মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থা সরকারিকরণ ও ঈদের আগে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের শতভাগ উৎসব ভাতার দাবি আদায়ে জেলায় জেলায় মানববন্ধন করেছেন শিক্ষকরা। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) কেন্দ্রীয় কমিটির কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঝিনাইদহে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন সমিতির ঝিনাইদহ জেলা শাখা। বুধবার সকালে শহরের মুজিব চত্বরে মানববন্ধন ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে ও মিছিলে কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি এবং জেলা কমিটির সভাপতি মহি উদ্দীন, জেলা কমিটির সহ-সভাপতি আব্দুল মমিন ছিলেন, বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ঝিনাইদহ জেলা শাখার আহ্বায়ক অধ্যক্ষ সুব্রত কুমার মল্লিক,বাংলাদেশ শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের ঝিনাইদহ জেলা শাখার আহ্বায়ক এম এ কবীরসহ অন্যান্যের জেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা বক্তব্য রাখেন।
শিক্ষকদের দাবিগুলো হলো, মুজিববর্ষেই মাধ্যমিক শিক্ষা সরকরিকরণ করা, আসন্ন ঈদের আগেই সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মত পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা, বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা দেয়া, পূর্ণাঙ্গ পেনশন প্রথা চালু করা এবং পেনশন প্রথা চালু না হওয়া পর্যন্ত অবসর গ্রহণের ৬ মাসের মধ্যে অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের পাওনা পরিশোধ এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তন বন্ধ করা, স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা, সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল যথাক্রমে ৬ষ্ঠ ও ৭ম গ্রেডে দেয়া, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বদলি চালু করা, শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরির বয়সসীমা ৬৫ বছরে উন্নীত করা, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মত শিক্ষক নিয়োগ কমিশন গঠন এবং শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে আনুপাতিক হরে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের পদায়ন, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের আর্থিক প্রণোদনা এবং শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে শিক্ষা সহায়ক ডিভাইস দেয়া, ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডির সদস্যদের নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে বিরাজমান সরকারি ও বেসরকারি সব বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে শিক্ষানীতি-২০১০ দ্রুত বাস্তবায়ন।
শিক্ষক নেতারা বলেন, আমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে সংসার চালানো দায় হয়ে দাড়িয়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্দ্ধগতির এই বাজারে খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসার জন্য অন্যের কাছে শিক্ষকদের হাত পাততে হচ্ছে যা লজ্জার। তারা অবিলম্বে ১১ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শিক্ষকরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যান। এ সময় জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম স্মারকলিপি গ্রহণ করেন। এ সময় শিক্ষকদের দাবির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু।