সাদ অনুসারী মাদরাসাগুলোর সংস্থা “জাতীয় কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড, বাংলাদেশ” এখন থেকে সরকারি স্বীকৃতির বাইরে স্বতন্ত্রভাবে দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষার আয়োজন করবে
কওমি মাদরাসার সরকারিভাবে স্বীকৃত সম্মিলিত শিক্ষা সংস্থা “আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ” এর অধীনে সরকারি সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাবলিগে মাওলানা সাদপন্থী মাদরাসাগুলো।
সাদ অনুসারী মাদরাসাগুলোর সংস্থা “জাতীয় কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড, বাংলাদেশ” এখন থেকে সরকারি স্বীকৃতির বাইরে স্বতন্ত্রভাবে দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষার আয়োজন করবে।
শনিবার (৪ ডিসেম্বর) বোর্ডের মহাসচিব ও জামিয়া আল হাসনাইনের মহাপরিচালক মুফতি সৈয়দ উসামা ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।
এতে হয়, “জাতীয় কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড চলতি বছর থেকে দাওরায়ে হাদিসসহ সব মৌলিক ক্লাসের পরীক্ষা গ্রহণ করবে। স্বাতন্ত্র্য ও স্বকীয়তা সংরক্ষণে এ বোর্ডে নিবন্ধনকৃত কোনও মাদরাসা যদি অন্য কোনও বোর্ডের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে, তাহলে তাদের নিবন্ধন বাতিল বলে গণ্য হবে।”
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, “জাতীয় কওমি সিলেবাস’ নামে নিজস্ব সিলেবাস ও কারিকুলাম প্রণয়ন এবং স্বতন্ত্র পাঠ্যবই রচনার মাধ্যমে ধর্মীয়, জাগতিক (জাতীয় ও কারিগরি) শিক্ষার সমন্বয়ে একটি যুগোপযোগী শিক্ষাধারা চালু করা হয়েছে। আগামী বছর থেকে বোর্ডের সব মাদরাসায় এ শিক্ষা কার্যক্রম বাধ্যতামূলক করা হবে।”
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কওমি শিক্ষা সনদের মান ঘোষণা করার পর হাইআতুল উলইয়ার অধীনে ৬ বোর্ডের সম্মিলিত দাওরায়ে হাদিসের পরীক্ষার সিদ্ধান্ত হয়।
২০১৮ সালে জাতীয় সংসদের ২২তম অধিবেশনে “কওমি মাদরাসাসমূহের দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল)-এর সনদকে আল হাইআতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ”-এর অধীনে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) সমমান প্রদান বিল-২০১৮ পাস হয়।