রাজধানীর কলাবাগানের মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের ছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি গ্রেফতার তানভীর ইফতেখার দিহানের ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরার আদালত এই আদেশ দেন।
এর আগে আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কলাবাগান থানার পুলিশ পরিদর্শক আ ফ এম আসাদুজ্জামান আসামির ডিএনএ পরীক্ষার জন্য আবেদন করেন। এ ছাড়া গত ৮ জানুয়ারি আদালত মামলার এজাহার গ্রহণ করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৬ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন।
এদিকে পুলিশ দাবি করেছে, অভিযুক্ত আসামির সঙ্গে দুই মাস আগে থেকে ওই ছাত্রীর সম্পর্ক ছিল। গতকাল রবিবার ধর্ষণ ও হত্যার তদন্তের অগ্রগতি জানাতে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান। তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে জানা গেছে, তাদের দুই মাস আগে থেকে সম্পর্ক ছিল। তবে এ বিষয়ে এখনো তদন্ত চলছে।
এদিকে হাসপাতালে দেওয়া ওই ছাত্রীর বয়স ১৭ বছরের স্থানে ১৯ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন ওই ছাত্রীর মা-বাবা। এ ব্যাপারে উপকমিশনার বলেন, হাসপাতালের দেওয়া বয়সের ওপর ভিত্তি করেই পুলিশ মেয়েটির বয়স প্রাথমিকভাবে নথিভুক্ত করেছে। তবে বিষয়টি সংশোধনেরও কাজ চলছে।
এদিকে এ ঘটনায় অভিযুক্ত আসামির মা ঘটনা সম্পর্কে বলেন, ‘এ ঘটনায় আমি মর্মাহত। আমিও ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। তাঁর দাবি, আমার ছেলে ধর্ষণ বা হত্যার উদ্দেশ্যে মেয়েটিকে বাসায় ডাকেনি। একজন আরেকজনকে ভালোবাসে, সেই হিসেবে একান্তভাবে সময় কাটানোর জন্যই হয়তো ডেকেছিল। উভয়ের বয়স কম, একজন নাবালিকা এবং আমার ছেলের বয়স ১৮ বছর সাত মাস; অর্থাৎ কিশোর। আবেগের বসে উভয়েই শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়েছিল। পরবর্তীতে যা হয়েছে তা নিতান্তই দুর্ঘটনা মনে হচ্ছে। আমার ছেলে ধর্ষক বা হত্যাকারী হলে সে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করত, কিন্তু সে তা করেনি।