এমপিওভুক্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণের দাবি জানাচ্ছেন শিক্ষকরা। এ দাবিতে আজ সোমবার থেকে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করছেন শিক্ষকরা। সোমবার সকালে রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোট’ এর ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হবে বলে দৈনিক আমাদের বার্তাকে নিশ্চিত করেছেন শিক্ষক নেতারা।
জানা গেছে, ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোট’ বেসরকারি শিক্ষকদের ১৭টি সংগঠনগুলো মোর্চা। ১০ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে মহাজোট নেতাদের দেয়া ঘোষণার প্রেক্ষিতে লাগাতার অবস্থানে যাচ্ছেন শিক্ষকরা।
শিক্ষক নেতারা দৈনিক আমাদের বার্তাকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমরা এমপিওভুক্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণের দাবিতে আন্দোলন করছি। ১০ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সব এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণের দাবি জানানো হয়েছিল। সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেয়া হয়েছিল, সরকারিকরণের দাবি না মানা হলে ১০ জানুয়ারি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।
জানা গেছে, অবস্থান কর্মসূচিতে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি তালুকদার আব্দুল মান্নাফ, মহাসচিব মো. মেজবাহুল ইসলাম প্রিন্স,
নির্বাহী মহাসচিব অরুপ সাহা, বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরামের সভাপতি মো. মাইন উদ্দীন, মহাসচিব মো. রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ এমপিওভুক্ত শিক্ষক অনলাইন পরিষদের সভাপতি আবু তালেব সোহাগ, বাংলাদেশ শিক্ষক সমাজের আহ্বায়ক বেনী মাধব দেবনাথ, সদস্য সচিব মো. দীদার হোসেন, বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী প্রধান শিক্ষক সমিতির মহাসচিব- শেখ মো. জসিম উদ্দিন, জাতীয়করণ মঞ্চের সভাপতি আফজালুর রশীদ, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির মহাসচিব মো. জসিম উদ্দিন, বাংলাদেশ তৃতীয় শ্রেণী কর্মচারী পরিষদের সভাপতি মো. মোস্তফা ভুইয়া, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষক পরিষদের মহাসচিব মো.আবুল বাসার, মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির মহাসচিব মো
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সোমবার সকালে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে তাঁর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাবেন শিক্ষক নেতারা। পরে তারা জাতীয় প্রেস ক্লাবে এসে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করবেন। এ কর্মসূচি লাগাতার চলবে।
এ তথ্য নিশ্চিত করে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির মহাসচিব মো. মেজবাহুল ইসলাম প্রিন্স দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, ১০ ডিসেম্বর দেয়া ঘোষণা অনুসারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। সরকারিকরণের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে সরকারিকরণের আন্দোলন করছি। সর্বস্তরের সব শিক্ষকের অংশগ্রহণে আমাদের অবস্থান কর্মসূচি সফল হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোট নেতাদের দাবি, ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আয় সরকারি কোষাগারে নিলে প্রতিবছর সরকারের আয় হবে ২৬ হাজার কোটি টাকা। তাই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণ করা হলে শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন দিতে সরকারের বাড়তি কোনো টাকা খরচ হবে না।’
নেতারা আরও বলেন, সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণ করতে সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত প্রয়োজন। সরকার চাইলেই এমপিওভুক্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মুজিববর্ষেই সরকারিকরণ করতে পারে।