কুড়িগ্রামের রৌমারীতে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করে নির্মাণ সামগ্রী রাখার অভিযোগ উঠেছে এক ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। গত এক মাস ধরে এ সামগ্রী রাখা হয়েছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন। পাথরবহনকারী ট্রাক্টরের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভবনের দেয়াল, সিঁড়ি ও বাউন্ডারী ওয়ালের। রৌমারী উপজেলার টাপুরচর বিজি উচ্চ বিদ্যালয়ের ঘটনা এটি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নে অবস্থিত টাপুরচর বিজি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্তুপ করে রাখা হয়েছে পাথর, বালি ও খোয়াসহ বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী। এ বিদ্যালয় মাঠে এসব সামগ্রী রাখা হয়েছে ছাটকড়াইবাড়ী থেকে রৌমারী সরকারি কলেজ পর্যন্ত রাস্তার কাজের ঠিকাদার। এতে বিদ্যালয়ের পুরোমাঠ বেদখলে গেছে। এলাকাবাসী বলছেন, এখানে পিচ ও পাথর পোড়ানো হবে। তাহলে বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় মিঠু আহমেদ, মাসুদ মিয়া, আবু বক্কর অভিযোগ করে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, অবৈধভাবে স্কুলমাঠ দখল করে রাস্তা সংস্কার কাজের পাথরসহ বিভিন্ন মালামাল রাখা হয়েছে। এতে ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে ঠিকাদারকে মালামাল রাখার অনুমতি দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক।
এ ব্যাপারে টাপুরচর বিজি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল গনী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ঠিকাদার আমাকে না জানিয়ে নির্মাণ সামগ্রী রাখেন। পাথর বোঝাই ট্রাক্টরের ধাক্কায় স্কুলভবনের দেয়ালে ফাটল ধরে এবং বাউন্ডডারি ওয়াল ভেঙে যায়। পাশাপাশি নবনির্মিত ভবনের সিঁড়িও ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে ট্রাক্টর দিয়ে। বিষয়টি আমি ইউএনও মহদয়কে জানিয়েছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে আরও বলেন, নির্মাণ সামগ্রীর রাখার বিষয়ে আমার সাথে কোন টাকা লেনদেন হয়নি।
এ বিষয়ে ওই রাস্তার কাজ পাওয়া ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হামিদ ট্রেডার্সের সত্বাধিকারী আব্দুল হামিদ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, স্কুল বন্ধ থাকায় রাস্তা সংস্কারের কাজের নির্মাণ সামগ্রী রাখা হয়েছে। এতে কোন সমস্যা হবে না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, জায়গা না পাওয়ায় স্কুল মাঠে নির্মাণ সামগ্রী রাখা হয়েছে। কার্পিটিং পর্যন্ত নির্মাণ সামগ্রী রাখা হবে।
রৌমারী উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আল ইমরান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি সরেজমিনে গিয়ে দেখবেচা। অভিযোগ সত্য হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ডিইও) মো. শামছুল আলম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, কোনক্রমেই ঠিকাদারীর নির্মাণ সামগ্রী স্কুল মাঠে রাখার নিয়ম নেই। এর জন্য কোন ক্ষয়ক্ষতি হলে প্রতিষ্ঠান প্রধানকে দায়ভার বহন করতে হবে।