দেশের সাত কৃষি বিশবিদ্যালয়ের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা আজ শনিবার (২৭ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল সাড়ে ১১টায় সারাদেশে একযোগে ৭টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়। গুচ্ছ পদ্ধতির এই পরীক্ষার মাধ্যমে ৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য একক মেধা তালিকা প্রকাশ করা হবে। আগামী ২ ডিসেম্বর সাত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তির ফল ঘোষণা করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু), বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
সাতটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার অন্যতম কেন্দ্র সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) ভর্তি পরীক্ষার কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তর জানায়, সিকৃবিতে এবছর ৩ হাজার ৩০০ জন পরীক্ষায় অংশ নেবার সুযোগ পায়। যার মধ্যে শনিবারের ভর্তি পরীক্ষায় ১ হাজার ৯৮০ জন উপস্থিত ছিলেম। উপস্থিতির হার ৬০ শতাংশ।
এদিকে ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে ভোর থেকেই সিকৃবি ক্যাম্পাসে সাজ সাজ রব পড়ে যায়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা অভিভাবকসহ সিকৃবি ক্যাম্পাসে উপস্থিত হয়। পরীক্ষা শুরুর পর বিভিন্ন হল পরিদর্শন করেছেন সিকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মতিয়ার রহমান হাওলাদার।
হল পরিদর্শনের সময় উপাচার্য গণমাধ্যমকে জানান, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুপুর সাড়ে ১১ টায় পরীক্ষা শুরু হয়। কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ছাড়াই সুষ্ঠুভাবে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগামী ২ ডিসেম্বর ভর্তি পরীক্ষার ফল ঘোষণা করা হবে।
এসময় উপাচার্যের সাথে পরিদর্শনে ছিলেন, সিকৃবির ডিন কাউন্সিলের আহবায়ক এবং কৃষি প্রকৌশল ও কারিগরি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ রাশেদ আল মামুন, ভেটেরিনারি এনিম্যাল ও বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এম. রাশেদ হাসনাত, কৃষি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. আসাদ-উদ-দৌলা, মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মৃত্যুঞ্জয় কুন্ড, কৃষি অর্থনীতি ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. শাহ আলমগীরসহ অনেকে।
এ বছর সাতটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় ৭৬ হাজার ৫৩৯ জন শিক্ষার্থীর আবেদনের পর ৩৪ হাজার ৮৪৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা মোট ১২ হাজার ৫০০ জন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬ হাজার ১৮২ জন, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬ হাজার ৩৬৪ জন, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ হাজার জন, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩ হাজার ৩০০ জন, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫০০ জন, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ হাজার জন।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মোট দুই হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ১হাজার ৩৬৪ জন।
সিভাসু ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষা পরিদর্শন করেন সিভাসুর উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ, মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এম. নূরুল আবছার খান, ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, প্রফেসর ড. একেএম সাইফুদ্দীন, প্রফেসর ড. মো: মাসুদুজ্জামান ও প্রফেসর ড. পঙ্কজ চক্রবর্তী।
শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সিভাসুর উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ। গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনে সহযোগিতার জন্য তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনকে ধন্যবাদ জানান।