জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে অনুমোদিতভাবে কর্মস্থালে অনুপস্থিত ছিলেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত সরকারি কলেজের ২৪ জন শিক্ষক। তারা সবাই পাবনার শহীদ বুলবুল সরকারি কলেজে কর্মরত। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে অনুমোদিতভাবে শোক দিবসের অনুষ্ঠানে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন তারা। যার প্রমাণ পেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তাই এ ২৪ শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তাদের শোকজ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় থেকে এসব শিক্ষককে শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
শোক দিবসের অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকা শিক্ষকরা হলেন, পাবনার শহীদ বুলবুল সরকারি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিষয়ের সহযোগী অধ্যাপক কানিজ আখতার রীতা, গণিতের সহকারী অধ্যাপক বাসুদেব সাহা, ইতিহাস বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক ইসমত আরা, ইংরেজির সহকারী অধ্যাপক মো. জাহিদুল ইসলাম, একই বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক ফাহমিদা রহমান শম্পা, হিসাববিজ্ঞান বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক মো. কামরুজ্জামান, বাংলা বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক মো. নজরুল ইসলাম, একই বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক মো. নুরুল ইসলাম, রসায়ন বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক মনসুর রহমান মিলন, ইতিহাস বিষয়ের প্রভাষক নুরজাহান আক্তার, অর্থনীতির প্রভাষক মো. সোহাগ হোসেন, ইতিহাসের প্রভাষক মো. কায়সার আহমেদ, গণিতের প্রভাষক মো. আলমগীর হোসেন, পদার্থবিদ্যা বিষয়ের প্রভাষক মো. খাইরুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা বিষয়ের প্রভাষক মো. রিয়াজুল ইসলাম।
এ তালিকায় আরও আছেন উদ্ভিদবিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক নাজমুল হক, হিসাববিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক সেলিনা আক্তার, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক মো. হাফিজুল ইসলাম, রসায়নের প্রভাষক মো. আব্দুল আলিম, প্রাণিবিদ্যার প্রভাষক সুরাইয়া হক, ইংরেজির প্রভাষক সুলতান মিয়া, প্রাণিবিদ্যা বিষয়ের প্রদর্শক মো. তারিকুল ইসলাম, পদার্থবিদ্যা বিষয়ের প্রদর্শক মো. গিয়াস উদ্দিন. রসায়ন বিষয়ের প্রদর্শক মো. আবু বকর সিদ্দিক।
মন্ত্রণালয় সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানায়, পাবনার শহীদ বুলবুল সরকারি কলেজে কর্মরত এ ২৪ শিক্ষক ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে অনুমোদিতভাবে কর্মস্থালে অনুপস্থিত ছিলেন। যা প্রাথমিকভাবে তদন্ত তা প্রমাণিত হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে তাদের এ ধরেন কাজ শৃঙ্খলা ও আচরণ বিধি পরিপন্থী ও সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী অসদাচরণ ও শাস্তিযোগ্য অপরাদ। তাই তাদের বিরুদোধ বিভাগীয় ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার আগে প্রাথমিকভাবে তাদের শোকজ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কেন বিভাগীয় ও শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার জবাব ১০ কার্যদিবসের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের পাঠাতে বলা হয়েছে শিক্ষকদের।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।