হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে স্কুল বন্ধ রেখে সংসদ সদস্যের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি। গতকাল সোমবার উপজেলা পরিষদ চত্বরে মেধা বিকাশ উচ্চ বিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই কৃতজ্ঞতা জানানো হয়। একই সঙ্গে শোক দিবসের আলোচনাসভারও আয়োজন করা হয়।
শিক্ষক সমিতি সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মাধ্যমিক পর্যায়ে বানিয়াচং উপজেলায় অবকাঠামোসহ শিক্ষার সার্বিক উন্নয়নের রূপকার হিসেবে বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে এই সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিতি বাড়ানো এবং সব শিক্ষকের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে উপজেলার বেশির ভাগ মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখা হয়।
সমিতির সভাপতি গোলাম আকবর চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও আহসান হাবিবের সঞ্চালনায় সংবর্ধনা সভায় বক্তব্য দেন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাওসার শোকরানা, আতাউর রহমান, মিজানুর রহমান খান, বিপুল ভূষণ রায়, পারভীন আকতার খানম, এম এ তাহের প্রমুখ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুন খন্দকার এ ব্যাপারে বলেন, ‘এ ধরনের কর্মসূচির কথা আগে থেকে আমার জানা ছিল না। উপজেলা চত্বরে এই অনুষ্ঠান আয়োজনের খবর জানতে পারি সকালে। তখন উপজেলার অভ্যন্তরে হওয়ায় এবং অনুমতি না থাকায় এই অনুষ্ঠান আয়োজনে বাধা দিয়েছিলাম। পরে এমপি মহোদয় বললে আর বাধা দিইনি। অনুষ্ঠানে সব শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। তাই স্কুলগুলোও বন্ধ ছিল।’ শোকের মাসে এ ধরনের আয়োজন করা সঠিক হয়েছি কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেখানে শোকের মাসের আলোচনাও হয়েছে।’
বানিয়াচং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাওছার শোকরানা বলেন, ‘১৫ আগস্টের আলোচনা এবং ওই এলাকায় বিগত সময়ের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে অনুষ্ঠান হয়েছে। তবে সব স্কুল বন্ধ দেওয়া হয়নি। দূর-দূরান্তের স্কুলগুলো বন্ধ দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠান প্রধানরা বছরে তিন দিন সংরক্ষিত ছুটি দিতে পারেন। তা থেকে এক দিনের ছুটি দেওয়া হয়েছে।’
বানিয়াচংয়ের রত্না উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং উপজেলা শিক্ষক সমিতির সহসভাপতি আবু তাহের বলেন, ‘এটি কোনো সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ছিল না। শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এই আলোচনায় শিক্ষক ও কর্মচারীরা অংশ নেয়। তা ছাড়া সব স্কুল ছুুটি দেওয়া হয়নি। এই অনুষ্ঠান নিয়ে অযথা বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে।’