পিরোজপুর ইন্দুরকানীর এস ইন্দুরকানী এসএস আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী পদে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি অন্য প্রার্থীদের না জানিয়ে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দিয়েছেন। এ অভিযোগ তদন্ত করতে শিক্ষা কর্মকর্তা স্কুলে আসলে বিক্ষোভ করেছেন অভিযোগকারী চাকরি প্রত্যাশীরা। একইসাথে এদিন স্কুলে মানববন্ধন করেছেন তারা। বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এ ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, গত ২২ আগস্ট ওই বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী পদে রুমানা আক্তার নামের এক প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হয়। অপর চাকরি প্রার্থীরা অভিযোগ করেন তাদের না জানিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অসীম কুমার মজুমদার ও বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মাহমুদ হক দুলাল গোপনে এ নিয়োগ দিয়েছেন। এ নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ গত ৬ সেপ্টেম্বর আবেদনকারীরা জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২৩সেপ্টেম্বর) দুপুরে কাউখালী উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সুনিল চন্দ্র সেন সরেজমিনে তদন্তে গেলে স্থানীয়রা বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে। এসময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দেন।
চাকরী প্রত্যাশী সৌরভ মিস্ত্রি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, আমাদের না জানিয়ে প্রধান শিক্ষক অসীম কুমার মজুমদার বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সাথে আতাত করে গোপনে নিয়োগ দিয়েছে। আমাদের অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হয়নি। আমরা এ নিয়োগ বাতিল চাই।
এ ব্যাপারে জানতে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অসীম কুমার মজুমদার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, নিয়োগে কোন প্রকার অনিয়ম বা দূর্ণীতি হয়নি। বিধিমোতাবেক নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে।
অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কাউখালী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সুনিল চন্দ্র সেন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, অভিযোগকারীদের পক্ষে কিছু লোক এ বিক্ষোভ করেছেন। তারা বিষয়টি ব্যানার নিয়ে এসেছেন স্লোগান দিতে থাকেন। আমরা দুই পক্ষের সাথে কথা বলে তথ্য সংগ্রহ করেছি। তদন্ত প্রতিবেদন শিগগিরই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হবে।
এদিকে উপজেলা শিক্ষা অফিসের একটি সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, কিছু প্রার্থী ১ম দফায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়ার আবেদন করেছিলেন। পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ ২য় দফায় ও ৩য় দফায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। অভিযোগকারীরা ১ম দফায় আবেদন করলেও পরে আবেদন করেন নি। এদিকে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষও ২য় ও ৩য় বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে নিয়োগ প্রত্যাশীদের জানান নি। প্রথম বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করা প্রার্থীরা অ্যাডমিট কার্ড না পেয়ে গোপনে নিয়োগের অভিযোগ তুলেছেন।