বরগুনার তালতলীতে হাইকোর্টের স্থাগিতাদেশ অমান্য করে এক মাদরাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ মাদরাসায় সহকারী গ্রন্থাগারিক নিয়োগে ৩ মাসের স্থাগিতাদেশ দিলেও ওই অধ্যক্ষ আবু ছালেহ মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে স্বজনপ্রীতি করে ২ সেপ্টেম্বর নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ দেয়ার পাঁয়তারা চালাচ্ছেন।
জানা গেছে, তালতলী ছোটভাইজোড়া ছালেহিয়া আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবু জাফর মো. ছালেহ মাদরাসায় সহকারী গ্রন্থাগারিক ও আয়া পদে নিয়োগ দেয়ার জন্য ইতোমধ্যে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন। মাদরাসার শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক আয়া পদে প্রতিষ্ঠাতার পুত্রবধূকে নেয়ার কথা থাকলেও অধ্যক্ষ তার এক আত্মীয়কে আয়া পদে নেয়ার জন্য ২ সেপ্টেম্বর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে নিয়োগ পরীক্ষা নিয়েছেন।
অধ্যক্ষ তার শ্যালককে সভাপতি করে হাতেগোনা কয়েকজন সদস্য নিয়ে নামমাত্র ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে এলাকার বহুল আলোচিত ওই রবকে সহকারী গ্রন্থাগারিক ও তার এক আত্মীয়ের স্ত্রীকে আয়া পদে গোপনে নিয়োগ দেয়ার পাঁয়তারা চালাচ্ছেন। অথচ মাদরাসার জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ এর ৩৫নং কলামে উল্লিখিত সহকারী গ্রন্থাগারিক পদের নিয়োগে শিক্ষাগত যোগ্যতায় শুধু ফাজিল বা আরবি বিষয়ে অনার্স ডিগ্রি এবং তা দিয়ে গ্রন্থাগার বিজ্ঞানে ডিপ্লোমা যোগ্যতা চাওয়া হয়েছে। অথচ অধ্যক্ষ মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে যাকে নিয়োগ দিচ্ছেন তিনি ফাজিল সনদ দিয়ে গ্রন্থাগার বিজ্ঞানে ডিপ্লোমা যোগ্যতা অর্জন করেন নাই। নীতিমালায় বয়স ৩৫ বছরের ঊর্ধ্বে হলে সমপদে ইনডেক্সধারীদের জন্য শিথিল যোগ্য বলা হলেও যাকে নিয়োগ দিচ্ছেন তার বয়স ৪৬ বছর। তার পূর্বের চাকরির গ্রেড-১৬ বর্তমানে নিয়োগ নিচ্ছেন ১০ গ্রেডে।
ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ আবু জাফর মো. ছালেহ বলেন, বিধি মোতাবেক ২ সেপ্টেম্বর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে নিয়োগ পরীক্ষা হয়েছে। নিয়োগ পরীক্ষার পরে হাইকোর্টের স্থাগিতাদেশের খবর পেয়েছি।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শাহদাত হোসেন বলেন, মাদরাসায় সহকারী গ্রন্থাগারিক/ক্যাটালগার নিয়োগে হাইকোর্টের স্থাগিতাদেশের খবর না পাওয়ায় ২ সেপ্টেম্বর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে নিয়োগ পরীক্ষা হয়েছে। আমরা পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টের স্থাগিতাদেশের খবর পেয়েছি। ২ সেপ্টেম্বরের নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করা হবে।