মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থা সরকারিকরণ ও ঈদের আগে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের শতভাগ উৎসব ভাতার দাবি আদায়ে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষকরা। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বুধবার সকালে নরসিংদী প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছেন জেলা শিক্ষক সমিতির নেতারা।
মানববন্ধন শেষে র্যালি করে নেতা জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে গিয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আবদুল্লাহ আল জাকীর কাছে প্রধানমন্ত্রীর বরাবর একটি স্মারকলিপি জমা দেন।
শিক্ষকদের ১১দফা দাবি হলো, মুজিববর্ষেই মাধ্যমিক শিক্ষা সরকরিকরণ করা, আসন্ন ঈদের আগেই সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মত পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা, বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা দেয়া, পূর্ণাঙ্গ পেনশন প্রথা চালু করা এবং পেনশন প্রথা চালু না হওয়া পর্যন্ত অবসর গ্রহণের ৬ মাসের মধ্যে অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের পাওনা পরিশোধ এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তন বন্ধ করা, স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা, সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল যথাক্রমে ৬ষ্ঠ ও ৭ম গ্রেডে দেয়া, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বদলি চালু করা, শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরির বয়সসীমা ৬৫ বছরে উন্নীত করা, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মত শিক্ষক নিয়োগ কমিশন গঠন এবং শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে আনুপাতিক হরে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের পদায়ন, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের আর্থিক প্রণোদনা এবং শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে শিক্ষা সহায়ক ডিভাইস দেয়া, ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডির সদস্যদের নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে বিরাজমান সরকারি ও বেসরকারি সব বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে শিক্ষানীতি-২০১০ দ্রুত বাস্তবায়ন।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য রঞ্জিত কুমার সাহা, কেন্দ্রীয় শিক্ষক নেতা হারুন অর রশিদ, জেলার সাধারণ সম্পাদক মো: অহিদুজ্জামান, কেন্দ্রীয় নেতা রঞ্জিত দেবনাথ, আজহারুল ইসলাম, জেলা প্রচার সম্পাদক হলধর দাস, সদরের সাধারণ সম্পাদক তপন আচার্য্য, শিক্ষক নেতা আলী মোবারক, আবু মুছা, খোরশেদ আলম, আরিফুল ইসলাম, মো: হানিফ, মোহাম্মদ আলী পাঠান, বোরহান উদ্দিন, সালাহ উদ্দিন, আতাউর রহমান, মনজিল এ মিল্লাতসহ অনেকে।