পর্যায়ক্রমে খুলে যাচ্ছে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সরকারি এ সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানালেও স্কুল-কলেজের আগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চালু করা উচিত ছিল বলে মনে করেন শিক্ষাবিদরা। তাদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় বেশি সচেতন। ক্যাম্পাসগুলোর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে স্কুল কলেজের কোমলমতি শিশুদের ক্লাসে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া উপযুক্ত হতো বলে মনে করেন তারা।
একবছরের বেশি সময় ক্লাসরুমে খুনসুটি হয়নি বন্ধুদের সঙ্গে। সময় হয়েছে সেই বিচ্ছেদকে ছুটি দেয়ার। ৩০ মার্চ খুলছে স্কুল-কলেজগুলো, কিন্তু মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি।[inside-ad-a]
শনিবার শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির ঘোষণা অনুযায়ী পঞ্চম, অষ্টম, এসএসসি ও এইচএসসির শিক্ষার্থীরা শুরুতে প্রতিদিন ক্লাসে আসবে। আর বাকি ক্লাসের শিক্ষার্থীরা প্রথমে সপ্তাহে একদিন, তারপর থেকে সপ্তাহে দুই দিন করে আসবেন। পর্যায়ক্রমে স্বাভাবিক হবে স্কুল-কলেজ।
কিন্তু শিক্ষাবিদরা বলছেন স্কুল-কলেজের আগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলা উচিত ছিল।
শিক্ষাবিদ মোহাম্মদ কায়কোবাদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের শ্রেণি কক্ষে এনে আমাদের অভিজ্ঞতাটা দেখা দরকার ছিল। সেই অভিজ্ঞতাটা যদি ইতিবাচক হয় তখনই আমরা ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের শ্রেণি কক্ষে নিয়ে আসবো।
সরকারের সিদ্ধান্ত হলো- পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ২২০টি আবাসিক হলের প্রায় দেড় লাখ শিক্ষার্থীকে টিকা দেবার পরই ক্যাম্পাস খুলবে। কিন্তু গ্রামপর্যায়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল-কলেজের ক্লাস পরিচালনার বিষয়টিকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন শিক্ষাবিদরা।
শিক্ষাবিদ আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, স্কুল-কলেজ খোলা নিশ্চিয় একটা বড় চ্যালেঞ্জ, কারণ আমাদের দেশের শিক্ষা প্রতিষ্টানের কথা বাদই দিলাম প্রত্যেকটি বাড়িতে শয়ন কক্ষ আছে সেখানে কি আমরা শারীরিক দূরত্ব বজায়ে রেখে বাসবাস করতে পারি। অতএব এটা বলার অপেক্ষা রাখে না, আমাদের পক্ষে শারীরিক- সামাজিক দূরত্ব একটা আদর্শ হিসেবে বজায়ে রাখতে পারবো, সেটি সম্ভব হবে না। তারপরও আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
যেহেতু বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে তাই সরকারের সামনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিকল্প ছিলো না বলেও মনে করেন তারা।