কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে নীল দলের (শিক্ষক সংগঠন) দুই পক্ষের মধ্যে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। এতে কমিশনার ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেয়। পরে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।
জানা যায়, নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু পরিষদের (একাংশ) সভাপতি সাইদুল আল আমিন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মুর্শেদ রায়হানের পক্ষের শিক্ষকরা অংশ নিয়েছে।
অন্যদিকের সভাপতি কাজী ওমর সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) কাজী জাহিদ হাসান প্রথম থেকে নির্বাচন কমিশন গঠন ও দিন তারিখ নিয়ে বিরোধিতা করে আসছিল।
ভোটগ্রহণ বন্ধ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. জি এম মনিরুজ্জামান বলেন, আমরা সুষ্ঠু পরিবেশ পেলে নির্বাচন শুরু করব। নির্বাচন শুরু হওয়ার আগে শিক্ষকদের একটি পক্ষ বাধা দেয়। পরিবেশ পেলে আমরা নির্বাচন চালিয়ে যাব।
এ ছাড়াও ভোটকেন্দ্রের বিষয়ে বির্তক তুলছে শিক্ষকদের এক পক্ষ। ওমর-জাহিদ গ্রুপের শিক্ষকদের দাবি, নির্বাচন কমিশন কখন ভোট কেন্দ্র পরিবর্তন করছে আমরা জানি না। নির্বাচন পূর্বে যেমন শিক্ষক লাউঞ্চে অনুষ্ঠিত হতো, এবারও হবে।
ভোটকেন্দ্রের বিষয়ে জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লাউঞ্জের ব্যাপারে অনুমতি চেয়েছি। কিন্তু প্রশাসন আমাদের অনুমতি দেয়নি।
সাধারণ শিক্ষকদের দাবি, সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণের কথা থাকলেও হট্টগোলের কারণে এখনো কোনো ভোট নিতে পারেনি কমিশন। এক পক্ষ ভোটের জন্য দাঁড়িয়ে থাকলেও অপরপক্ষ দরজা অবরোধ করে রেখেছেন।