হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী অবশেষে প্রায় দুই বছর পর পুনরায় যোগদান করতে পারছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশনস সিস্টেম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. অনুপ কুমার সাহা। এছাড়া নকল এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ঢাবির সহকারী রেজিস্ট্রার শারমিন জাহানকে চাকরিতে যোগদানের অনুমতি দেয়া হয়।
রবিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্র্য(শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, “অ্যাকাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশনস সিস্টেমস বিভাগের প্রভাষক নুসরাত ফারাহ এবং মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম অননুমোদিত ভাবে বিদেশে অবস্থান করার কারণে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।” এছাড়া অধ্যাপক অনুপ কুমারকে যোগদান করতে না দেয়া এবং তথ্যগত ভুল বা ঘাটতি কেনো হলো তা জানতে উপ-উপাচার্য(শিক্ষা) কে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
গত বছরের ২৫ নবেম্বর অধ্যাপক অনুপ কুমারকে চাকরিতে পুনবহালের নির্দেশ দেয় আদালত। এর আগে পিএইচডি সম্পন্ন হওয়ার আগেই ডক্টরেট ডিগ্রি ব্যবহার করে সহকারী অধ্যাপক পদে যোগদান করার অভিযোগে তাকে ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল। তবে হাইকোর্র্ট এক রায়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করে ওই শিক্ষককে চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ দেয়।
অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নকল মাস্ক সরবরাহ করে শারমিন জাহানের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনাল। এই ঘটনায় বিএসএমএমইউ এর করা এক মামলায় শারমিন জাহানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরবর্তীতে ঢাবি কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা ও ভাবমূর্তি ক্ষূণ্ণ করার অভিযোগে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছিল।