বাস ভাড়া অর্ধেক করার দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ছাত্রলীগ হামলা করেনি বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, হাফ ভাড়ার দাবিতে শিক্ষার্থীরা সমাবেশ করেছে। ছাত্রলীগ দলগতভাবে এই হাফ ভাড়ার সমাবেশে বা মানববন্ধনে হামলা চালাবে, এটা সত্য নয়। ছাত্রলীগ নামধারী কোনো দুর্বৃত্ত হয়ত এ কাজ করতে পারে।
শনিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে পাসের জন্য প্রস্তাবিত মহাসড়ক বিল-২০২১ এর জনমত যাচাই প্রস্তাবের পর বিএনপির সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানার এক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন। বিএনপির এ সংসদ সদস্যের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, আপনি কী কারও নাম বলতে পারেন? এটাই যদি করতো, তাহলে তারা কেন এ দাবিতে প্রকাশ্যে সমর্থন করছে?
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিআরটিসিতে প্রথমে ভেবেছিলাম ভাড়া ৩০ পারসেন্ট দেব। কিন্তু যখন প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি চাইলাম, তিনি বললেন, ‘হাফ ভাড়া যখন তারা দাবি করেছে, সেটিই দাও’। তার নির্দেশনায় সারাদেশে বিআরটিসির প্রজ্ঞাপন দিয়েছি। ১ ডিসেম্বর থেকে এটি কার্যকর হবে।
এর আগে বিএনপির সদস্য রুমিন ফারহানা অভিযোগ করেছিলেন, সংসদে প্রণীত সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের চাপে সংশোধন করে শাস্তি কমানো হচ্ছে। এই সংশোধনীর উদ্যোগ ছাত্রদের সঙ্গে প্রতারণা।
এ অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক কিছু অ্যাডজাস্ট করতে হয়। পরিষ্কারভাবে একটি সত্য কথা বলতে চাই। এখানে অনেক সমস্যা আছে। যখন চেয়ারে বসবেন, অনেক কিছু মোকাবিলা করতে হয়। একটা চ্যালেঞ্জিং জব। এখানে আমরা কিছু কিছু বিষয় অ্যাডজাস্ট করি। কিন্তু সংসদে যেটা বলা হয়েছে, তা মোটেও ঠিক নয়।
তিনি বলেন, সংসদ সদস্য আইনটির সংশোধিত রূপটি এখনও দেখেননি। এটা সংসদে আসেনি। ওয়েবসাইটে আছে। আইন শাখা এটা ইতোমধ্যে ভেটিং করেছে। তারপরও ওয়েবসাইটে রাখা হয়েছে, মতামতও নেওয়া হচ্ছে। তিনজন মন্ত্রীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তারা খুব সুন্দরভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে একটি সংশোধিত রূপ দাঁড় করানো হয়েছে।
সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, এই আইনে সাজার শৈথিল্য বা কঠোরতা কোনোভাবেই শিথিল করা হয়নি। কোনো সাজা কমানো হয়নি। আইনের যে কঠোরতা ও স্পিরিট অরিজিনাল আইনে যা ছিল, সেটাই আছে। সেটাই থাকবে। শুধু ভাষাগত ও প্রতিশব্দের বিষয় এবং প্রতিবেশী অন্যান্য দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আইনটিকে আমরা যুগোপযোগী করেছি। এছাড়া অন্য কিছু এখানে নেই। এখানে সাজা কমিয়ে কাটছাঁট করে কারও সঙ্গে প্রতারণা করিনি।