স্কুল মাঠে ব্রিজের নির্মাণসামগ্রী, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা - দৈনিকশিক্ষা

স্কুল মাঠে ব্রিজের নির্মাণসামগ্রী, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

নাটোর প্রতিনিধি |

বড়াইগ্রামের রামাগাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে প্রায় আড়াই বছর ধরে একটি ব্রিজের নির্মাণসামগ্রী ফেলে দখল করে রাখা হয়েছে। এতে স্কুলের স্বাভাবিক কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটছে। একই সঙ্গে স্কুলের শিক্ষার্থী ও এলাকার তরুণরা খেলাধুলার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, প্রায় আড়াই বছর আগে স্থানীয় নন্দকুজা নদীর ওপরে পাশের বাগাতিপাড়া উপজেলা এলজিইডির উদ্যোগে ৯৯ মিটার দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট একটি ব্রিজ নির্মাণকাজ শুরু হয়। নির্মাণকাজ শুরুর সময় থেকেই ঠিকাদারের লোকজন নদীর পূর্বপাড়ে বড়াইগ্রাম উপজেলার রামাগাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ইট, পাথর, রড, ব্লকসহ বিভিন্ন নির্মাণসামগ্রী ফেলে রাখেন। এরপর করোনাকালীন দীর্ঘ ছুটি শেষে গত মাসে স্কুল খুলে দেওয়া হলেও এগুলো সরানো হয়নি। মাঠ জুড়ে এসব সামগ্রী ফেলে রাখায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ এলাকার উঠতি বয়সের কিশোর-তরুণরা খেলাধুলার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

রামাগাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে রাখা ব্রিজের নির্মাণসামগ্রী। ছবি: সংগৃহীত

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমাইয়া খাতুন ও জাকিয়া খাতুন জানায়, ‘করোনার মধ্যে বাড়ি থেকে বের হতে পারিনি। এখন স্কুল চালু হওয়ায় আমরা খুশি। কিন্তু মাঠ জুড়ে ব্রিজ নির্মাণের জিনিসপত্র রাখায় আমাদের সারাক্ষণ শ্রেণিকক্ষেই আটকে থাকতে হয়। টিফিন বা অন্য সময় একটু দৌড়ঝাঁপ করব বা বান্ধবীদের সঙ্গে খেলাধুলা করব, সে সুযোগ পাই না।’ স্থানীয় ক্রীড়ামোদি ছোটন, হাফিজুল ও দোয়েল জানান, আগে আমরা মাঠে খেলাধুলা করতাম। কিন্তু প্রায় আড়াই বছর যাবত্ মাঠ ঠিকাদারের লোকজনের দখলে থাকায় আমাদের খেলাধুলা চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। পাথর আর রডের টুকরার কারণে খেলতে গিয়ে ঘটছে দুর্ঘটনাও।’

প্রকল্পের তদারকিতে থাকা প্রকৌশলী মিনহাজুল ইসলাম বাঁধন বলেন, এলাকার উন্নয়ন কাজ করার জন্যই মাঠে এসব সামগ্রী রাখতে হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের অসুবিধা হলে বিষয়টি নিয়ে কি করা যায় সেটা ভাবতে হবে। প্রধান শিক্ষিকা নাজমা খাতুন জানান, প্রথম থেকেই মাঠে নির্মাণসামগ্রী রাখতে নিষেধ করেছি। কিন্তু তারা আমাদের কথা শুনছেন না।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম রেজাউল হক বলেন, মাঠে নির্মাণসামগ্রী রাখায় শিক্ষার্থীদের খেলাধুলায় ব্যাঘাত ঘটছে। তাদেরকে কয়েক দিন আগেও মালামাল সরিয়ে নিতে বলেছি। আমি আবারও তাদের সঙ্গে কথা বলব, যেন তারা দ্রুত সব কিছু সরিয়ে নেয়।

ষষ্ঠ-নবম শ্রেণিতে ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের সূচি - dainik shiksha ষষ্ঠ-নবম শ্রেণিতে ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের সূচি শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবইয়ের সংশোধনী প্রকাশ - dainik shiksha শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবইয়ের সংশোধনী প্রকাশ অষ্টম পর্যন্ত অবৈতনিক শিক্ষায় সরকারকে সহযোগিতা করবে ইউএনএফপিএ - dainik shiksha অষ্টম পর্যন্ত অবৈতনিক শিক্ষায় সরকারকে সহযোগিতা করবে ইউএনএফপিএ ইসরায়েলকে বোমা পাঠানো বন্ধ রাখছে যুক্তরাষ্ট্র - dainik shiksha ইসরায়েলকে বোমা পাঠানো বন্ধ রাখছে যুক্তরাষ্ট্র ভুইফোঁড় শিক্ষক সমিতি নেতাদের এমপিও বাতিল হতে পারে - dainik shiksha ভুইফোঁড় শিক্ষক সমিতি নেতাদের এমপিও বাতিল হতে পারে শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবইয়ের সংশোধনী প্রকাশ - dainik shiksha শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবইয়ের সংশোধনী প্রকাশ ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের জাপান টিকিট ৩০ লাখ! - dainik shiksha ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের জাপান টিকিট ৩০ লাখ! জাল সনদধারী শিক্ষকের এমপিও বাতিল - dainik shiksha জাল সনদধারী শিক্ষকের এমপিও বাতিল কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0073189735412598