মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে বন্ধ ঘোষণার প্রায় দেড় বছর পর খুলতে যাচ্ছে দেশের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে সারা দেশের মতো নওগাঁর সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান শুরুর জোর প্রস্তুতি চলছে। এ উপলক্ষে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক জেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পাঠদানের জন্য প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কিনা তা পরিদর্শনে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিক্ষা কর্মকর্তারা। শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) ছুটির দিনেও তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি পরিদর্শন করেছেন।
জেলায় প্রাথমিক, মাধ্যমিক, মাদরাসা ও কলেজ মিলে মোট ২ হাজার ১৭৮ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ প্রতিষ্ঠান গুলো যদিও সরকারি নির্দেশে পাঠদানের উপযোগী করে তোলা হয়েছে তারপরও সবকিছু ঠিক আছে কি না তা পরিদর্শন করছেন জেলা প্রাথমিক, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও জেলার ১১ টি উপজেলা প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে পত্নীতলা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. মুসাহাক আলী ও ধামইরহাট মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. মাহফুজুর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, জেলা শিক্ষা অফিসারের নির্দেশে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেওয়া নির্দেশনাগুলো ঠিকমতো মেনে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাঠদান করার উপযোগী করে শ্রেণিকক্ষগুলো সাজানো হয়েছে কি না সেটা গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। আজ শুক্রবারও উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছি। সব প্রতিষ্ঠানই মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, নিদিষ্টভাবে বেঞ্চ সাজানো ও জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করা হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ইউসুফ রেজা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ইতোমধ্যেই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা পাঠদানের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। আমি ও আমার দপ্তরের সকল কর্মকর্তারা জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনে যাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের মাস্ক পড়া ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়গুলো নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসা শিক্ষার্থীদের আগে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। যাতে করে শিক্ষার্থীদের কোন ক্ষতি না হয় সেটার ওপর অধিক জোর দেওয়া হচ্ছে। এক দিনে জেলার সব প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করা সম্ভব না তাই শুক্রবারেও আমরা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করছি।
আমরা পরিদর্শনে দেখেছি প্রতিষ্ঠানগুলো খুব পরিপাটি করে সাজানো হয়েছে। আমি আশাবাদী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের দেওয়া সকল নিয়ম মেনেই শিক্ষকরা পাঠদানের কার্যক্রম পরিচালনা করতে প্রস্তুত রয়েছেন।