সারাদেশের চার শতাধিক সরকারি মাধ্যমিক স্কুলে ৮০ হাজারের বেশি শূন্য আসনে ভর্তির আবেদন করেছেন ৫ লাখ ৩৮ হাজার শিক্ষার্থী। তারা মোট ১০ লাখ ৭৪৬টি চয়েস দিয়েছেন। সে হিসাবে সরকারি স্কুলে ভর্তি হতে প্রতিটি শূন্য আসনে গড়ে সাত জন শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন করেছেন। চলতি বছর লটারির মাধ্যমে সরকারি স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
গত শুক্রবার রাত ১২টায় সরকারি মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তির অনলাইন আবেদন গ্রহণ শেষ হয়েছে। আর আগামী ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বেসরকারি স্কুলে ভর্তির অনলাইন আবেদন গ্রহণ শুরু চলবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক ও ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ আজিজ উদ্দিন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, সরকারি স্কুলে ভর্তির কেন্দ্রীয় লটারিতে মোট ৫ লাখ ৩৮ হাজার ৬৬ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছে। তারা চয়েজ দিয়েছেন ১০ লাখ ২৬ হাজার ৭৪৬টি। বেসরকারি স্কুলে ভর্তির আবেদন গ্রহণ চলবে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
এদিকে শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সারাদেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ের সরকারি মাধ্যমিক স্কুলে ৮০ হাজারের বেশি শূন্য আসন আছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম টুকু দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, এ স্কুলগুলোতে কেন্দ্রীয়ভাবে লটারির মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম চলছে। আগামী ১৫ ডিসেম্বর এসব স্কুলে ভর্তির লটারি অনুষ্ঠিত হবে।
গত ২৫ নভেম্বর থেকে সরকারি-বেসরকারি স্কুল ভর্তির অনলাইন আবেদন কার্যক্রম শুরু হয়। সরকারি স্কুলের ভর্তি লটারি আগামী ১৫ ডিসেম্বর রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজন করা হবে।
জানা গেছে, ১৮ ডিসেম্বর থেকে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সরকারি স্কুলে ভর্তি করানো হবে। সরকারি স্কুলে ভর্তির জন্য অপেক্ষমান তালিকা প্রকাশিত হবে। অপেক্ষমান তালিকা থেকে ২৬ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকারি স্কুলে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
সরকারি স্কুলের সাথেই শুরু হওয়া বেসরকারি স্কুলের ভর্তির অনলাইন আবেদন আগামী ১৬ ডিসেম্বর শেষ হবে। বেসরকারি দুই হাজার ৬৮১ স্কুলে সাড়ে ৮ লাখ আসনে কেন্দ্রীয়ভাবে প্রথম থেকে নবম শ্রেণির ভর্তির লটারি আয়োজন করা হবে। ১৯ ডিসেম্বর বেসরকারি স্কুলে ভর্তির লটারি অনুষ্ঠিত হবে। ২১ থেকে ২৭ ডিসেম্বর বেসরকারি স্কুলে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হবে। আর ২৮ থেকে ৩০ ডিসেম্বর অপেক্ষমান তালিকা থেকে সরকারি স্কুলে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হবে।
কেন্দ্রীয় ভর্তি কার্যক্রমে যেসব সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করতে পারেনি সেসব স্কুলেও লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে বলা হয়েছে। এদিকে ১২ বছর পূর্ণ না হলে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে ঢাকা বোর্ড।