রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে ইটভাটায় নির্যাতন ও শরীরের বিভিন্ন অংশে জ্বলন্ত সিগারেটের ছ্যাঁকা দেওয়ার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার দুপুরে লস্করহাটি এলাকার একটি ক্লাব থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে ঘটনায় জড়িত অন্যরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে।
জানা গেছে, গত বুধবার সামিউলকে উঠিয়ে নিয়ে দুই দফা নির্যাতনের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেন মা হালিমা বেগম। পরে ছয় আসামির নামে মামলা নেয় পুলিশ। স্থানীয়দের অভিযোগ, পৌর এলাকায় পাঁচ-ছয়টি কিশোর গ্যাং সক্রিয় রয়েছে। তারা এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জামাল বলেন, সামান্য মারধর হয়েছে, জটিল কিছু নয়। তবে পরিবারের দাবি, নির্যাতনের শিকার সামিউলের শরীরে রক্ত জমাট বেঁধেছে। কালশিরা পড়েছে অনেক জায়গায়। পায়ে ধারাল অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ অবস্থায় আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় এসএসসি পরীক্ষা নিয়েও চিন্তিত তাঁরা। তাকে প্রথমে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলেও চিকিৎসকরা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।
সামিউলের বাবা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ছেলেকে যেভাবে নির্যাতন করা হয়েছে, এমন ঘটনা যেন আর না ঘটে। মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িতরা সবাই চিহ্নিত মাদক কারবারি ও কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য।
গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম বলেন, আসামিদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। একজন গ্রেপ্তার হলেও বাকিদের ধরতে সোর্স লাগানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই আসামিরা কেউ বাড়িতে না থাকায় গ্রেপ্তারে সময় লাগছে।
জানা গেছে, সামিউলের এক চাচাতো বোনের প্রেমের সম্পর্কের জেরে স্থানীয় কয়েকজন গত বুধবার সকালে তাকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়। প্রথমে একটি হোটেল ও পরে লস্করহাটিতে ইটভাটায় নিয়ে নির্মম নির্যাতন করা হয়। এক পর্যায়ে সিগারেটের ছ্যাঁকা দেওয়া হলে জ্ঞান হারায় সে।