভাবক তথা শিক্ষার্থীর এমন ভাবনা হতেই পারে, কিন্তু এরকম ভাবনা থেকে তাদের ফেরাবে কে? বিদ্যালয়ই এ ধরনের প্রতিযোগিতা থেকে নিবৃত্ত হতে উৎসাহ জোগাতে পারে। এবং আশা করা যায় তাতে জাতি সফল হবে। 

যাই হোক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি)  এ বছরের ১৮ই অক্টোবর ‘শেখ রাসেল দিবস’ হিসেবে উদযাপন হয়েছে। জাতির জনকের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে প্রত্যেক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দেয়াল পত্রিকা প্রকাশের নির্দেশনা দিয়েছে। উদ্যোগটি অত্যন্ত  অর্থবহ এবং সময়োপযোগী তাতে সন্দেহ নেই। দেয়াল পত্রিকায় যারা লিখবে তারা প্রত্যেকই ক্ষুদে সৃজনশীল লেখক। আমাদের দেশে আজ যারা বড় বড় কবি বা লেখক হয়েছেন- খোঁজ নিলে দেখা যাবে তাঁরা প্রায় প্রত্যেকেই  ছেলেবেলায় দেয়াল পত্রিকায় লিখে লিখে তাঁদের কাঁচা হাতকে পাকিয়েছেন। আজ তারা বাংলা ভাষার বড় লেখক, বুদ্ধিজীবী। তাঁরা দেশের সংকটে বা ক্রান্তিকালে তাঁদের লেখনীর মাধ্যমে জাতিকে পরামর্শ দেন, যৌক্তিক সমালোচনা করেন, তাতে জাতি কোনটা ঠিক কোনটা ঠিক নয় তা বুঝতে পারে, সরকারও কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তাদের দ্বারা বাংলা ভাষা ও সাহিত্য সমৃদ্ধ হয়েছে, হচ্ছে।  দেয়াল পত্রিকায় স্কুলের শিক্ষার্থীরা তাদের সুন্দর সুন্দর ভাবনা বা তাদের ভাল লাগা বা অনুভব মন্দ লাগা কোনো অভিজ্ঞতা ভ্রমণ বা স্মরণীয় কোনো ঘটনা পিতা-মাতা,নিজ বিদ্যালয় বা প্রিয় শিক্ষককে নিয়ে লিখতে পারে। আবার যে দিবসকে নিয়ে দেয়াল পত্রিকাটি প্রকাশিত হতে যাচ্ছে তাঁকে নিয়ে বা তাঁর সংশ্রব বা সংশ্লিষ্টতা নিয়ে লেখা যেতে পারে। আরো লেখা যেতে পারে তাঁর যাপিত জীবন, আচরণ বা তাঁর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের স্মৃতিতে তিনি কেমন ছিলেন, তাঁর অভাববোধ, বেঁচে থাকলে কী হতে পারতেন। শেখ রাসেলের সাথে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টিতে তিনি কেমন ছিলেন ইত্যাদি বিষয়ে লেখা যেতে পারে। হতে পারে আমি যা ভাবছি তার বাইরে কোনো ভাবনা যা কোনো একটি ফ্রেমে বন্দি নয় বরং লেখার বিষয়টি অবারিত।

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে আমাদের ক্ষুদে লেখকরা বা শিক্ষার্থীরা সে বিষয়ে লিখতে কতটা আগ্রহী বা লিখতে পারবে কিনা। কেননা লেখালেখির প্রচলনটি আমাদের মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহে খুব প্রচলিত নয়। খেলাধুলা বা সাংস্কুতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন যতটা সহজ, দেয়াল পত্রিকা প্রকাশ করা ততটাই কঠিন। কেননা আমরাই সহজ বিষয়টিকে কঠিন করে রেখেছি। দেয়াল পত্রিকা প্রকাশের ঘোষণাটি আরো আগে দিলে ভালো হতো। একেতো স্কুল বন্ধ, তার উপর শিক্ষার্থীদের চর্চা নেই বা চর্চার জন্য তাদের উৎসাহিত করা হয় না। যাই হোক, দেরিতে হলেও মাউশি অধিদপ্তরের উদ্যোগ খুব প্রাসঙ্গিক । শুরু করলেই প্রচলন  হবে। অধিদপ্তর যদি এখন থেকে প্রতিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বছরে তিনটি দেয়াল পত্রিকা প্রকাশের নির্দেশ দেয়,  তাহলে  যেকোনো দিবসকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীরা লিখতে পারবে। তাহলে সৃজনশীল লেখায় শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়বে এবং শিক্ষাক্ষেত্রে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। দেয়াল পত্রিকা প্রকাশ ছাড়াও যেমন কবিতা আবৃত্তি, বিতর্ক চর্চা, দেশীয় খেলাধুলার চর্চা ও দেশাত্ববোধক গানের চর্চা অর্থাৎ সহপাঠক্রমিক কাজের একটি সুনির্দিষ্ট তালিকা করে স্কুলগুলোকে তা প্রতিপালনের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়ার পাশাপাশি মনিটরিং-এর ব্যবস্থা করা যায়; তবে আশা করা যায় আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরাও তাদের সামর্থের প্যারামিটার প্রদর্শনে সক্ষম হবে।

প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, বাংলাদেশ আগামী ২০৪১ খ্রিষ্টাব্দে উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করবে। সেই ঘোষণা অনুযায়ী উন্নত দেশের উন্নত  নাগরিক প্রয়োজন। তাই দেশে চিন্তাশীল, যুক্তিশীল, সৃজনশীল, ধৈর্যশীল নাগরিক তৈরির জন্য এখন থেকেই জোরেশোরে পড়ালেখার পাশাপাশি সকল শিক্ষার্থীকে কোনো না কোনো সহপাঠক্রমিক কাজ চর্চার মাধ্যমে উন্নত মানসের উন্নত নাগরিক তৈরি করা খুব জরুরি হয়ে উঠেছে।

লেখক : এম.এ.মান্নান বাবুল, ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচি

দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ - dainik shiksha আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন - dainik shiksha অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী - dainik shiksha আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ - dainik shiksha শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল - dainik shiksha ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.009591817855835