নওগাঁর মান্দায় সভাপতির জাল স্বাক্ষর করে কলেজের বিভিন্ন পদে ১৩ জন শিক্ষক-কর্মচারীকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মান্দা মহানগর কলেজের অধ্যক্ষ রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তুলেছেন কলেজের সাবেক সভাপতি সামন্ত কুমার সরকার। তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মান্দা মহানগর কলেজ ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে অ্যাকাডেমিক স্বীকৃতি পায়। কলেজ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সামন্ত কুমার সরকার। এসময়ে কলেজের বিভিন্ন পদে ২০১৩ থেকে ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ৩০ জন শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয়। এছাড়া ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে ৬ মাসের জন্য অ্যাডহক কমিটির প্রধানের পদেও ছিলেন তিনি। তার সময়ে কলেজের আর কোনো পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশসহ নিয়োগের কোনো কার্যক্রম করা হয়নি।
কলেজের সাবেক সভাপতি সামন্ত কুমার সরকার দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, আমার কার্যকালে অতিরিক্ত পদে আর কোনো নিয়োগ দেয়া হয়নি। বিষয়টি জানার পর কলেজ অধ্যক্ষ রুহুল আমিনকে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে যাবতীয় কাগজপত্র দেখাতে বলেছিলাম। কিন্তু বিভিন্ন অজুহাতে তিনি সময়ক্ষেপণ করে টালবাহানা করে চলেছেন। এতে আমার সন্দেহ আরও বেড়ে যায়।
তিনি বলেন, আমার স্বাক্ষর জালিয়াতি করে নিয়োগ সংক্রান্ত রেজুলেশন তৈরি করা হয়েছে। এরপর ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশসহ যোগসাজশী বোর্ড গঠন করে ওইসব পদে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন অধ্যক্ষ রুহুল আমিন। বিষয়টি তদন্তের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে দৈনিক শিক্ষাডটকমের পক্ষ থেকে মান্দা মহানগর কলেজের অধ্যক্ষ রুহুল আমিনের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তাই তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
জানতে চাইলে মান্দার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু বাক্কার সিদ্দিক দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।