শিক্ষার সংস্কার ও উন্নয়নে বর্তমান সরকারের বহুমুখী পদক্ষেপ সত্যই প্রশংসার দাবিদার। সরকারের নিরলস প্রচেষ্টার কারণেই শিক্ষাক্ষেত্রে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। এজন্য আমরা প্রধান পৃষ্ঠপোষক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও শিক্ষানুরাগী শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ।
বেসরকারি মাদরাসার সংশোধিত জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা প্রকাশিত হয়েছে। এতে অনেক প্রশংসনীয় দিক রয়েছে। বিশেষ করে যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ৫০ শতাংশ প্রভাষককে পদোন্নতির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় সরকার ফাযিল ও কামিল মাদরাসার শিক্ষকদের অন্তরে জায়গা করে নিয়েছে। ফলে প্রভাষকদের অন্তরে আনন্দের বন্যা বইছে। কিন্তু আলিম মাদরাসার প্রভাষকদের অন্তরে ব্যাথার একটি কালো তিলকের জন্ম নিয়েছে।
শিক্ষা বিষয়ক দেশের একমাত্র পত্রিকা দৈনিক শিক্ষায় দেখলাম সদ্য প্রকাশিত সংশোধিত এমপিও নীতিমালার আলোকে ফাযিল ও কামিল মাদরাসার ৫০ শতাংশ প্রভাষক ৮ বছর পূর্তিতে পদোন্নতি পাবেন। তাদের পদবি হবে ‘সহকারী অধ্যাপক’, বেতন কোড হবে ৬ এবং বেতন স্কেল হবে ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা। কিন্তু আলিম মাদরাসার ৫০ শতাংশ প্রভাষক পদে ৮ বছর পূর্তিতে যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার আলোকে পদোন্নতি পেলেও তাদের পদবি হবে ‘জ্যেষ্ঠ প্রভাষক’, আর বেতন কোড হবে ৬ ও বেতন স্কেল হবে ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা। একই বেতন কোডে ও স্কেল পেয়েও আলিম মাদরাসার প্রভাষকরা সম্মানজনক পদবি ‘সহকারী অধ্যাপক’ লাভ করতে পারবেন না।
এছাড়াও পদবিতে মার দিয়ে আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষ পদে দরখাস্ত করার পথও আলিম মাদরাসার প্রভাষকদের জন্য চিররুদ্ধ করা হয়েছে। এতে তারা চরম বৈষম্য ও বঞ্চনার শিকার হয়েছেন। আলিম মাদরাসার প্রভাষকদেরকে ভাতে মারা হয়নি, কিন্তু তাদেরকে সম্মান ও অধিকারের মারা হয়েছে। কাজেই বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা উচিত।
আলিম মাদরাসার প্রভাষকদের পদোন্নতির পর পদবি জ্যেষ্ঠ প্রভাষকের জায়গায় সহকারী অধ্যাপকে প্রতিস্থাপন করা দরকার। বিষয়টি সুবিবেচনায় নেয়ার জন্য শিক্ষা ও শিক্ষক বান্ধব শিক্ষামন্ত্রীর কৃপাদৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
লেখক : ড. মোহা. এমরান হোসেন, অধ্যক্ষ, শংকরবাটী হেফজুল উলুম এফ কে কামিল মাদরাসা, সদর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ