সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে করোনা পরীক্ষার একমাত্র আরটিপিসিআর ল্যাবটি বিকল হয়ে গেছে। ফলে সাতক্ষীরার মানুষ এখন আর নিজ জেলায় করোনা পরীক্ষা করতে পারছেন না। কয়েক মাস চালু থাকার পর হঠাৎ ল্যাবটি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। এখন পাশ্ববর্তী জেলা যশোর, খুলনা থেকে করোনা পরীক্ষা করাতে হচ্ছে।
এর ফলে সাধারণ মানুষকে পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি। মেডিকেল কলেজ কতৃপক্ষ দুই দফায় উচ্চ পর্যায়ে চিঠি পাঠিয়ে ল্যাবটি সচল রাখার জন্য অনুরোধ করলেও সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয় নি।
জানা গেছে, প্রায় ছয় মাস আগে সাতক্ষীরাবাসীর দাবির মুখে সরকার মেডিকেল কলেজে একটি পিসিআর ল্যাব স্থাপান করে। জেলার সাধারণ মানুষ সেখানেই করোনা পরীক্ষা করতেন। নিজ জেলায় করোনা পরীক্ষা করাতে পেরে সাধারণ মানুষ খুশি ছিলেন। কিন্ত হঠাৎ গত ১২ অক্টোবর বিকেলে আটিপিসিআর ল্যাবটি অকেজো হয়ে পড়ে। ফলে বন্ধ হয়ে যায় করোনা পরীক্ষা। এরপর থেকেই মেডিকেল কলেজে করোনা পরীক্ষার জন্য আসা সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন। জেলার অধিকাংশ মানুষের পিসিআর ল্যাব নষ্ট থাকার খবর জানেন না। মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও সাধারণ মানুষকে বিষয়টি জানাতে কোন ব্যবস্থা নেয় নি।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. রুহুল কুদ্দুস দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, করোনা পরীক্ষার একমাত্র আটিপিসিআর ল্যাবটি গত মাসের ১২ তারিখে বিকল হয়ে যায়। পরদিন ১৩ অক্টোবর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর আবেদন করা হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় ১৭ অক্টোবর আবারও লিখিতভাবে অধিদপ্তরকে জানানো হয়। কিন্তু এখনো পিসিআর ল্যাব চালু করার ব্যবস্থা হয়নি। এর ফলে সাতক্ষীরার মানুষ করোনা পরীক্ষার সেবা থেকে বিঞ্চত হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, দ্রুত আটিপিসিআর ল্যাব সচল করার বিষয়ে আবারও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে জানানো হবে।