অনির্দিষ্টকালের জন্য স্কুল বন্ধ থাকা ও পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ায় স্কুলগামী কিশোর-কিশোরীরা উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তায় ভুগছে। রাজধানী ঢাকার বস্তি এলাকা ও স্বল্প আয়ের মানুষের মাঝে করা একটি গবেষণায় এমন তথ্য পাওয়া গেছে। গবেষণায় অংশগ্রহণকারীরা আরও জানিয়েছে, স্কুলে শিক্ষকের সহায়তায় পড়াশোনা করা যতটা সহজ, বাসায় বসে পড়াশোনা করা তার চেয়ে বেশ কঠিন। কারণ, অভিজ্ঞ শিক্ষকের কাছ থেকে পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা স্কুল বন্ধ থাকায় কেউ পাচ্ছে না।
গতকাল মঙ্গলবার 'ইয়াং পিপল'স ভয়েসেস ডিউরিং কভিড-১৯ :হাউ দ্য প্যানডেমিক অ্যাফেক্টেড অ্যাডোলেসেন্টস ইন আরবান স্লামস অ্যান্ড লো-ইনকাম সেটেলমেন্টস ইন ঢাকা' শীর্ষক ভার্চুয়াল সভায় গবেষণার ফলাফল ও উপাত্ত নিয়ে আলোচনা করা হয়। ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি), জেমস পি গ্র্যান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথ (জেপিজিএসপিএইচ) এবং ইনোভেশন ফর পোভার্টি অ্যাকশনের যৌথ গবেষণাটি জেন্ডার অ্যান্ড অ্যাডোলেসেন্স কর্মসূচির আওতায় করা হয়েছে। ইউকে এইডের মাধ্যমে এই গবেষণায় অর্থায়ন করেছে ইউকে সরকার।
সভাপতির বক্তব্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, গবেষণার ইতিবাচক দিক হচ্ছে, নিম্ন আয়ের পরিবার থেকে উঠে আসা কিশোর-কিশোরীরাও করোনাভাইরাসের ব্যাপারে সচেতন।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ও অ্যাকসেলারেটিং প্রোটেকশন ফর চিলড্রেনের প্রকল্প পরিচালক এস এম লতিফ বলেন, দেশে প্রথমবারের মতো জাতীয় কিশোর-কিশোরী স্বাস্থ্য কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে।
বিআইজিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ইমরান মতিন বলেন, করোনাকালে সৃষ্ট বৈষম্য হ্রাসে আমাদের যা সম্পদ ও প্রযুক্তি আছে, তা নিয়েই প্রতিকারমূলক শিক্ষার ব্যাপারে মনোযোগী হতে হবে।
ব্র্যাক জেমস পি গ্র্যান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথের ডিন এবং অধ্যাপক সাবরিনা এফ রশিদ বলেন, এই কিশোর-কিশোরীদের মহামারিকালে অর্থনৈতিক দুরবস্থা, অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মতো বিভিন্ন বিষয়ের মুখোমুখি হতে হয়েছে। এগুলো তাদের মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলেছে।
গবেষণার তথ্য ও ফলাফল তুলে ধরেন বিআইজিডির সিনিয়র ফেলো অব প্র্যাকটিস এবং জেন্ডার অ্যান্ড সোশ্যাল ট্রান্সফরমেশনের প্রধান মাহিন সুলতান এবং ব্র্যাক জেপিজিএসপিএইচের সেন্টার অব এক্সিলেন্স ফর জেন্ডার, সেক্সুয়াল অ্যান্ড রিপ্রোডাক্টিভ হেলথ অ্যান্ড রাইটসের সহকারী পরিচালক ফারহানা আলম। অংশ নেন ইথিওপিয়ার গবেষক ওর্কনেহ ইয়াদেতে, জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. জেনিফার সিগার প্রমুখ।