টাঙ্গাইলের সখীপুরে রাতের অন্ধকারে অতর্কিত হামলায় আনিছুর রহমান (১৮) নামের এক কলেজ ছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই হামলায় নিহত ওই ছাত্রের সহোদর জমজভাই কলেজছাত্র আশিকুর রহমান (১৮) আহত হয়ে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন।
বুধবার (২০ জানুয়ারি) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে লাশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।এর আগে মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে উপজেলার চতলবাইদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ওই রাতেই গ্রামবাসী মারামারি সন্দেহে ঘটনাস্থল থেকে তাজমুল ইসলাম (১৮) নামের এক কলেজ ছাত্রকে পুলিশের সোর্পদ করে। তাজমুল উপজেলার ঘেচুয়া গ্রামের প্রবাসী নুরুল ইসলামের ছেলে। নিহত আনিছুর রহমান ও আহত জমজ আশিকুর সখীপুর সরকারি মুজিব কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। উভয়ে উপজেলার চতলবাইদ গ্রামের প্রবাসী আমিনুর রহমানের ছেলে। এ বিষয়ে সখীপুর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
নিহত আনিছুর রহমান ফেসবুক আইডিতে গিয়ে দেখা যায়, সে দুইদিন আগে ‘মৃত্যু খুব কাছেই’লিখে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। তাঁর বন্ধুরা এটিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড দাবি করে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান। আহত আশিকুর রহমান জানায়, গতকাল মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে দুইভাই, খালাতো বোন ও আরও দুই শিশুকে নিয়ে বাড়ির পাশেই হালিম পীরের বাড়িতে বাৎসরিক বাউল গানের আসরে যায়। রাত ১১টার দিকে সবাইকে নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে হঠাৎ পেছন থেকে একদল দুর্বৃত্ত তাদের ওপর হামলা করে। এ সময় খালাতো বোন ও দুই শিশু দৌড়ে বাড়িতে চলে যায়। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে আহত আনিছুর ও আশিকুরকে উদ্ধার করে রাত ১টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। ওই সময় কতর্ব্যরত চিকিৎসক আনিছুরকে মৃত ঘোষণা করেন ও আশিকুরকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করেন।
সখীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওসমান গণি বলেন, মারামারির ঘটনার কথা বলা হলেও নিহত আনিছুরের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে প্রতিবেদনে আনিছুরের দুই চোখ লাল ছিল বলে লেখা হয়েছে। সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে সাইদুল হক ভুঁইয়া জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে কি কারণে আনিছুরের মৃত্যু হয়েছে।