হেফাজতে ইসলামের নেতাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে রেহাই পেলেন বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য ও বেসরকারি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার। হেফাজতে ইসলামের নেতা জুনায়েদ বাবুনগরী সম্পর্কে ফেইসবুকে অশ্লীল বক্তব্য ও কটূক্তি করার জন্যে নিজহাতে লিখিতভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন চাঁদপুর পুরান বাজার বেসরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার। রতন মজুমদারের লেখা চিঠি এখন ভাইরাল হয়ে গেছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় গত বছরের এপ্রিল মাসে রতন কুমার মজুমদারকে তিন বছরের জন্য বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য নিযুক্ত করে।
লিখিত ক্ষমা প্রার্থনা পত্রে রতন মজুমদার উল্লেখ করেন, ‘গত ৬ অক্টোবর আমার ফেইসবুক আইডি থেকে সম্মানিত আলেম জনাব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী সম্পর্কে যে মন্তব্য প্রচারিত হয়েছে তার জন্যে আমি খুবই মর্মাহত ও লজ্জিত। বিষয়টি আপনাদের ক্ষুব্ধ করেছে সেটি আমি বুঝতে পেরেছি, যা আমাকে প্রতিনিয়ত পীড়া দিচ্ছে। এ বিষয়টি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্যে সম্মানিত মুসলিম ভাই এবং শ্রদ্ধেয় বাবুনগরী ও তাঁর অনুসারীদের বিনীত অনুরোধ করছি। ভবিষ্যতে এ ধরনের মন্তব্য থেকে আমি বিরত থাকবো’।
৩১ অক্টোবর সন্ধ্যায় হেফাজত ইসলামের নেতৃবৃন্দের কাছে গিয়ে অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার ক্ষমা চান। এ সময় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ফেসবুকে আলেম ওলামাদের বিরুদ্ধে কুটক্তিমূলক বক্তব্যের প্রতিবাদ ও রতন মজুমদারের শাস্তির দাবীতে চাঁদপুর জেলা কাওমী যুব সংগঠনের উদ্যোগে একাধিক মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে গত দুই সপ্তাহ ধরে । চাঁদপুর জজকোর্ট সংলগ্ন চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কে চাঁদপুর জেলা কাওমী যুব সংগঠনের ব্যানারে আলেম ওলামায়েগন মানববন্ধন করার প্রস্তুতি নিয়ে সাড়িবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে কর্মসূচি পালন করেন তারা। সেখানে চাঁদপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান বাবলু ও ১৫নং ওয়ার্ড নবি নির্বাচিত কাউন্সিলর অ্যাডঃ কবির চৌধুরী উপস্থিত হয়ে আলেম ওলামের সাথে কথা বলে বিষয়টি আওয়ামী লীগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করার প্রতিশ্রুতি দেন।
চাঁদপুর জেলা কাওমী যুব সংগঠনের সভাপতি আবুল হাসানাতের সভাপতিত্বে সাধারন সম্পাদক হাফেজ কারী রশিদ আহমেদের পরিচালনায় মানব বন্ধনে মাওলানা লিয়াকত হোসাইন, মুফতি মাহবুব হোসেন, মাওলানা মোহাম্মদ উল্ল্যাহ খান, শুফতি শাহাদাৎ হোসেন কাশেমী, চাঁদপুর জেলা কাওমী যুব সংগঠনের সহ-সভাপতি হাফেজ ওবায়েদুল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি আশেক এলাহী, প্রচার সম্পাদক হাফেজ সাইফুদ্দিন ফরাজী, সহকারী প্রচার সম্পাদক হফেজ মাওলানা কাজী আবু ইউসুফ, কোষাধক্ষ মুফতি নূরে আলম, হাফেজ আক্তার হোসাইন, হাফেজ খলিলুর রহমান, হাফেজ ইয়াসিন, হাফেজ হেলাল উদ্দিন, হাফেজ আবুল কাশেম, হাফেজ মুফতি তানিম, হাফেজ আবুল খায়ের, হাফেজ সিহাব উদ্দিনসহ বিভিন্ন আলেম ওলামা উপস্থিত ছিলেন।