এমপিওভুক্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণের দাবিতে রাজপথে দ্বিতীয় দিনের মত অবস্থানরত শিক্ষকদের পুলিশ তুলে দিয়েছে। করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে। তাই পুলিশ অবস্থানরত শিক্ষকদের উঠে যেতে বললে তারা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি স্থগিত করেছেন।
মঙ্গলবার রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দ্বিতীয় দিনের মত অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তারা। অবস্থানরত শিক্ষকরা জানান, বিকেলের দিকে পুলিশ এসে সরকারি নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি শেষ করতে বললে তারা উঠে যান। এর আগে সোমবার সকাল থেকে ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোট’ এর ব্যানারে ১৭টি সংগঠনের অনুসারী শিক্ষক কর্মচারীরা শুরু করেছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মহাজোটের নেতা ও বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির মহাসচিব মো. মেজবাহুল ইসলাম প্রিন্স দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, পুলিশ এসে সরকারি নির্দেশনার কথা বললে সরকারি সিদ্ধান্তেরর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমরা কর্মসূচি শেষ করেছি।
সরকারিকরণের দাবিতে শিক্ষকরা লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করলেও গতকাল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে করোনা সংক্রমণ রোধে ১১ দফা বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে এসব বিধিনিষেধ কার্যকর হবে।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল থেকে শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি ছিল মুখরিত। শিক্ষক নেতারা সরকারিকরণের দাবি জানিয়ে বলেন,এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের পুর্ণাঙ্গ সুযোগ সুবিধা দেয়া হয় না। তাই তারা এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বাড়িভাড়া চিকিৎসাভাতা, সন্তানের শিক্ষা ভাতা, হাউজ লোন ও শিক্ষকদের বদলি চালুর দাবি জানান। এছাড়া অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টের জন্য এমপিও থেকে ১০ শতাংশ টাকা কেটে রাখার প্রতিবাদ জানান তারা। একই সঙ্গে ৫০০ টাকা চিকিৎসাভাতা, ১ হাজার টাকা বাড়িভাড়া এবং ২৫ শতাংশ উৎসবভাতা দেয়াকে বৈষম্য বলে দাবি করেন।
শিক্ষক নেতারা বলেন, এসব বৈষম্য দূর করতে সব এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণ জরুরি। শুধু প্রাতিষ্ঠানিক আয় থেকে কোনো ভর্তুকি ছাড়াই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণ সম্ভব।