শিক্ষার্থীদের কৈশোরকালীর পুষ্টি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সব সরকারি-বেসরকারি স্কুল ও কলেজে কিশোর-কিশোরী ক্লাব গঠনের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। স্কুলগুলোতে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির ৩০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের কলেজগুলোতে ৩০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে এ ক্লাব গঠন করতে হবে। এসব ক্লাব দেশের সব মাধ্যমিক স্কুল ও উচ্চমাধ্যমিক কলেজে কৈশোরকালীর পুষ্টি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে। আগামী ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে এ ক্লাব গঠন করতে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার বিষয়টি জানিয়ে আদেশ জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। আদেশটি সব জেলা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এবং সরকারি-বেসরকারি স্কুল-কলেজগুলো প্রধানদের পাঠানো হয়েছে।
মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দেশব্যাপী কৈশোরকালীন পুষ্টি কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইউনিসেফের সহায়তায় লক্ষাধিক শিক্ষক-কর্মকর্তাকে অ্যাপসের মাধ্যমে পুষ্টি বিষয়ক প্রশিক্ষণ দিয়েছে। ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ৮ অক্টোবর শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি কৈশোরকালীন পুষ্টি কার্যক্রম প্রশিক্ষণ অ্যাপস এবং পুষ্টি কার্যক্রমের গাইডলাইনের শুভ উদ্বোধন করেন। এ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে দেশের সব মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ২০ কোটি আয়রন ফলিক এসিড ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়েছে এবং প্রতি সপ্তাহে ১টি করে ট্যাবলেট ছাত্রীদেরকে খাওয়ানো কার্যক্রম শুরু হয়েছে। দেশের সকল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কৈশোরকালীন পুষ্টি কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক কিশোর কিশোরী ক্লাব গঠনের নির্দেশ দেয়া হলো।
এ ক্লাব গঠনের বিষয়ে কিছু নির্দেশনা দিয়েছে অধিদপ্তর। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সব মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে একটি করে কিশোর-কিশোরী ক্লাব গঠন করতে হবে। মাধ্যমিক স্কুলে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত প্রতিটি শ্রেণি থেকে ৬জন করে মোট ৩০ জন এবং উচ্চমাধ্যমিক কলেজের ক্ষেত্রে চার থেকে পাঁচ জন করে মোট ৩০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে কিশোর-কিশোরী ক্লাব গঠন করতে হবে। বিদ্যালয়টি কো-এডুকেশন হলে ৩০ জন সদস্যদের অর্ধেক মেয়ে এবং অর্ধেক ছেলে (৫০:৫০) শিক্ষার্থী হতে হবে। এ কিশোর-কিশোরী ক্লাবের মাধ্যমে সব মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে সব ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও অন্যান্য সেবা দেয়া হবে।
নির্দেশনায় অধিদপ্তর আরও বলছে, বিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ক্যাবিনেট সদস্যসহ কিশোর-কিশোরী ক্লাবে মোট ৩০ জন সদস্য হতে হবে এবং ক্লাব পরিচালনার জন্য স্টুডেন্ট ক্যাবিনেট সদস্যদের মধ্য থেকে সম্ভব হলে দুইজন ক্লাব লিডার (একজন মেয়ে ও একজন ছেলে) নির্বাচন করতে হবে। স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও অন্যান্য সেবামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়নে ক্লাবের সদস্যদের সহায়তার জন্য প্রধান শিক্ষক ২ জন গাইড শিক্ষক (একজন মহিলা ও একজন পুরুষ শিক্ষক) নির্বাচন করবেন। দুই জন গাইড শিক্ষক বিজ্ঞান, কৃষি শিক্ষা, শরীরচর্চা বা গার্হস্থ্য বিজ্ঞান শিক্ষকদের মধ্য থেকে নির্বাচন করা যেতে পারে। গাইড শিক্ষকরা ক্লাবের সার্বক্ষণিক তত্তাবধায়ন করবেন। আর শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত ‘কৈশোরকালীন পুষ্টি কার্যক্রম বাস্তবায়ন গাইডলাইন ২০২০’ অনুযায়ী সব মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে পুষ্টি কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বলেছে অধিদপ্তর।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।