সরকারি কলেজে কর্মরত বেসরকারি কর্মচারীরা চাকরি সরকারিকরণ ও সরকারি স্কেল অনুযায়ী বেতন ভাতা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এসব দাবিতে বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে সরকারি কলেজে কর্মরত বেসরকারি কর্মচারীদের সংগঠন ইউনিয়ন।
মানববন্ধনে কর্মচারীরা বলেন, সরকারি কলেজগুলোতে মাত্র ৫ শতাংশ কর্মচারী সরকারিভাবে কর্মরত বাকী ৯৫ শতাংশই বেসরকারি। করোনা মহামারির সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও বেসরকারি কর্মচারীরা প্রতিষ্ঠান ত্যাগ না করে দেখাশোনার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল৷ কিন্তু মহামারীর এই সময়ে কর্মচারীদের বেতন অর্ধেক করা হয়েছে। বর্তমানে মাত্র ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা বেতনে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অনেকে চাকরি হারিয়েছেন ৷
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সরকারি কলেজ ও মাদরাসা পরিচালনাকারী মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে জনবল নিয়োগ দেয় কিন্তু বেসরকারি কর্মচারীদের কোন অগ্রাধিকার দেওয়া হয় নি। শিক্ষা অধিদপ্তর ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে আবারও জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও সেখানেও বেসরকারি কর্মচারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়নি।
বক্তারা আরও বলেন, সরকারিকৃত কলেজগুলোসহ সারা দেশে সরকারি কলেজগুলোতে প্রায় ১২ হাজার কর্মচারী কাজ করছেন। তারা গত ৫ থেকে ১৫ বছর ধরে বেসরকারি কর্মচারী হিসেবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে আমরা পরিবার-পরিজন নিয়ে খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছি। দ্রব্যমূল্যে ঊর্ধ্বগতির কারণে আমাদের সন্তানদের লেখাপড়া প্রায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে একজন গার্মেন্টস শ্রমিকের নূন্যতম মজুরি ৮ হাজার ৫০০ টাকা, ওভারটাইমসহ তাদের আয় ২০ হাজার টাকার ওপরে। সেখানে আমরা মাসিক বেতন হিসেবে পাই ৩ থেকে ৭ হাজার টাকা। এমতাবস্থায় চাকরি সরকারিকরণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্ববান জানান তারা।
মানববন্ধনে সংগঠনের সভাপতি সভপতি দুলাল সরদার, আন্দোলন কমিটির আহ্বায়ক মো. আব্দুল রশিদসহ কর্মচারী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।