বয়স ষাটের বেশি হলে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান পদে থাকার বিধান নেই। তবে, সে নিয়মের তোয়াক্কা না করে স্বপদে বহাল আছেন রাজধানীর ঢাকা সেন্ট্রাল গার্লস হাইস্কুলের ষাটোর্ধ্ব প্রধান শিক্ষক ফরিদা ইয়াসমিন। সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েও দীর্ঘদিন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পদে কর্মরত আছেন তিনি। গত বছরের আগস্ট মাসে তার বয়স ষাট পেরোলেও এখনো প্রতিষ্ঠান প্রধান পদেই বহাল।
সম্প্রতি বিষয়টি জানিয়ে ষাটোর্ধ্ব প্রধান শিক্ষক ফরিদা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, ষাটোর্ধ্ব প্রধান শিক্ষক ফরিদা ইয়াসমিন জোর করে পদে বহাল আছেন। ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজসে তিনি শিক্ষক কমচারীদের বেতন বিলে স্বাক্ষরও করছেন। স্কুল থেকে তিনি বেতন ভাতাও নিচ্ছেন। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানানো হয়েছে অভিযোগে। ভর্তি ফরম ফিলাপসহ সব কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ষাটোর্ধ্ব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফরিদা ইয়াসমিন।যদিও বয়স ষাট বছরের বেশি হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান পদে কেউ বহাল থাকতে পারবে না বলে সরকারি নির্দেশনা আছে। গত ১২ জুন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো ২০১৮ এর ১১.৬ অনুচ্ছেদে বলা হয়, বয়স ৬০ পূর্ণ হলে কোন প্রতিষ্ঠানের প্রধান বা সহকারী প্রধান বা শিক্ষক-কর্মচারীকে কোন অবস্থাতেই পুনঃনিয়োগ বা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া যাবে না। সে অনুযায়ী প্রধান শিক্ষক পদের দায়িত্ব পালন করার সুযোগ নেই ফরিদা ইয়াসমিনের। আর বয়স ষাট হলে শিক্ষকদের এমপিও বন্ধ করে দেয় শিক্ষা অধিদপ্তর।
বয়স ৬০ উত্তীর্ণ হওয়ার পরে পরবর্তী জ্যেষ্ঠ শিক্ষককে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নির্দেশনাও দিয়েছিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। বলা হয়েছিল, অধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে উপাধ্যক্ষ দায়িত্ব পালন করবেন। উপাধ্যক্ষ না থাকলে জ্যেষ্ঠ শিক্ষক অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করবেন। কিন্তু তা মানেননি এ অধ্যক্ষ।
তিনি আরও জানান, প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। বৈধ প্রধান শিক্ষক নিয়োগের পর তিনি দায়িত্ব ছেড়ে দেবেন বলেও দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন তিনি।
দৈনিক শিক্ষার অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটির কয়েকজনের সাথে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশ রয়েছে। তাদেরকে ম্যানেজ করেই চলছেন ফরিদা ইয়াসমিন।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।