সাধারণ মানুষের শিক্ষার প্রসারে বঙ্গবন্ধু - দৈনিকশিক্ষা

সাধারণ মানুষের শিক্ষার প্রসারে বঙ্গবন্ধু

মো. সিদ্দিকুর রহমান |

ব্রিটিশ আমলে ধর্মীয় ও প্রাথমিক শিক্ষা কাচারিঘরে পন্ডিত ও মৌলভীদের দ্বারা পরিচালিত হতো। জমিদারি প্রথা চালুর পর কতিপয় শিক্ষানুরাগী জমিদার প্রাথমিক শিক্ষাকে কাচারিঘরের গন্ডি থেকে বের করে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান করেন। শিক্ষা ছাড়া তৎকালীন ভারতবর্ষের জনগণের স্বাধীনতা ত্বরান্বিত করা সম্ভব ছিল না। তেমনি আর্থিক উন্নয়নও দুরূহ ছিল। 

এ বিশ্বাস থেকেই নেতদের মাঝে শিক্ষার মর্ম উপলব্ধি হয়। এর ফলে ইংরেজ শাসন আমলের শেষভাগে শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটে। জমিদারি প্রথা বিলুপ্তির পর শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের নেতৃত্বে সাধারণ মানুষের শিক্ষার ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন ঘটে। জেলা বোর্ডের অধীনে প্রাথমিক শিক্ষা ন্যস্ত করে সর্বপ্রথম প্রাথমিক শিক্ষাকে অবৈতনিক করা হয়।

তৎকালীন প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতা হিসেবে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, অধ্যক্ষ ইব্রাহীম খাঁ, চাঁদপুর কলেজের অধ্যক্ষ আজিমউদ্দীন ও সর্বশেষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক  অধ্যাপক আবুল কালাম আযাদের ত্যাগ স্মরণীয় হয়ে থাকবে। শিক্ষার প্রসারে আজকের এ পরিবর্তন রাতারাতি গড়ে ওঠেনি। প্রাথমিক শিক্ষকদের ইতিহাস সংগ্রামের ইতিহাস। পাকিস্তানি আমলের শেষের দিকে প্রাথমিক শিক্ষকরা বঙ্গভবন ঘেরাও করে তৎকালীন গভর্ণরের কাছ থেকে বেতন স্কেল আদায় করেন। তৎকালীন বেতন স্কেল ছিল ১২০ টাকা, ইনক্রিমেন্ট ২ টাকা  ১৩০ টাকা স্কেলে ইনক্রিমেন্ট ৩ টাকা। তখনকার প্রাথমিক শিক্ষকেরা বেতন পেতেন পোস্ট অফিসের মাধ্যমে। হাটের দিন ভেঙে ভেঙে বেতন পেত। প্রাথমিক শিক্ষকদের একসাথে বেতন পাওয়ার ভাগ্য কদাচিৎ। 

স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু মনেপ্রাণে এদেশের সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের স্বপ্ন দেখলেন। গতানুগতিক নেতাদের মতো ধনিকে আরও ধনি করার অভিপ্রায় তার মাঝে মোটেই দেখা যায়নি। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের অবস্থা তখন ছিল-অনেকটা অসহায়ের মতো। বাংলাদেশ ব্যাংক শূন্য ছিল, হাট-বাজার জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। স্বাধীনতার পরও স্বাধীনতা বিরোধীদের অপতৎপরতা থেমে ছিল না। প্রতিদিনই সংবাদপত্রের পাতায় সীমাহীন অভাবের মাঝে দেখা যেত পাটের গুদাম, খাদ্যের গুদামে আগুন। অস্ত্রের ঝনঝনানিতে একশ্রেণির লোক লুটতরাজ, ডাকাতির উৎসবে মেতে উঠল।

বিদেশি সাহায্য পর্যাপ্ত ছিল না। অপর্যাপ্ত সাহায্য নিয়ে বঙ্গবন্ধুর মুখে বলতে শুনেছি, চাটার দল আমার কষ্টার্জিত বিদেশি সাহায্য খেয়ে ফেলে। সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবের জন্য বঙ্গবন্ধুর রেশন শপের ও ন্যায্যমূল্যের দোকানের মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য যেমন চাউল, গম, চিনি, তেল, লবন, ডালডা স্বল্পমূল্যে রেশন কার্ডের মাধ্যমে বিতরণ করা হত। শিশু খাদ্য, লুঙ্গি, কাপড়, কম্বল, টিন ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য দেয়া হত। নিত্য প্রয়োনীয় জিনিসের ঊর্ধ্বগতি রোধ করার জন্য গরিব মানুষকে রিলিফ হিসেবে দেয়া হত। দ্রব্যমূল্যের ক্রয়ক্ষমতা সাধারণ মানুষের নাগালে রাখার ব্যবস্থা তৎকালীন দুর্ভিক্ষমোচনে সফলতা এনে স্বল্প সময়ে মধ্যে দেশে স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করেছিল। স্বার্থান্বেষী মহলের দুর্নীতিরোধকল্পে সামরিক বাহিনীর মাধ্যমে কারফিউ দিয়ে রেশন কার্ডের সঠিক সংখ্যা প্রাপ্তি নিশ্চিত করা হয়েছিল। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের মাঝে বিনামূল্যে বই, খাতা, পেনসিল, দুধ, ছাতু, বিস্কুট বিতরণ করা হত। ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মানুষের জন্য বিনামূল্যে টিন দেয়া হত।

তদুপরি সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে নানাবিধ সংকটে চারিদিকে ছিল অভাব ও হাহাকার। সেই নিদারুন সংকটে বঙ্গবন্ধু এদেশের সাধারণ মানুষের কথা গভীরভাবে ভাবতেন। তিনি এদেশকে সোনার বাংলা গড়ার কথা চিন্তা করেই সর্বাগ্রে কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি, খেটে খাওয়া মানুষের সন্তানদের শিক্ষিত করার মধ্যে আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যত দেখতে পেলেন। শূন্য কোষাগার নিয়ে চরম অর্থসংকটে বঙ্গবন্ধু সেদিন দেশের সাধারণ মানুষের সন্তানদের শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণে ৩৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় ও লক্ষাধিক শিক্ষক বিদ্যালয়ের ভূমিসহ সকল সম্পদ সরকারিকরণ করেন। কত মহাপ্রাণ না হলে আর সাধারণ মানুষের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা না থাকলে মহাযজ্ঞের মত এমন বিশাল কাজ তিনি সম্পাদন করতে পারেন। এই কর্মকাণ্ড গ্রহণকালে এক আলোচনা সভায় সমিতি নেতৃবৃন্দের সাথে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী সৈয়দ তাজউদ্দিন আহমদের সাথে শিক্ষকদের বেতন স্কেল নিয়ে আলোচনা সভায় তিনি বলেন, বর্তমান আর্থিক অনটনে শিক্ষকদের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির বেতন স্কেলে বেতন দেয়া হলেও সেদিন বেশি দূরে নয় শিক্ষকরা উন্নত বিশ্বের মত ১ম শ্রেণির মর্যাদা ও বেতন স্কেল পাবেন।

তখনকার এ বিপুল সংখ্যক শিক্ষকদের জন্য সরকারি সার্ভিস বই না থাকায় সরকারি অনুমোদনে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি চাকুরি বই ছেপে সরবরাহ করেন। স্বাধীনতার পর শিক্ষার্থী ছাড়া শিক্ষকদের অলিম্পিয়া টেক্সটাইল মিলের কাপড় সমিতির মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে বিতরণ করা হয়। 

স্বাধীনতার পরপর বেসরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়ের একজন গর্বিত শিক্ষক হিসেবে বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্যে যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল। শিক্ষক নির্বাচনে সদস্য হিসেবে সরকারি কর্মকর্তাদের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু, ড. কামাল হোসেন, গাজী গোলাম  মোস্তফা, ঢাকা মহানগরীর সংসদ সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বঙ্গবন্ধু শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য বলেন, শিশুদের যথাযথ শিক্ষার ব্যত্যয় ঘটলে কষ্টার্জিত স্বাধীনতা অর্থহীন হবে। তিনি বলেন, আগামী প্রজন্মের ভাগ্য শিক্ষকদের ওপর নির্ভর করে। স্বল্প সময় হলেও শিশু ও শিক্ষকদের প্রতি তাঁর অন্তরের ভালোবাসা ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। ১৫ আগস্ট এ মহামানবের শাহাদাতের পর সব ভালোবাসা যেন হারিয়ে যেতে বসেছিল। সর্বাগ্রে আসে প্রাথমিক শিক্ষক ও শিক্ষার ওপর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী চক্রান্ত। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বিনষ্ট করার জন্য সারাদেশে গঠন করা হয় গ্রাম সরকার। এ গ্রাম সরকারে অর্থের যোগান দেওয়ার জন্য সর্বপ্রথম ১৯৮০ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা মহানগরীর প্রাথমিক স্কুল ঢাকা মিউনিসিপালিটির অধীনে ও সারাদেশের প্রাথমিক শিক্ষা গ্রাম সরকারের অধীনে ন্যস্ত করা হয়। তৎকালীন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন স্বাধীনতাবিরোধী নায়ক প্রধানমন্ত্রী শাহ আজিজুর রহমান, ঢাকা মিউনিসিপালিটির প্রশাসক ছিলেন ব্যারিস্টার আবুল হাসনাত।

১৯৮০ খ্রিষ্টাব্দের শেষের দিকে ঢাকা মহানগরীর স্কুলগুলোতে ধর্মঘট শুরু হয়। পরবর্তীতে সারা বাংলাদেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ২ মাস ৬ দিন ধর্মঘট ছিল। তৎকালীন সামরিক সরকার সর্বপ্রথম প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাথে পূর্বের অবস্থা ফিরিয়ে আনতে ১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দের ৬ মার্চ চুক্তি করলে  ধর্মঘটের অবসান হয়। সারাদেশের প্রায় ৩ লাখ প্রাথমিক শিক্ষক ও তাদের পরিবার-পরিজন ঢাকা শহরে সর্বকালের সর্ববৃহৎ মহাবিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেন। শিক্ষকদের এ বিশাল সফল আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন সভাপতি অধ্যাপক আবুল কালাম আযাদ ও সাধারণ সম্পাদক কাজী আ.কা. ফজলুল হক। গভীর কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধাভরে প্রাথমিক শিক্ষক সমাজ তাদের স্মরণ করছে। পরবর্তীতে সভাপতি অধ্যাপক আবুল কালাম আযাদের বিতর্কিত ও ন্যক্কারজনক কর্মকান্ড প্রাথমিক শিক্ষকদের মাঝে ক্ষোভ ও হতাশা বয়ে আনে। ক্ষমতাসীন দল ছাড়া দেশের সকল রাজনৈতিক দল এক মঞ্চে এসে প্রাথমিক শিক্ষকদের আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে ১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দের ১০ মার্চ দেশব্যাপী হরতাল ঘোষণা করেন। এ হরতালের ঘোষণা ছিল-সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে প্রথম হরতাল। 
স্বাধীনতাবিরোধী যেমন তাদের পরাজয়ের গ্লানি আজও ভুলতে পারেন, নানা ছদ্মবেশে তারা দেশের সর্বনাশা কর্মকাণ্ডে  লিপ্ত আছে তদ্রুপ তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী অধ্যক্ষ ইউনুস খানের পৃষ্ঠপোষকতায় শিক্ষক আন্দোলনের বিরোধী বি জি প্রেসের স্কুলের শিক্ষকের নেতৃত্বে গড়ে তোলেন ১৯৯২ খ্রিষ্টাব্দে তাদের অঙ্গ সংগঠন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। এ সংগঠনের মূল কাজ মামলা-মোকদ্দমার মাধ্যমে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা ও বিশেষ মহলের আনুকুল্যে শিক্ষকদের স্বার্থ পরিপন্থী কাজ করা। আজ প্রাথমিক শিক্ষা অনেক দূর এগিয়েছে। আজও প্রাথমিক শিক্ষায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রশাসনের মাঝে লুকিয়ে থাকা অশুভচক্র আঘাত হানছে।

২০০৬ খ্রিষ্টাব্দ ও ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের আন্দোলনে কুচক্রীমহলের প্ররোচনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সহকারি শিক্ষকেরা বেশি। প্রধান শিক্ষকেরাও আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২য় শ্রেণির মর্যাদায় স্কেলের স্বাদ পায়নি। আজ সারাদেশে প্রশ্ন জাগছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কী করছে? এ বাস্তবায়নের সময় লাগে কেন? মন্ত্রণালয়ের প্রধান কাজ কি বদলির সংযুক্তির মাধ্যমে গ্রামের সাধারণ মানুষের সন্তানদের শিক্ষায় বিঘ্ন ঘটানো। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সাধারণ মানুষের শিক্ষা নিশ্চিত করার পরিবর্তে জাতীয় শিক্ষানীতি বহির্ভূত ৫ম শ্রেণির পরীক্ষার মাধ্যমে জ্ঞান অর্জনকে পিছুটেনে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার বিশেষ ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু সারাজীবন একটা সাধনা করেছেন তা হলো বাঙালি জাতির মুক্তি। তাঁর রাজনীতির মূলে ছিল দেশকে ভালবাসা, মানুষের দুঃখ কষ্টে সাথে থাকা। তিনি গভীরভাবে উপলব্ধি করেছেন, এদেশের তৃণমুল পর্যায়ের খেটে খাওয়া মানুষের সন্তানদের শিক্ষিত করতে না পারলে বাঙালি জাতির সমৃদ্ধি আনা সম্ভব নয় আজকাল অনেক রাজনীতিবিদ ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতার মাঝে দেশ ও জনগণকে ভালবাসার পরিবর্তে নেতা, নেত্রী, কর্মীদের প্রতি ভালোবাসা লক্ষ্য করা যায়। এ ভালোবাসা স্বীয় স্বার্থসিদ্ধি ও নেতৃত্ব  উন্নয়নের ভালোবাসা। প্রাথমিক শিক্ষকরা তাদের অধিকার, সরকার ঘোষিত প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত। অথচ সংগঠনগুলোর ভূমিকা ন্যক্কারজনক। মানববন্ধন, বিবৃতি প্রদান, সাংবাদ সম্মেলন অনেকটা নিজেদের নেতৃত্ব জাহির বা উপস্থিতি জানান দেয়ার জন্যই করা হয়ে থাকে। শিক্ষকদের হতাশাব্যাঞ্জক বেতন স্কেলের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। আজকের প্রাথমিক শিক্ষক নেতৃত্ব সাময়িক সুবিধাভোগ বা আত্মতৃপ্তি পেলেও এই সুবিধা নিতান্তই ক্ষণস্থায়ী। শিক্ষকদের সমস্যা সমাধানে চাকুরি বাজি রেখে ঝাঁপিয়ে পড়াই হবে সফল ও ত্যাগী নেতৃত্বের লক্ষণ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদ আজ প্রাথমিক শিক্ষকদের ঐক্যবদ্ধ করার প্রয়াসে কাজ করে যাচ্ছে। 

আজকের দিনে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদকে প্রাথমিক শিক্ষক সমাজের পক্ষ থেকে গভীর কৃতজ্ঞতা জানাই। সাথে সাথে প্রতিষ্ঠিত হোক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সাধারণ মানুষের সন্তানদের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করা এবং মরহুম তাজউদ্দিন আহমেদের স্বপ্ন সকল শিক্ষকের মর্যাদা ১ম শ্রেণির হোক। শিক্ষক সমাজের প্রতি আহ্বান রইল শিক্ষকদের ভেদাভেদ সৃষ্টি না করে সহকারী প্রধান, সিনিয়র, জুনিয়র, কমযোগ্যতা, বেশি যোগ্যতা ভুলে শিক্ষকদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অবতীর্ণ হওয়ার জন্য। শিশু, শিক্ষকদের অধিকার ও বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়ন হোক এ প্রত্যাশায়।

লেখক : মো. সিদ্দিকুর রহমান, সভাপতি, বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদ; সম্পাদকীয় উপদেষ্টা, দৈনিক শিক্ষাডটকম।

প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ - dainik shiksha প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ তীব্র তাপপ্রবাহের ভেতরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার - dainik shiksha তীব্র তাপপ্রবাহের ভেতরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি নতুন শিক্ষাক্রম ও কিছু কথা - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রম ও কিছু কথা কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে স্কুলে দুই শিফটের ক্লাস চালু রাখার সভা রোববার - dainik shiksha স্কুলে দুই শিফটের ক্লাস চালু রাখার সভা রোববার শিক্ষা কর্মকর্তার আইডি ভাড়া নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাণিজ্য - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার আইডি ভাড়া নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাণিজ্য শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে নিষিদ্ধ, মৌলবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন - dainik shiksha নিষিদ্ধ, মৌলবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0078220367431641