স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ ও ‘বিশ্ব বই দিবস’ - দৈনিকশিক্ষা

স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ ও ‘বিশ্ব বই দিবস’

এম এ মতিন |

আজ ২৩ এপ্রিল। ‘বিশ্ব বই দিবস’। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য রিড ইউর ওয়ে’ অর্থাৎ ‘পড়ুন আপনার মতো করে’। ১৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ এপ্রিল থেকে ইউনেসকোর উদ্যোগে দিবসটি পালন করা হয়। প্রতিবছর বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিবসটি পালন করে। ‘বিশ্ব বই দিবস’র মূল উদ্দেশ্য হলো-বই মুদ্রণ ও প্রকাশ, বই বিক্রি ও সরবরাহ, বই পড়া ও বই -এর ব্যবহার বৃদ্ধি, বইয়ের কপিরাইট সংরক্ষণ ইত্যাদি বিষয়ে ব্যাপক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা।

১৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দে প্রথমবার ইউনেসকোর উদ্যোগে ‘বিশ্ব বই দিবস’ পালিত হলেও ‘গ্রন্থস্বত্ব’কে এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ২০০১ খ্রিষ্টাব্দে বই বিক্রেতা, প্রকাশক এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের গ্রন্থাগার ও গ্রন্থাগার সমিতির অনুরোধে ‘বই দিবস’-এর সঙ্গে ‘গ্রস্থস্বত্ব’ শদটি  জুড়ে দেয় ইউনেসকো। ফলে এর শিরোনাম দাঁড়ায়, ‘বিশ্ব বই ও গ্রন্থস্বত্ব দিবস’। সেইসঙ্গে ঠিক হয় প্রতিবছর বিশ্বের ‘গ্রন্থ রাজধানী’ হিসেবে বেছে নেয়া হবে একটি করে শহরকে। ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের জন্যে ‘গ্রন্থ রাজধানী’ হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে আফ্রিকা মহাদেশের দেশ ঘানার রাজধানী ‘আক্রাকে। 

১৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘বিশ্ব বই দিবস’র যাত্রা শুরু হলেও এর মূল ধারণাটি আসে প্রায় ৪০০ বছর আগে ১৬১৬ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ এপ্রিল তারিখের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে। ঘটনাটি ছিলো-ওইদিন স্পেনের বিখ্যাত কবি ও লেখক মিগেল দে সার্ভান্তেস মারা যান। স্পেনের বিখ্যাত ঔপন্যাসিক ভিন্সেন্ট ক্লাভেল আন্দ্রেস ছিলেন তার ভাবশিষ্য। কিংবদন্তি লেখক সার্ভান্তেস–এর  মৃত্যু দিবসকে স্মরণীয় করে রাখতে আজ থেকে ঠিক ১০০ বছর আগে, ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ এপ্রিল দিনটিকে আন্দ্রেস ‘গ্রন্থ দিবস’ হিসেবে উদযাপন করেন। এ ছাড়া উইলিয়াম সেক্সপিয়ারও এদিনে প্রয়াত হয়েছিলেন, প্রয়াত হয়েছিলেন সত্যজিৎ রায়ও। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে ইউনেসকো স্পেনের  প্রস্তাব অনুযায়ী ২৩ এপ্রিলকে ‘বিশ্ব বই দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

বাংলাদেশে প্রতি বছর ৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় পর্যায়ে ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস’ পালিত হলেও ২৩ এপ্রিল ‘বিশ্ব বই দিবস’ পালনের নজির নেই। তবে এ কথা সত্য যে, ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস’ এবং ‘বিশ্ব বই ও গ্রন্থস্বত্ব দিবস’র লক্ষ ও উদ্দেশের মধ্যে মূলত কোনো পার্থক্য নেই।

বাংলাদেশের ছাত্র, শিক্ষক ও গবেষকদের অধিকতর গ্রন্থাগারমুখী করে তোলা, জাতিগঠনে গ্রন্থাগারের অবদান ও প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করা, দেশে বিদ্যমান গ্রন্থাগারগুলোতে জ্ঞানবিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার ওপর সর্বশেষ প্রকাশিত বই ও সাময়িকী সংগ্রহ, বিতরণ ও সেগুলোর অধ্যয়ন বৃদ্ধির কলাকৌশল সম্পর্কে আলোচনা ও মতবিনিময় এবং সার্বিকভাবে একটি মননশীল, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এবং গ্রন্থাগারকর্মী ও পেশাজীবী, লেখক, প্রকাশক, পাঠক বিশেষ করে বাংলাদেশ গ্রন্থাগার সমিতির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ অক্টোবর তারিখে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদের সভায় ৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস’ঘোষণা করেছিলেন। আমাদের দাবি, একই উদ্দেশ্য সামনে রেখে বহির্বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সরকার ‘বিশ্ব বই ও গ্রন্থস্বত্ব দিবস’ উদযাপনের উদ্যোগ নিতে পারে।  

সরকার ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চায়। উল্লেখ্য, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্ণমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি বিশ্বখ্যাত চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের লক্ষ্য অর্জনকে সামনে রেখেই প্রণীত বলে প্রতীয়মান হয়। আমাদের জন্যে ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস’ এবং ‘বিশ্ব বই ও গ্রন্থস্বত্ব দিবস’ যথাযথভাবে উদযাপনের মাধ্যমে জাতিকে বইমুখী করার বিল্কল্প নেই।

এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আজ ‘ত্রিংশতিতম ‘বিশ্ব বই দিবসে’ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের সকল পর্যায়ের গ্রন্থাগার ও শিক্ষার মান পর্যালোচনার সময় এসেছে। আমরা জানি, জাতির গ্রন্থাগার যত সম্মৃদ্ধ, সে জাতি ততো উন্নত। আমরা এও জানি যে, বর্তমান যুগে কোনো জাতির উন্নয়নের ব্যারোমিটার বা পরিমাপক হচ্ছে গ্রন্থাগার ও তথ্য ব্যবহারের পরিমাণ অর্থাৎ যে জাতি যতো বেশি পরিমাণে গ্রন্থাগার ও তথ্য ব্যবহার করে সে জাতি ততো বেশি উন্নত। গ্রন্থাগার ও তথ্য ব্যবহারের বর্তমান মানদণ্ড হচ্ছে বৈশ্বিক জ্ঞান সূচক, বৈশ্বিক অর্থনীতি সূচক এবং বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের বৈশ্বিক র‍্যাংকিং ইত্যাদি। 

বিগত ১২-১৩ বছরে দারিদ্র্য দূরীকরণ, উৎপাদনশীলতা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক খাত, মাথাপিছু আয়, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন তথা সার্বিক উন্নয়নে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জনে সমর্থ হয়েছে। ফলে ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশ অনুন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশসমূহের তালিকায় নাম লেখাতে সক্ষম হয়েছে। অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিভিন্ন চলকের ঈপ্সিত ফলাফল অব্যাহত রাখতে পারলে ২০২৬ খ্রিষ্টাব্দ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বহির্বিশ্বে স্বীকৃত হবে। কিন্তু বৈশ্বিক জ্ঞান সূচকে অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলদেশকে ঈপ্সিত স্থানে পৌঁছাতে গ্রন্থাগার ব্যবহার ও শিক্ষার মানের আরো উন্নয়ন ঘটাতে হবে। এই সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে নিচে বাংলাদশ। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে–অধ্যয়ন, গবেষণা ও উদ্ভাবনে বাংলাদেশ ঈপ্সিত লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হচ্ছে। 

বর্তমানে প্রযুক্তির কারণেই হোক অথবা অন্য যেকোনো কারণেই হোক আমাদের সমাজে অধ্যয়ন তথা বই পড়ার অভ্যাসটা কমেছে দারুণভাবে। এখন সবার চোখ বই-এর স্থলে মোবাইলের স্ক্রিনে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে দেশে ইন্টারনেট গ্রাহক ১২ কোটি ৬১ লাখের বেশি। গত জানুয়ারি থেকে মার্চ (২০২৪) পর্যন্ত গ্রাহক বেড়েছে ২০ লাখ। এর মধ্যে বিরাট অংশ তরুণ। বাংলাদেশে ১৫ থেকে ২৯ বয়সী মানুষ আছে প্রায় ৩ কোটি। এদের অধিকাংশই ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক, ইমো ও লাইকিসহ আরো অনেক ধরনের ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করছেন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, তরুণরা গড়ে দৈনিক ৪–৫ ঘণ্টা ডিজিটাল ডিভাইসে ব্যয় করে থাকেন।

১৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের মধ্য যাদের জন্ম, তাদের ‘আইজেন’ বলা যায়। এ প্রজন্ম স্মার্টফোন ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমসমূহ সম্বল করে বেড়ে উঠছে। তাদের আচরণ ও আবেগের ধরন আগের প্রজন্মের চেয়ে আলাদা। ‘আইজেন’রা এ পরিবর্তনে মানসিকভাবে বেশি ঝুঁকিতে। তরুণদের মধ্যে বিষণ্ণতা ও আত্মহত্যার প্রবণতা সম্প্রতি বাড়তে দেখা গেছে। গত কয়েক দশকের মধ্যে ‘আইজেন’ সবচেয়ে বেশি মানসিক সমস্যার মধ্যে পড়েছে এখন। ‘দ্য আটলান্টিকে’র (সেপ্টেম্বর, ২০১৭) ‘হ্যাভ স্মার্টফোনস ডেস্ট্রয়েড আ জেনারেশন’ শিরোনামের এক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের সান ডিয়েগো বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিদ্যার অধ্যাপক জিন টুয়েঙ্গে  বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করে ‘আইজেন’ প্রজন্মের খুঁটিনাটি তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন, এ প্রজন্মের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর স্মার্টফোনের প্রভাব মাত্রতিরিক্ত। এখনকার কিশোররা বন্ধুর সান্নিধ্যে কম সময় কাটায়, তাদের মধ্যে ডেটিং কমছে, এমনকি পুরো প্রজন্মের ঘুম কম হচ্ছে। একাকিত্বের এই হার বাড়ায় সাইবার নিপীড়ন, হতাশা, উদ্বেগ এবং আত্মহত্যার ঘটনা বাড়ছে। 

আজকের পৃথিবীতে স্ক্রিন আসক্তি বা নেট আসক্তিকে তুলনা করা হচ্ছে জীবনগ্রাসী মাদকাসক্তির সঙ্গে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাত্রতিরিক্ত ব্যবহারে ‘আইজেন’দের মধ্যে সামাজিক নিঃসঙ্গতা, সৃজনশীলতা হ্রাস, সক্রিয়তা হ্রাস, অস্বাভাবিক আচরণ এবং জঙ্গীবাদে উদ্বুদ্ধ হওয়ার ঈঙ্গিত সুস্পষ্ট। এই সর্বগ্রাসী অক্টোপাসরূপী সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ‘আইজেন’কে  বাঁচাতে হলে মোবাইল স্ক্রিনের পরিবর্তে মুদ্রিত পাঠসামগ্রীর প্রতি তাদেরকে মনোনিবেশ করাতে হবে। মনে রাখতে হবে, শরীর সুস্থ রাখার জন্য যেমন স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন, ঠিক তেমনিভাবে ব্রেন তথা মস্তিষ্ককে সুস্থ, কার্যক্ষম ও সচল রাখার জন্য খাদ্য দেয়া প্রয়োজন। বই পড়ার অভ্যাসটিই হলো মস্তিষ্কের খাদ্য! পুস্তক পাঠ স্মৃতিশক্তি ও মস্তিষ্কের জ্ঞানীয় কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। বই পড়া ব্রেন ও দেহের জন্য ভীষণ উপকারী। 

গবেষণায় দেখা গেছে, বই পড়ার অভ্যাস মস্তিষ্কের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। পুস্তকের বিষয়বস্তু এর পাঠককে মানসিকভাবে উদ্দীপ্ত রাখে। ফলে  ডিমেনশিয়া ও আলঝেইমার–এর মতো মারাত্নক ব্যাধি তাকে স্পর্শ করতে পারে না। এ ছাড়া বই পড়া মানসিক চাপ কমায়, স্মৃতিশক্তি প্রখর করে, কল্পনাশক্তি বৃদ্ধি করে, যৌক্তিক চিন্তায় দক্ষতা বাড়ায়, মনোযোগ বৃদ্ধি করে, রাতে দ্রুত ঘুমাতে সাহায্য করে, কোনো বিষয়ে অনুপ্রাণিত হওয়া যায়, অন্যের প্রতি সহমর্মিতা সৃষ্টি হয়, বৃদ্ধি পায় সৃজনশীলতা। রাতে ঘুমানোর আগে বই পড়ার ফলে নার্ভ ও মন শান্ত হয়। ফলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ঘুম চলে আসে। অতএব নতুন প্রজন্মকে প্রযুক্তির কুফল থেকে বাঁচানোর একমাত্র উপায় হচ্ছে পুস্তক পাঠে তাদের উদ্বুদ্ধ করা। 

স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে হলে শিক্ষার সর্বস্তরে বই পড়ার পরিমাণ ও পড়াশোনার মান আমাদের বাড়াতেই হবে। পড়াশোনার মান তখনই বৃদ্ধি পাবে যখন ছাত্রছাত্রীরা নির্দিষ্ট পাঠ্য পুস্তকের পাশাপাশি গ্রন্থাগারে গিয়ে বিষয়সংশ্লিষ্ট পুস্তকের অতিরিক্ত রেফারেন্স বই পড়ে নিজেদের জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধির প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে। অপ্রিয় হলেও এ কথা সত্য যে, আমাদের ছেলেমেয়েরা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে উচ্চ জিপিএ অর্জন করার পরও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ভর্তি পরীক্ষায় একই পাঠক্রমের ওপর করা প্রশ্নপত্রের উত্তরে খারাপ ফলাফল করছেন। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে আমাদের শিক্ষার্থীরা গ্রন্থাগারে পড়াশোনা, রেফেরেন্স বই পড়া, ওয়েবসাইট সার্চ করে পড়াশোনা তো দূরের কথা–নিজেদের পাঠ্যপুস্তকও সঠিকভাবে পড়ে আয়ত্ত করেননি। তারা গাইড বা নোট পড়ে পাস করেছেন।  

অতএব প্রযুক্তির কুফল থেকে পরিত্রাণ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে ‘বিশ্ব বই ও গ্রন্থস্বত্ব দিবসে কিছু বিষয়াবলির প্রতি সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। শিশুদের (২-৫) হাতে স্মার্টফোন না দেয়া। এর পরিবর্তে মা-বাবাকে শিশুদের পর্যাপ্ত সময় দেয়া, স্কুল কলেজ মাদরাসা পর্যায়ের গ্রন্থাগার পরিচালনা ও এর ব্যবহার যথাযথ হচ্ছে কি না তা নিবিড়ভাবে পরিবীক্ষণ করা, প্রতিদিন বাধ্যতামূলকভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের গ্রন্থাগারে বসে বিভিন্ন বিষয়ের বই পাঠ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা,  বাড়িতে পড়ার জন্যে তাদের সিলেবাস বহির্ভূত বই ইস্যু করা, ঘন ঘন বই পড়া প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠান করা, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গবেষণা কার্যক্রম বৃদ্ধির জন্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং শিক্ষার্থীদের গবেষণা কর্মের সঙ্গে সংযুক্ত করা এবং লক্ষ্যভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম (ওবিই) বাস্তবায়নের মাধ্যমে গুণগত শিক্ষার লক্ষ্যে সর্বাত্নক ব্যবস্থা গ্রহণ করা। ‘বিশ্ব বই ও গ্রন্থস্বত্ব দিবস ২০২৪’ সফল হোক।

লেখক: প্রক্টর, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ  

 

এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির - dainik shiksha খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি - dainik shiksha উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা - dainik shiksha শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0036559104919434