সোনালী ব্যাংক লিমিটেড রাজশাহী বিভাগের ব্যবসায়িক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শনিবার (২৩ জানুয়ারি) ব্যাংকের রাজশাহী জেনারেল ম্যানেজারস অফিসের আওতাধীন প্রিন্সিপাল অফিস, রাজশাহী, বগুড়া, নওগাঁ,পাবনা, সিরাজগঞ্জ, নাটোর,আঞ্চলিক কার্যালয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও জয়পুরহাটের অঞ্চল প্রধান এবং রাজশাহী কর্পোরেট ও বগুড়া কর্পোরেট শাখা প্রধানসহ সব শাখা প্রধানদের অংশগ্রহণে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যলয় সিনেট ভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের সিইও এন্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. আতাউর রহমান প্রধান। বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. মুরশেদুল কবীর, কোম্পানি সেক্রেটারি তাওহিদুল ইসলাম। সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী বিভাগীয় জেনারেল ম্যানেজার(ইনচার্জ) মীর হাসান মোহাঃ জাহিদ।
প্রধান অতিথি মো. আতাউর রহমান প্রধান রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন ব্যাবসায়িক সূচকে সোনালী ব্যাংককে দেশের বৃহওম বাণিজ্যিক ব্যাংক হিসেবে উল্লেখ করে সরকারের উন্নয়নের অংশীদার হিসেবে সোনালী ব্যাংকের বিশেষ অবদানের বিষয়ে আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, সোনালী ব্যাংকের বর্তমান অবস্থা বেশ মজবুত যা ধরে রেখে সরকারের ভিশন ২০২১ ও ২০৪১ এর রূপকল্পের আলোকে দেশকে অর্থনৈতিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে এবং কর্মসংস্থান ও দারিদ্র বিমোচনে আরও গুনগত ঋণ প্রবাহ বৃদ্ধি করছে। এর মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে সোনালী ব্যাংকের ভুমিকা আরও প্রসারিত করার চেষ্টা করতে সব কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেন। বিশেষকরে সরকারের করোনা প্রনোদনা মূলক সিএমএসএমই ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা শতভাগের অধিক অর্জন সংশ্লিষ্ট অঞ্চল প্রধান ও কর্মকর্তাদের বিশেষভাবে ধন্যবাদ দেন।
বিশেষ অতিথি মো. মুরশেদুল কবীর রাজশাহী বিভাগের আটটি অঞ্চলের সব শাখার ডিসেম্বর পর্যন্ত অর্জিত ব্যবসায়িক অবস্থা আশাব্যঞ্জক হয়েছে জানিয়ে চলতি বছরেও তা অব্যাহত রেখে বিনিয়োগ বৃদ্ধিসহ অন্যান্য লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সবাইকে তৎপর হওয়ার জন্য পরামর্শ দেন। তিনি ব্যাংকের স্থানীয় শক্তি, সুযোগ, দূর্বলতা ও হুমকি বিশ্লেষণ করে রাজশাহী বিভাগের ব্যবসায়িক লক্ষ্য ও কৌশল নির্ধারণসহ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। শাখাগুলোকে গুণগত ঋণ প্রবাহ বাড়ানোর তাগিদ দেন। খেলাপী ঋণ কমিয়ে যত দ্রুত সম্ভব ব্যাংকটি গ্রাহকসেবারমান নিশ্চিতকরণসহ বিনিয়োগবান্ধব করার নির্দেশ প্রদান করেন। শহরের পাশাপাশি গ্রামেও গুণগত ঋণ বিতরণ, গ্রামের সাধারণ গ্রাহকদের মাঝে ব্যাংকের সেবাসমূহ পৌঁছে দেয়া, আমানত সংগ্রহ, সম্ভাবনাময় স্থানে নতুন শাখা খোলা, বিনিয়োগ, ঋণপ্রদানসহ ব্যাংকিং খাতে বিভিন্ন সূচকে গত বছর সোনালী ব্যাংক শীর্ষে অবস্থান করেছে বলে উল্লেখ করে এই বছরেও সূচকগুলোকে আরও উন্নত ও স্থায়ী করার তাগিদ দেন। দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধির লক্ষ্যে নতুন সম্ভাবনাময় উদ্যোক্তা নির্বাচন করে সিএমএসএমই ঋণ প্রদান, এসএমই খাতসহ সকল খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, প্রতি শাখায় প্রতি মাসে ১টি করে এসএমই ঋণ বিতরণ, ব্যক্তি পর্যায়ে এবং সরকারী কর্মচারীদের জন্যও আবাসিক গৃহ নির্মাণ ঋণের আওতায় শহর ও পল্লী এলাকায় গৃহ নির্মাণ ঋণ বিতরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। কৃষি ও মাইক্রোক্রেডিট ঋণ প্রবাহ বৃদ্ধির ওপর দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নির্ভর করে হেতু কৃষি ঋণের বহুমুখিতার উপর গুরুত্বারোপ করেন। সকল শাখায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ অব্যাহত রাখার জন্য পরামর্শ দেন। গত বছরের অর্জনের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে ব্যবসায়িক অর্জন আরও সুসংহত করার জনা নির্দেশ দেন।
সভাপতি মীর হাসান মোহাঃ জাহিদ সমাপনী বক্তব্যে গত বছরের সাফল্যের ধারাবাহিকতায় বর্তমান বছরেও রাজশাহী বিভাগের উন্নয়নে কাংখিত ভূমিকা রেখে দেশের রাষ্ট্র মালিকানাধীন বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক হিসেবে সোনালী ব্যাংকের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার বিষয়ে সকল কর্মকর্তার প্রতি আহ্বান জানান। প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিদের দিক নির্দেশনাগুলো মাঠ পর্যায়ে যথাযথভাবে বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি ব্যাক্ত করেন।
