বিধান অনুযায়ী জাতীয় পতাকা সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত উত্তোলন করা যাবে। সন্ধ্যার আগেই সেই পতাকা নামিয়ে ফেলতে হবে। কিন্তু সে নিয়ম মানছেন না পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার ১১ নং গন্ধর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গত বৃহস্পতিবার বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে রাত ৮ টার সময়ও উড়তে দেখা গেছে জাতীয় পতাকা। এ ঘটনায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ স্থানীয়রা।
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাসন্তী রানী বিশ্বাস দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, বৃহস্পতিবার আমিসহ শিক্ষকরা স্কুলের দাপ্তরিক কাজ শেষ করে যাওয়ার সময় দপ্তরি পার্থ হালদারকে সময় মতন পতাকা নামানোর জন্য বলে চলে যাই। ওই দিন রাত সাড়ে সাতটার দিকে সহকারী শিক্ষা অফিসার কে এম জামান স্যার আমাকে ফোনে জানান বিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকা এখনও উড়ছে। পরে আমি দপ্তরীকে ফোন দিলে সে বলে আমি একটু বাহিরে গিয়েছিলাম তাই পতাকা সময় মতন নামাতে মনে নেই। আমি এখনই পতাকা নামাচ্ছি। প্রধান শিক্ষক এ ঘটনায় জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ভবিষ্যতে আর এমন ভুল হবে না।
দপ্তরি পার্থ হালদার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমি ব্যক্তিগত কাজের জন্য একটু বাহিরে গিয়েছিলাম, তাই সময় মতন জাতীয় পতাকা নামাতে পারিনি। আমি এর জন্য সবার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। ভবিষ্যতে এমন ভুল আর হবে না।
উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কে এম জামান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত জাতীয় পতাকা উড়ানোর নিয়ম রয়েছে। রাতে বিদ্যালয়ে পতাকা উড়ার বিষয়টি অবমাননার সামিল। জাতীয় পতাকার সম্মান অক্ষুণ্ন রাখা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। গন্ধর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাতেও পতাকা উড়াছে বলে স্থানীয়রা আমাকে টেলিফোনে জানান। আমি তাৎক্ষণিক প্রধান শিক্ষককে পতাকা উড়ার বিষয়টি জানালে তিনি দপ্তরিকে পতাকাটি নামানোর জন্য বলেন।।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হাকিম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, জাতীয় পতাকা উত্তোলনের আইন ভঙ্গ করা রাষ্ট্রবিরোধী কাজ। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।