নানা অনিয়ম, দুর্নীতি এবং সরকারি লাখ লাখ টাকা ও ত্রাণ আত্মসাতের অভিযোগে ঝালকাঠি সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল বাশার খানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের ইউপি-১ শাখা থেকে বিষয়টি জানিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হলেও, মঙ্গলবার সকালে এ বিষয়টি জানাজানি হয়। ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রজ্ঞাপনের অনুলিপি দেয়া হয়েছে।
অনুলিপি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, সাময়িক বরখাস্তের সাথে চেয়ারম্যানকে কেন স্থায়ী বরখাস্ত করা হবে না, সে বিষয় কারণ দর্শানোর জন্য সাত দিনের সময় দিয়ে নোটিশ করা হয়েছে।
সাময়িক বরখাস্তের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গত তিন বছরের ইউনিয়ন পরিষদের ট্যাক্সের ১২ লাখ ৮২ হাজার ৩৫০ টাকা মাসিক সভায় আলোচনা বা রেজুলেশন না করে আত্মসাৎ, করোনাকালীন দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দকৃত ত্রাণের চাল আত্মসাৎ, প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে অসহায় মানুষের প্রত্যেককে দেয়া ২ হাজার ৫০০ টাকা বিতরণে অনিয়ম, এলজিএসপি-৩ এর প্রাপ্ত বরাদ্দ থেকে তথ্য সেবা কেন্দ্রের মালামাল না কিনে করে তা আত্মসাৎ, ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের
ফটোকপি মেশিন কেনা বাবদ ৯০ হাজার টাকা আত্মসাৎ, ইউনিয়নভিত্তিক করোনা টিকা দেয়ার জন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের আপ্যায়নের ৩৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ, ট্রেড লাইসেন্স ফি, ওয়ারিশ ফি, ওয়ারিশ সনদ ফি, অটোরিক্সালাইসেন্স ফিয়ের ৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ, প্রাক্তন ইউপি সচিব দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের রেজুলেশনসহ সব কার্যক্রম পরিচালনা করা এবং ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাওয়া ২০ সেট রিং স্লাপ ইউপি সদস্যদের না জানিয়ে বিতরণ করেছেন চেয়ারম্যান আবুল বাশার খান। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এসব অভিযোগ তদন্ত কর্মকর্তার তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে ৭ নং পোনাবালিয়া ইউপির বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যান আবুল বাশার খান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, মন্ত্রণালয়ের চিঠি এখনও আমি হাতে পাইনি। তবে একটি চিঠি এসেছে বলে শুনেছি। ইউনিয়ন পরিষদের কয়েকজন সদস্য আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলো। তার তদন্তও হয়েছে।