গাজীপুরের বাসিন্দা, শিল্পকারখানা শ্রমিক ও শিক্ষার্থীদের পর এবার কারগারের বন্দীদের করোনা ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এবং কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর সহস্রাধিক বন্দী ও হাজতিকে এ টিকা দেওয়া হয়েছে।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১-এর ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র জেল সুপার মো. গিয়াস উদ্দিন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, প্রথমদিন সোমবার তার কারাগারের ১ হাজার ৫০০ বন্দির মধ্যে ৪৬০জন বন্দীকে করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে অন্যদেরও এ টিকা দেওয়া হবে।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর সিনিয়র জেল সুপার আব্দুল জলিল জানান, একইদিন তার কারাগারের ২ হাজার ৯০০ বন্দীর মধ্যে ৬০০ কয়েদিকে করোনা টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। আদালত ও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ পাওয়ার পর জেলা প্রশাসক ও গাজীপুরের সিভিল সার্জনের সঙ্গে যোগাযোগ করে সোমবার এ ভ্যাকসিন দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। আগামি এক সপ্তাহের মধ্যে বাকিদেরও ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
উদ্বোধনী দিনে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম, সিভিল সার্জন মো. খায়রুজ্জামান, কারা হাসপাতালের চিকিৎসক (সহকারি সার্জন) সাদিয়া আফরিন তুলিসহ কারা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সিভিল সার্জন মো. খায়রুজ্জামান জানান, রোববার গাজীপুর জেলা কারাগারেও দুই হাজার ২৩২জন বন্দীকে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। রোববার পর্যন্ত গাজীপুরে পোশাক শ্রমিক এবং কলেজের শিক্ষার্থীসহ মোট ৩৩লাখ ১৫হাজার ৫৭৩ জনকে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ২১লাখ ৪ হাজার ৬৭৩ জনকে প্রথম ডোজ এবং ১২লাখ ১৩হাজার ৩০০জনকে দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে জেলার সকল কারাবন্দীকে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকার দেশের সকল নাগরিককে করোনাভ্যাকসিনের আওতায় আনতে চাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে কারাবন্দীদেরও ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে।