চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসায় শাহ আহমদ শফীর জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। জানাজায় অংশ নিতে অনুসারীদের ঢল নামে। মাদরাসা প্রাঙ্গণেই তাকে দাফন করা হয়।
শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে নেয়া হয় হেফাজতে ইসলামের আমির আহমদ শফীর মরদেহ। বাদ জোহর হাটহাজারী মাদরাসায় অনুষ্ঠিত হয় নামাজে জানাজা। তার ইচ্ছে অনুযায়ী সেখানেই দাফন করা হয় তাকে। কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে চট্টগ্রামের চার উপজেলাতেই সাত ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মাঠে রয়েছে ১০ প্লাটুন বিজিবি।
এর আগে, শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) আহমদ শফির মৃত্যুর খবর পেয়ে তাকে শেষবারের মতো দেখতে রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালের সামনে ভিড় করেন তার দলের নেতাকর্মীসহ ভক্ত অনুসারীরা। রাতেই আসগর আলী হাসপাতাল থেকে ফরিদাবাদ মাদরাসায় নেয়া হয় আহমদ শফীর মরদেহ। সেখানেও জড়ো হন হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা। অনেকেই রাজধানীতে জানাজার দাবি জানান। তবে, আহমদ শফীর ইচ্ছানুযায়ী একটি জানাজার কথা জানান তার ছেলে আনাস মাদানি। পরে, রাতেই শফির মরদেহবাহী গাড়ী রওনা হয় চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে। দীর্ঘদিনের কর্মস্থল হাটহাজারী মাদরাসায় প্রাঙ্গণেই চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন হেফাজতে ইসলামের আমীর।
শুক্রবার রাতে, ১০৪ বছর বয়সে রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা যান আহমদ শফী।