কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে এক ইউপি সচীবের বাড়িতে স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবিতে ২দিন থেকে অবস্থান নিয়ে অনশনে করছেন এক স্কুল শিক্ষিকা। উপজেলার কচাকাটা ইউনিয়নে ইসলামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। ওই গ্রামের শাহাব উদ্দিনের ছেলে কচাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব দুই সন্তানের জনক আতাউর রহমানের (৩৮) বাড়িতে কচাকাটা বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা সেলিনা পারভীন অবস্থান নিয়েছেন। ওই শিক্ষিকা স্বামী পরিত্যাক্তা ও দুই সন্তানের জননী।
গত শনিবার দুপুর থেকে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে অবস্থান নিয়ে অনশন রয়েছেন। এদিকে সেলিনা পারভীন বাড়িতে উঠার খবরে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে অভিযুক্ত সচিব আতাউর রহমান।
শিক্ষিকা সেলীনা পারভীন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, প্রায় ১ বছর হলো ওই সচিবের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এই সম্পর্কের জেরে তাদের মাঝে অনৈতিক মেলামেশা শুরু হয়। একপর্যায় চলতি বছর ১৮ মার্চ তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর কয়েকদিন ভালো চললেও এখন তাকে এড়িয়ে চলছে আতাউর। স্ত্রীর স্বীকৃতি চাওয়ার পর থেকে আতাউর তাকে দূরে ঠেলে দিয়েছে। এদিকে এ বিষয়ে গেল শুক্রবার কচাকাটা থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন সেলিনা।
আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’
কচকাটা বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো: নূরুজ্জামান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, সেলিনা ম্যাডাম আতাউরের সাথে তার বিয়ের হওয়ার কথা দাবি করেন। তবে তার দাবি কতটা সত্য সেটা বলতে পারবো না।
অভিযুক্ত আতাউর রহমানের স্ত্রী মাসুদা পারভীন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, সেলিনা পারভীন অযৌক্তিক দাবি নিয়ে আমার বাড়িতে উঠেছে। তার বিয়ের কোন প্রমাণপত্র নেই এবং সেটা তিনি দেখাতেও পারেননি। আমার স্বামীকে হেয় প্রতিপন্ন করা এবং টাকার লোভে তিনি (সেলিনা) এই কাজটি করেছেন।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন
কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুব আলম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, সেলিনা পারভীন সচিব আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে বিয়ে না করা, এমন একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তবে সেটি মামলা হিসেবে রের্কড হয়নি। তিনি আর আসেননি। শুনেছি তিনি আতাউরের বাড়িতে উঠেছেন। এদিকে আতাউরের স্ত্রী মাসুদা পারভীন থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেছেন বলে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে নিশ্চিত করেছেন ওসি।